১৮ এপ্রিল—ক্যালেন্ডারের সাধারণ একটা তারিখ। কিন্তু এই তারিখের কাছে ক্রিকেটের ঋণ যে অনেক। ক্রিকেট মাঠে এই তারিখে এমন কিছু ঘটনা ঘটেছে, যা তারিখটিকে আলাদা একটা স্থানই দিচ্ছে ক্রিকেট ইতিহাসে। ক্রিকেট ইতিহাসের মনোযোগী পাঠকদের কাছে ১৮ এপ্রিল, বিশেষ রঙে দাগ কেটে রাখা একটা দিন...
ব্রায়ান লারার ৩৭৫
ব্রায়ান লারা টেস্ট ক্রিকেটে ৩৭৫ রানের ব্যক্তিগত ইনিংসটি খেলেছিলেন ১৮ এপ্রিল। ১৯৯৪ সালে ইংল্যান্ডের বিপক্ষে অ্যান্টিগা টেস্টে গ্যারি সোবার্সের ৩৬৫ রানের ইনিংসটিকে পেরিয়ে যাওয়ার এই দিনটি যেকোনো বিচারেই অবিস্মরণীয়। লারার ৩৭৫ রানের সেই ইনিংসটি এরপর দীর্ঘদিনই টিকে ছিল টেস্ট ক্রিকেটের সর্বোচ্চ ব্যক্তিগত রানের রেকর্ড হিসেবে। অ্যান্টিগাতে সেদিন বয়ে গিয়েছিল আনন্দের বন্যা। ক্রিস লুইসের বলে স্কয়ার লেগে ঠেলে সোবার্সের রেকর্ডটি ভেঙে ফেলার সঙ্গে সঙ্গেই লারাকে অভিনন্দন জানাতে মাঠেই ছুটে গিয়েছিল দর্শক। সোবার্স নিজেও সেদিন মাঠে উপস্থিত থেকে লারাকে অভিনন্দিত করেছিলেন তাঁর অনন্য কীর্তিতে। ৩৭৫ রানের এই ইনিংসের ছয় সপ্তাহ পরেই প্রথম শ্রেণির ক্রিকেটে ৫০১ রানের ইনিংস খেলেছিলেন লারা। টেস্টের সর্বোচ্চ ইনিংসের রেকর্ড ম্যাথু হেইডেন ভেঙে দেওয়ার ছয় মাসের মাথায় লারা আবার খেলেছিলেন ৪০০ রানের ইনিংস।
ম্যালকম মার্শালের জন্মদিন
ওয়েস্ট ইন্ডিজের স্বর্ণযুগ তো তৈরিই হয়েছিল ম্যালকম মার্শালদের মতো ক্রিকেটারদের কল্যাণে। ফাস্ট বোলারের শরীর বলতে যা বোঝায়, মার্শাল ঠিক তেমনটি ছিলেন না। ছোটখাটো গড়নের হলেও তাঁর বলের গতি ছিল ভয়ংকর। বিশেষ করে তাঁর দুই দিকে সুইং করানোর ক্ষমতা আর সাপের ছোবলের মতো বাউন্সার তাঁকে পরিণত করেছিল দারুণ এক ফাস্ট বোলারে। যেকোনো মরা উইকেটে, যেখানে ফাস্ট বোলাররা গতির ঝড় তুলতে হিমশিম খেতেন, সেখানেও মার্শাল তুলতে পারতেন গতির ঝড়, কখনো মায়াবী কাটার। ১৯৯৯ সালে কোলন ক্যানসারে আক্রান্ত হয়ে এই মার্শাল যখন পৃথিবী ছেড়ে চলে যান, তখন তাঁর বয়স মাত্র ৪১! ৮১ ম্যাচে ৩৭৬ টেস্ট উইকেট নেওয়া মার্শাল ইতিহাসের সেরা ফাস্ট বোলারদের একজন হিসেবে মনে রাখবে।