৪ থেকে ৮ বছরের সন্তানের অভিভাবকদের যা করণীয়

Author Topic: ৪ থেকে ৮ বছরের সন্তানের অভিভাবকদের যা করণীয়  (Read 1314 times)

Offline taslima

  • Hero Member
  • *****
  • Posts: 515
    • View Profile
আজকের এই লিখাটি পারিপার্শ্বিক অভিজ্ঞতার আলোকে লেখার চেষ্টা করেছি। আশা করি যাদের ঘরে এই বয়সের সন্তান আছে এবং এই বয়সে পা দিতে যাচ্ছে তাদের জন্য হেল্পফুল হবে। শিশুরা নিষ্পাপ, কোমল হৃদয়ের, কাঁচা মাটির মতো আপনি যেভাবে চাইবেন সেভাবেই শেপ দিতে পারবেন। কাজেই আমারা যারা অবিভাবক তাদের দায়িত্ব অনেক বেশী।

যখন বাচ্চারা কোন নিয়মের বরখেলাপ করে তখন বাবা মায়ের উচিত খুব সহজভাবে এবং সংক্ষেপে বঝানো। কেননা বাচ্চারা খুব জটিল কথা বুঝতে পারে না এবং খুব তাড়াতাড়ি আগ্রহ হারিয়ে ফেলে। তাই প্রথমে বলুন সে কি ভুল করেছে? আর ভুলটির শাস্তি অবশ্যই লজিকাল এবং মিনিংফুল হতে হবে। যেমন সাইকেল চালানোর সময় হেল্মেট না পরলে সে ১/২ দিন সাইকেল খেলতে পারবে না।  অথবা সে যদি কার সাথে খেলনা শেয়ার করতে না চায় তবে সেই খেলনা দিয়ে সে আর খেলতে পারবে না।
এই বয়স থেকেই বাচ্চাদের জন্য রুটিন তৈরি এবং তা মেনে চলার চেষ্টা করুন। যেমন সকালে নিজে নিজে ঘুম থেকে উঠে ফ্রেশ হওয়া, ব্রেকফাস্ট করা। রাতে ঘুমাতে যাওয়ার আগে ফ্রেশ হয়ে, দাঁত মেজে সুন্দর কোন গল্পের বই পড়তে পড়তে ঘুমিয়ে পড়া।  এর মাঝের সময়টুকু অন্যান্য টিভি, ভিডিও গেম, ফিজিক্যাল খেলাধুলার জন্য বরাদ্দ রাখুন।
নিজের অভিজ্ঞতা থেকেই বলছি, আমরা বাচ্চাদের ব্যস্ত রাখতে অনেক সময় কম্পিউটারে বা মোবাইলে গেমস খেলতে দেই এবং খেয়াল রাখি না আসলে বাচ্চাটি কত ঘন্টা যাবত কম্পিউটারের সামনে বসে আছে।যেসব বাচ্চারা কম্পিউটারের সামনে অতিরিক্ত সময় ধরে বসে থাকে সেসব বাচ্চাদের ঘুমের পরিমান কমে যায়।কাজেই দিনে দু’ঘণ্টার বেশী সময় কম্পিউটারের সামনে বসে থাকা উচিত নয়।
বাচ্চারা অনুকরণ প্রিয়।এটা অজানা কিছু নয়।কিন্তু আমরা অনেক সময় বাচ্চাদের সামনে এমন আচরণ করে বসি যা তারা খুব সহজেই রপ্ত করে ফেলে এ কারণে মাঝে মাঝে তাদের কিউট বলে চালিয়ে দিলেও বেশির ভাগ সময় লজ্জায়ও পড়তে হয়।যেমন অনেক সময়েই বাচ্চাদের উপস্থিতিতেই বড়রা সমালোচনা, পরচর্চা করি।যা খুব সূক্ষ্মভাবে বাচ্চাদের মনে গেঁথে যায়।তারা এমন ভেবেই বেড়ে ওঠে যেন এমনটাই স্বাভাবিক।kid 3
বাংলাদেশের কথা বিবেচনা করলে ৪ থেকে ৫ বছর বয়সের বাচ্চারা স্কুলে যাওয়া শুরু করে। আর এই সময়টাতেই আমরা(মা-বাবা) অবুঝের মতো কান্ড করতে থাকি। বাচ্চাদের  যেই সময়টা আনন্দ করে পড়ার এবং জানার কথা সেই সময় আমরা মা’রা প্রতিযোগিতার মনোভাব ঢুকিয়ে দেই। প্রতিযোগিতার মনোভাব থাকাটা জরুরি কিন্তু না খেয়ে-দেয়ে কেবল নাক ডুবিয়ে ক্লাসের ফার্স্টবয়/গার্ল হওয়ার মানসিকতা আসলে অসুস্থতা ছাড়া কিছু নয়। এই সময়টাতে বাচ্চাদের মনে পড়াশোনার প্রতি আগ্রহ তৈরি করতে হবে।
এমনও অনেক মা আছেন  যারা রাতে বাচ্চাদের পড়াতে বসান এই ভেবে যে উনিও তো রাত জেগে পড়তেন কৈ তার তো কোন সমস্যা হয়নি তবে বাচ্চাকেও তাই করতে হবে। কিন্তু একবার ভেবে দেখুন এই বাড়ন্ত বয়সে আদৌ কি আমাদের বাবা-মা’রা আমাদের রাত জাগিয়ে পড়াতেন! আসলে সব মিলিয়ে যা হয় সারাদিন শেষে রাতে বাচ্চার পড়ার ধৈর্য থাকে না সে কোনরকম করে পড়া শেষ করে যথারীতি মা যান ক্ষেপে। অনেকসময় তো মারতেও কুণ্ঠাবোধ করেন না। শেষমেশ দু’জনেই মন খারাপ করে ঘুমতে যান যা একেবারেই মন ও স্বাস্থ্যের জন্য ভালো ফল বয়ে আনবে না।
এই বয়স থেকেই আপনার সন্তানকে নিজের ছোটোখাটো কাজগুলো  করা শিখিয়ে নিন।এক্ষেত্রে বাবা মা দুজনকেই নিজের কাজগুলো নিজেই করতে দেখলে বাচ্চারাও তাই শিখবে।অনেক বাবাই আছেন ভাবেন সারাদিন তো অফিসে কাজ করেই আসলাম এখন জুতো খুলে যে ঘরে  ঢুকেছি এটাই তো অনেক।এলোমেলো করে রেখেই চলে যান।তবে অভ্যাসটি পরিবর্তন করার সময় চলে এসেছে।

http://bhorerkhobor.com/archives/7137
Taslima Akter
Sr. Accounts Officer (F&A)
Daffodil International University
Email: taslima_diu@daffodilvarsity.edu.bd

Offline Nurul Mohammad Zayed

  • Hero Member
  • *****
  • Posts: 663
  • Life is simple., Learn and Teach
    • View Profile
    • Dr. Nurul Mohammad Zayed
Dr. Nurul Mohammad Zayed
Assistant Professor 
Department of Business Administration 
Faculty of Business & Entrepreneurship
Daffodil International University