মানুষ শরীরচর্চা করে নিজেকে আরো একটু বেশি সুন্দর ও সুগঠিত করে তুলতে। কিন্তু আপনি কি জানেন যে হাজার রকমের শরীরচর্চার ভেতরে এমন কিছু শরীরচর্চা আছে যেটা অবলম্বন করলে সুন্দর কিংবা সুগঠিত তো নয়ই, বরং দিনকে দিন আপনার শরীর হয়ে পড়বে অসুন্দর ও বেঢপ। কী এমন ব্যায়াম বা শরীরচর্চা সেটা? জানতে ইচ্ছে করছে? তাহলে শুনুন। খুব সাধারন এই শরীরচর্চাটি হচ্ছে বুকের ব্যায়াম। না, এমনিতে এই ব্যায়ামটি মোটেও ক্ষতিকারক নয়। তবে আপনার প্রাত্যাহিক জীবনে ধাপে ধাপে সামনে এগিয়ে যাওয়ার প্রক্রিয়ায় যদি শরীরচর্চার ক্ষেত্রে এই ব্যায়ামটি থেকে থাকে প্রথমে আর সেটাও যদি এমন হয় যে কেবল এই একটি ব্যায়ামই করছেন আপনি প্রতিদিন, অনেক অনেক বেশি পরিমাণে তাহলে জেনে নিন, উপকার নয়, বরং অপকারই করছে এটি আপনার শরীরের। এটা তো জানা কথা যে, আপনি কোন কিছু অতিরিক্ত পরিমাণে করলে তার ফলাফল খুব একটা ভালো আসে না। ঠিক একই ব্যাপারটা ঘটে এই ক্ষেত্রেও। অত্যাধিক ব্যায়ামের ফলে নির্দিষ্ট মাংসপেশীগুলোর ওপর চাপ পড়ে যায়। তবে এসব নয়, সম্পূর্ণ অন্য করণে বুকের ব্যায়াম এবং কেবল বুকের ব্যায়াম করা সবার শরীরের জন্যেই খারাপ। বুক ও শরীরের পশ্চাৎভাগ একে অন্যের সাথে বেশ ভালোভাবে জড়িত। তাই এর কোন একটির ব্যায়াম অন্যটির ওপরেও প্রভাব ফেলে। যদি এমনটি হয় যে আপনি কেবলই আপনার বুকের মাংসপেশী সবল করার জন্যে ব্যায়াম করে চলেছেন তাহলে একটা সময় আপনার বুকের পেশী শক্ত থেকে অধিকতর শক্ত হয়ে উঠবে এবং পুরো ব্যাপারটার প্রভাব পড়বে আপনার মেরুদন্ডের ওপর। মেরুদন্ড বাঁকা হতে বাধ্য হবে। যেটাকে চিকিত্সকেরা বলে থাকেন কাইফোসিস। অনেকটা কুঁজো হয়ে যাবেন আপনি। এছাড়াও আরো অনেক অনাকাঙ্ক্ষিত ঝামেলার সৃষ্টি হতে পারে এক্ষেত্রে। এর ভেতরে রয়েছে মাংসপেশী ঠিকঠাক মতন বৃদ্ধি না পাওয়া। কিংবা একেবারেই বৃদ্ধি না পাওয়া। এক্ষেত্রে, বুকের ব্যায়াম না করেও যদি শরীরের পেছনের দিকের ব্যায়াম করেন আপনি তাহলে সেটা উপকারী ও ঠিকঠাক ব্যাপার হবে। তবে এর উল্টোটা করলে, অর্থাৎ, কেবল বুকের ব্যায়াম করলে এবং পেছনের অংশের ব্যায়াম না করলে এর বিপরীতটা ঘটবে আর ফলাফল বয়ে আনবে এমন একটা কিছু যেটা কিনা আপনার শরীরের ওপরে ভয়ানক প্রভাব রাখবে। এতসব ঝামেলা থেকে দূরে থাকতে তাই শরীরের সব অংশের যথাযথ ব্যায়াম করুন। তবে খুব বেশি নয়, পরিমিত পরিমাণে। আর বাকী সব অংশের চাইতে শরীরের পেছনের দিকের অংশকে সুগঠিত করে তুলুন আগে।