১। কাঠ বাদাম
ত্বকের জন্য অত্যাবশ্যকীয় ভিটামিন আছে কাঠ বাদামে। এছাড়াও এতে আরো কিছু পুষ্টি উপাদান আছে যা ত্বকের কালচেভাবের সমস্যা দূর করতে পারে। ত্বক কালো হয়ে যাওয়ার সমস্যা দূর করার জন্য কাঠবাদাম বিভিন্ন ভাবে ব্যবহার করা যায়।
· কাঠ বাদাম পিষে গুঁড়ো করে নিন। ১ চা চামচ কাঠবাদাম এর গুঁড়োর সাথে ১ চা চামচ পাউডার দুধ ও ১ চা চামচ মধু ভালোভাবে মিশিয়ে পেস্ট তৈরি করে নিন। পেস্টটি ঘাড়ের পাশে ও পেছনে ভালো করে লাগান। আধা ঘণ্টা রেখে দিয়ে পানি দিয়ে ধুয়ে ফেলুন। এইভাবে সপ্তাহে দুই থেকে চারবার লাগান।
· ৪/৫টি কাঠবাদাম সারারাত পানিতে ভিজিয়ে রেখে দিন। সকালে বাদামগুলো পিষে পেস্ট করে ঘাড়ে লাগিয়ে কয়েক মিনিট ধরে ম্যাসাজ করুন। তারপর ঠাণ্ডা পানি দিয়ে ধুয়ে ফেলুন। সপ্তাহে এক বা দুই দিন এটা করুন।
২। বেকিং সোডা
ত্বকের কালো দাগ দূর করার জন্য বেকিং সোডা একটি ভালো এক্সফলিয়েন্ট। বেকিং সোডার সাথে পানি মিশিয়ে পেস্ট তৈরি করে ঘাড়ে লাগান। এভাবে ১৫ মিনিট রেখে পানি দিয়ে ধুয়ে ফেলুন।
৩। অ্যালোভেরা
আমরা জানি অ্যালোভেরা ত্বকের রঙ হালকা করে এবং ত্বককে আর্দ্র রাখে। অ্যালোভেরা চমৎকার ভাবে ত্বকের দাগ দূর করতে পারে। অ্যালোভেরা অ্যান্টি অক্সিডেন্ট ও আরো অনেক উপকারি উপাদান সমৃদ্ধ যা ত্বকের মেরামত ও নতুন কোষ সৃষ্টিতে সাহায্য করে। অ্যালোভেরার পাতা থেকে তাজা অ্যালোভেরার জেল নিয়ে ঘাড়ের ত্বকে লাগিয়ে ম্যাসাজ করুন। তারপর পানি দিয়ে ধুয়ে ফেলুন। ভালো ফল পেতে প্রতিদিন এটা করুন।
৪। শশা
ত্বক পরিষ্কার করার জন্য শশা অনেক ভালো কাজ করে। শশা পাতলা করে কেটে ঘাড়ে লাগিয়ে ম্যাসাজ করলে এক্সফলিয়েটের কাজ হয় এবং মরা চামড়া উঠে আসে। শশা থেতলে নিয়ে বা জুস করে নিয়ে ঘাড়ে লাগিয়ে কয়েক মিনিট ম্যাসাজ করে ২০ মিনিট অপেক্ষা করে ধুয়ে নিলে ঘাড়ের কালো দাগ থেকে দ্রুত মুক্তি পাওয়া যাবে।
৫। কমলার খোসা
ঘাড়ের কালো দাগ দূর করার ক্ষেত্রে ভীষণ ভাবে সাহায্য করে কমলার খোসা। কমলা চমৎকার ভাবে ত্বক পরিষ্কার করতে পারে। কমলার খোসা শুকিয়ে ভালো ভাবে গুঁড়ো করে নিয়ে এর সাথে দুধ মিশিয়ে পেস্ট তৈরি করে নিন। কালো ঘাড় থেকে মুক্তি পাওয়ার জন্য মিশ্রণটি ঘাড়ে লাগিয়ে ২০ মিনিট রেখে দিন। তারপর ধুয়ে ফেলুন।
আরো কিছু উপাদান আছে যা দিয়ে ঘাড়ের কালো দাগের সমস্যা দূর করা যায় যেমন- আখরোট, ওটস, লেবুর রস, অলিভ অয়েল, কোকোয়া বাটার, ভাতের মাড়, ছোলা, আলুর রস, দই ইত্যাদি।
http://bangla.amitumi.com/2016/01/%E0%A6%98%E0%A6%BE%E0%A7%9C%E0%A7%87%E0%A6%B0-%E0%A6%95%E0%A6%BE%E0%A6%B2%E0%A7%8B-%E0%A6%A6%E0%A6%BE%E0%A6%97-%E0%A6%A6%E0%A7%82%E0%A6%B0-%E0%A6%95%E0%A6%B0%E0%A6%BE%E0%A6%B0-%E0%A6%B8%E0%A6%B9/#