রমজানের মাস মহিমান্বিত মাস, দোয়া কবুলের মাস। দ্বীনদার মুসল্লিদের জন্য কিছু দোয়া সংগ্রহ করে দেয়া হল। আসা করি সকলের কাজে লাগবে।
তাসবিহ
# ইয়া আল্লাহু
# লা তুদরিকুহুল আবছারু ওয়া হুয়া ইয়্যুদরিকুল আবছারু ওয়া হুয়াল লাত্বীফুল খাবীর। (বেকারত্বের দোয়া)
# ইয়া আজীমু , ( রাসুলে করীম (দঃ) এর খাছ আমল )। প্রতিদিন ১০০ বার যিকির করিলে রাসুল্লাহ (দঃ) এর খাছ মোহাব্বাত লাভ করিবে।
# ইয়া মুজীবু , (দোয়ার সময় ৭বার পড়লে দোয়া কবুল হয় )
# ইয়া গাফুরু, (সিজদায় ১১,১৩,১৫ বার পাঠ করিয়া গুনাহ মাফীর জন্য প্রার্থনা করিবে। আল্লাহর দরবারে ইহা নিশ্চয় কবুল হইবে।
# ইয়া আদলু , (শুক্রবার (রাতে) এই নাম বিশ টুকরা রুটির উপর লিখিয়া ভক্ষণ করিলে লোকজন বাধ্য থাকিবে)
# ইয়া খাবীরু , (কুচিন্তা দূর করতে)
# ইয়া মালিকু, ইয়া কুদ্দুসু , (রোগের জন্য ১১ বার বাদ মাগরিব ও ফজর নামাজ বাদে)
# সুব্বুহুন কুদ্দুসুন ওয়া রাব্বুল মালায়কাতি ওয়ার রূহ্,
যে কোন ব্যাধির জন্য শুক্রবার বাদ জুম্মা ১২৫ বার পাঠ করিয়া একটি রুটির উপর দম করতঃ ভক্ষণ করিলে উপশম হইবে।
# ইয়া খালিকু , (বিপদমুক্তির জন্য)
# ইয়া বারিউ, (কবর আযাব থেকে মুক্তির জন্য দৈনিক ৭ বার ও জুম্মাবাদ ১০০বার)
# ইয়া গাফফারু, ( দোয়া কবুলের জন্য )
# ইয়া ক্বাহহারু, (কঠিন রোগ,যাদু ঘটিত, বাদ আছর)
# ইয়া ওয়াসিউ, (ক্কোরআন হেফজ করার আমল)
# ইয়া বাইছু , ( আলস্য দূর করার আমল)
# ইয়া ওয়াকীলু, (আল্লাহর অনুগ্রহ লাভের আমল)
# ইয়া হামীদ , (শত্রু বাধ্য করণ, মানুষের ক্ষতি হইতে নিরাপত্তা লাভ বাদ ফজর )
# ইয়া হাইয়্যু, (বিপদ মুক্তির আমল)
# ইয়া কাইয়্যুম, (অন্যের দ্বারা ক্ষতিগ্রস্থ না হওয়ার আমল তাহাজ্জুদ বাদ ৭০ বার)
# ইয়া ক্বাদিরু, (শত্রু দমন / মুসকিল আসানীর আমল, অজু করিবার সময় মনে মনে পাঠ করিবে)
# ইয়া নাফিউ, (যাত্রাকালে নিরাপত্তায়)
# ইয়া ওয়াহাবু,
(ইয়া ওয়াহাবু হাবলি মিন নেয়ামাতিদ দুনিয়া ওয়াল আখিরাতি ইন্নাকা আন্তাল ওয়াহাব।
আগে ও পরে দরূদ সহ ১৪ বার অথবা বাদ এশা ১০০ বার।)
# ইয়া সালামু , (শরীর সুস্থ-সবল রাখার জন্য বাদ ফজর ও মাগরিব বাদ। ৩ দিন ৩০০০ বার করিয়া পড়িলে কঠিনতম রোগ থেকে আল্লাহতায়ালা মুক্ত করিবেন)
# আস্তাগফিরুল্লাহ রাব্বি——————————— ওয়া আতুবুইলাইহি
(দৈনিক ১০০ বার তাওবা পাঠ করা উচিৎ) (শোবার সময় ১১বার)
# লা- ইলাহা ইল্লালল্লাহু ওয়াদাহু লা-শারীকা লাহু আহাদান ছামাদান লাম ইয়ালিদ ওয়ালাম ইয়্যুলাদ ওয়ালাম ইয়া কুল্লাহু কুফুওয়ান আহাদ।
(যে ব্যক্তি এই দোয়া পড়িবে বিশ লাখ নেকী লেখা যাইবে) ৪১ বার
# আশহাদু লাকা ইন্নাকা রাব্বুন খালিকুন আল্লাহুমাগফিরলী
(২১ বার পাঠ করত আসমানের দিকে তাকাইয়া গুনাহ মাফির জন্য আল্লার দরবারে প্রার্থনা করিবে)
# আশহাদু আল্লা ইলাহা ইল্লালাহু ওয়াহদাহু লা শারীকা লাহু ওয়া আন্না মুহাম্মাদান আবদুহু ওয়া রাসুলুহু।১১ বার
(এ কালেমা পাঠে আল্লাহ তাহার ইচ্ছানুযায়ী যে কোন দরজা দিয়া বেহেশতে প্রবেশ করাইবেন)
# লা ইলাহা ইল্লাললাহু ওয়াদাহু আযজা জুনদাহু ওয়া নাসারা আবদাহু ওয়া গালাবাল আহযাবা ওয়াদাহু ফালা শাইয়ান বা’দাহু। ১১ বার
(এ দোয়া রাসুল (সঃ) সদা-সর্বদা এই কলেমাটি পাঠ করিতেন)
# রাব্বানা জালামনা আনফুছানা ওয়া ইল্লাম তাগ¦ফিরলানা ওয়া তারহামনা লানাকুনান্না মিনাল খাসিরীন।
(আল্লাহর সন্তুষ্টি এবং কৃপালাভের সেরা মুনাজাত
# সুবাহানালল্লাহি ওয়াল হামদু লিল্ল্াহি ওয়ালা ইলাহা ইল্লালল্লাহু আল্লাহু আকবার
(শোবার সময় ৬ বার)
# সুবহানাল্লাহিল আজীমি ওয়া বিহামদিহী ১১ বার
# লা হাওলা ওয়ালা কুওয়াতা ইল্লাবিল্লাহ ১১বার
# রাব্বাহু আন্নী মাছ ছানিয়াদ্ব দ্বুররু ওয়া আনতা আর হামুর রাহিমীন
(আমি কষ্টে আছি, তুমি শ্রেষ্ঠ দয়ালু) ১১ বার (আম্বিয়া ৮৩)
# ওয়া ইন্নাল্লাহা লাহুয়া খায়রুর রাযিকীন
( আল্লাহ’ ই উত্তম রিযিক দাতা) ১১ বার (হাজ্ব ৫৮)
# ইন্নাল্লাহা লা আ’ফুয়্যুন গাফুর
(আল্লাহ মার্জনাকারী ক্ষমাশীল) ১১ বার (হাজ্ব ৬০)
# ওয়া ইন্নাল্লাহা লা হুয়াল গানিয়্যুল হামীদ
(আল্লাহ অভাব মুক্ত প্রশংসিত) ১১ বার
# আল্লাহু ওয়াছিউন আলীম
(আল্লাহ প্রাচুর্যময়,জ্ঞানী) ১১ বার
# আল্লাহু ইয়ারযুক মাইয়াশায়্যু বিগাইরী হিসাব
# ইন্না রাব্বানা লা গাফুরুন শাকুর
(আল্লার প্রশংসা যিনি দুঃখ দূর করি নেন) ১১ বার (ফাতির ৩৪)
# রাব্বিগ ফিরলী ওয়া হাবলী মুলকাল লা ইয়ামবাগী লি আহাদিম মিমবা’দী ইন্নাকা আনতাল ওয়াহাব) ১১ বার (ছোয়াদ ৩৫)
(রাজ্য দাও যাহার মালিক আমি ছাড়া কেহ নয়)
# ওয়াল্লাহু লাত্বীফুন বিই’বা দিহী ইয়ারযুক্কু মাই ইয়াশায়্যু ওয়াল্লাহু ক্বাওয়্যিুল আযীয ১১ বার (শূরা ১৯)
(আল্লাহ বান্দাহর প্রতি দয়ালু, ইচ্ছামত ব্যাক্তিকে রিযক দেন, তিনি মহা পরাক্রান্ত) ১৯ শূরা
# লাহুম মাইয়াশায়্যুনা ফী হা ওয়ালাদাইনা মাযীদ
(যাহা চাইবে তাহাই পাইবে, আমার কাছে আরও আছে) ১১ বার (হামীম ৩৫)
# ফা’তাআল্লাহুল মালিকুল হাক্কু লা ইলাহা ইল্লাহু ওয়া রাব্বুল আরশিল কারীম।
(আল্লাহই সমুন্নত, প্রকৃত মালিক, তিনিই ইলাহ। মহান আরশের রব।) ১১ বার
# ওয়াকুর রাব্বিগ ফির ওয়ারহাম ওয়া আনতা খায়রুর রাহিমীন।
(বলুন! ক্ষমাকর, দয়াকর, তুমিই শ্রেষ্ঠ দয়ালু) ১১ বার
http://roudrodin.com/wp/doa_and_amal