জয়দেবপুর-ঈশ্বরদী সেকশনে ডুয়েলগেজ ডাবল লাইন নির্মাণ’ প্রকল্প বাস্তবায়নে চীনা ঠিকাদারকে নিয়োগ দেওয়ার প্রস্তাব অনুমোদন করেছে অর্থনৈতিক বিষয়সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটি। প্রকল্পটি বাস্তবায়িত হলে ঢাকা থেকে রাজশাহী যেতে সাড়ে ছয় ঘণ্টার পরিবর্তে চার ঘণ্টা লাগবে।
সচিবালয়ে গতকাল বুধবার অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিতের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত বৈঠকে এ অনুমোদন দেওয়া হয়।
বৈঠক সূত্র জানায়, প্রকল্পের ব্যয় ধরা হয়েছে ৭ হাজার ২৯৬ কোটি টাকা। এ প্রকল্পটি বাস্তবায়নের কাজ পেয়েছে চায়না সিভিল ইঞ্জিনিয়ারিং কনস্ট্রাকশন করপোরেশন। প্রকল্পের আওতায় ১৭৩ দশমিক ৩৪ কিলোমিটার ডুয়েলগেজ ডাবল রেললাইন নির্মাণ করা হবে।
এই প্রকল্প বাস্তবায়িত হলে ট্রান্স এশিয়ান রেলওয়ের তিনটি রুটে নেটওয়ার্ক স্থাপিত হবে বলে জানা গেছে। রুট তিনটি হচ্ছে ভারতের গেদে থেকে বাংলাদেশের দর্শনা-ঈশ্বরদী-জয়দেবপুর; ভারতের সিঙ্গাবাদ থেকে বাংলাদেশের রহনপুর-আমনুরা-রাজশাহী-ঈশ্বরদী-জয়দেবপুর এবং ভারতের রাধিকাপুর থেকে বাংলাদেশের বিরল-পার্বতীপুর-ঈশ্বরদী-জয়দেবপুর হয়ে ঢাকা।
এ ছাড়া প্রকল্পটি বাস্তবায়িত হলে ঢাকা থেকে খুলনা, দিনাজপুর ও লালমনিরহাটে যেতে ১০ ঘণ্টার পরিবর্তে ৮ ঘণ্টা এবং ঢাকা থেকে রংপুর যেতে ৯ ঘণ্টার পরিবর্তে ৭ ঘণ্টা সময় লাগবে বলে রেলপথ মন্ত্রণালয় সূত্র জানায়।
মন্ত্রিসভার বৈঠকে মোট তিনটি প্রস্তাবের ঠিকাদার নিয়োগের প্রস্তাব অনুমোদিত হয়। চীন সরকারের দেওয়া ঋণের টাকায় এ তিন প্রকল্প বাস্তবায়িত হবে। কাজ করবেন তিন চীনা ঠিকাদার। অন্য দুই প্রকল্প হচ্ছে মোংলা বন্দরের সুবিধাদি সম্প্রসারণ ও আধুনিকায়ন এবং আখাউড়া থেকে সিলেট পর্যন্ত মিটারগেজ লাইনকে ডুয়েলগেজ লাইনে রূপান্তর।
‘মোংলা বন্দরের সুবিধাদি সম্প্রসারণ ও আধুনিকায়ন’ প্রকল্পটি বাস্তবায়নে ব্যয় ধরা হয়েছে ৪ হাজার ৩৯৩ কোটি টাকা। এটি করবে চায়না ন্যাশনাল কমপ্লিট ইঞ্জিনিয়ারিং করপোরেশন। প্রকল্পের আওতায় ৮টি কাজের কথা বলা হয়েছে। এগুলো হচ্ছে কনটেইনার টার্মিনাল নির্মাণ, বহুতলবিশিষ্ট কার ইয়ার্ড নির্মাণ, কনটেইনার ডেলিভারি ইয়ার্ড নির্মাণ, মোংলা বন্দরের প্রধান ও বাইপাস সড়ক চার লেনে উন্নীতকরণ, ৯ নম্বর জেটি পর্যন্ত কনটেইনার ইয়ার্ড নির্মাণ, পশুর চ্যানেলে ডুবন্ত র্যা ক অপসারণ, মোংলা বন্দরের ৫ ও ৯ নম্বর জেটির সামনে শিট পাইলিং এবং মোবাইল এক্স-রে কনটেইনার স্ক্যানার সিস্টেম চালু।