বুকে ব্যথা হলে প্রথমে হৃদ্রোগের কথাই মনে পড়ে। এই ভয় অমূলক নয়। প্রাপ্তবয়স্ক যেকোনো ব্যক্তির বুকে ব্যথা হলে হৃদ্রোগ আছে কি না, নিশ্চিত হওয়া উচিত। তবে বিশ্বজুড়ে যত মানুষ হৃদ্রোগজনিত বুকে ব্যথা নিয়ে হাসপাতালে বা চিকিৎসকের কাছে আসেন, তার চার গুণ আসেন অন্যান্য কারণে বুকে ব্যথার চিকিৎসা নিতে। হৃদ্রোগের আশঙ্কা বাতিল হয়ে যাওয়ার পর বুকে ব্যথার অন্যান্য কারণ নিয়ে মাথা ঘামাতে হবে।
মাংসপেশি বা হাড়ের সমস্যার কারণে অনেক সময় বুকে ব্যথা হয়। ফুসফুস বা ফুসফুসের চারপাশের পর্দার সংক্রমণ বা নানা রোগেও বুকে ব্যথা হয়। খাদ্যনালির সমস্যা, পেপটিক আলসার বা পাকস্থলীর অ্যাসিড ওপরে উঠে আসার কারণে প্রায়ই বুকে ব্যথা অনুভূত হয়। এ ধরনের ব্যথা সাধারণত পাঁজরের নিচে মধ্যখানে দেখা দেয়। খাবারের কারণেও অনেক সময় বুক জ্বালা করে। ভয় বা আতঙ্ক থেকেও বুক চেপে আসে বা ব্যথা করতে থাকে। এর পাশাপাশি ঘাম, বুক ধড়ফড় ও ঘন ঘন নিশ্বাস হতে পারে, যা হৃদ্রোগের মতোই লাগে। কিছু ওষুধের প্রতিক্রিয়ায়ও বুকে ব্যথা হয়। খাবার গেলার সময় খাদ্যনালির মাংসপেশির সমন্বয়হীনতার কারণেও বুকে তীব্র ব্যথা হতে পারে।
হৃদ্রোগ ছাড়া অন্য কোনো কারণে বুকে ব্যথা হলে তা বাম হাত, কাঁধ ইত্যাদি জায়গায় ছড়িয়ে পড়ে না। নন কার্ডিয়াক চেস্ট পেইন বা এ ধরনের ব্যথা সাধারণত বিপদের কারণ হয়ে দাঁড়ায় না। তবে যেকোনো রকমের বুকে ব্যথারই সঠিক কারণ নিশ্চিত হওয়া জরুরি।
ডা. মো. আজিজুর রহমান
বক্ষব্যাধি বিশেষজ্ঞ, ঢাকা সেন্ট্রাল ইন্টারন্যাশনাল মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল