অন্যলোকে বসে ম্যাচটা দেখেছেন কার্লোস আলবার্তো? তাহলে উত্তরসূরিদের পারফরম্যান্সে মুগ্ধই হয়েছেন ১৯৭০ বিশ্বকাপজয়ী ব্রাজিল অধিনায়ক।
ম্যাচটার শুরুতে তিনি ছিলেন। রেফারির বাঁশির আগে গত ২৫ অক্টোবর পরলোকে পাড়ি জমানো আলবার্তোর স্মরণে এক মিনিট নীরবতা পালন করে ব্রাজিল ও আর্জেন্টিনা দল। আলবার্তো থাকলেন ম্যাচের ৯০ মিনিটজুড়ে, ব্রাজিল ফুটবলারদের বাহুবন্ধনীতে যেমন, তাঁদের পায়ের ছন্দেও। কাল মিনেইরাওতে যেন আলবার্তোর সময়ের ব্রাজিলের ফুটবলেরই প্রদর্শনী রাখলেন নেইমার-কুতিনহোরা।
স্কোরলাইন বলবে বিশ্বকাপ বাছাইপর্বের ম্যাচটা ৩-০ গোলে জিতেছে ব্রাজিল। তবে জয়ের ব্যবধান ছাপিয়েও বড় হয়ে ওঠে লিওনেল মেসির আর্জেন্টিনাকে ব্রাজিল পুরো ম্যাচে যেভাবে অসহায় করে রাখে সেটি। ব্রাজিল খেলেছে ‘ওলে ফুটবল’—গতি, ছন্দ, চাতুর্য...কী ছিল না তাতে! যেটির সামনে পুরোটা ম্যাচে হাঁসফাঁস করে গেছে দিশেহারা আর্জেন্টিনা।
ম্যাচটা নেইমারদের জন্য ছিল ‘মিনেইরাওয়ের ভূত’ তাড়ানোরও মিশন। দুই বছর আগে ঘরের মাঠের বিশ্বকাপে সেমিফাইনালে এই মাঠেই জার্মানির কাছে ৭-১ গোলে বিধ্বস্ত হয়েছিল ব্রাজিল। তারপর এই প্রথম মিনেইরাওয়ে আসা। না হোক গুরুত্বের বিচারে একই রকম ম্যাচ, কিন্তু এত দিন ধরে বোঝা হয়ে থাকা ভূতটাকে ঠিকই তাড়াল সেলেসাওরা।
ব্রাজিল কোচ তিতের ভাবনাটাও ফলেনি, ‘এত বড় জয় আমি আশা করিনি। বাছাইপর্বে সব ম্যাচই কঠিন। তার ওপর এটা আর্জেন্টিনা!’ দায়িত্ব নেওয়ার পর পাঁচ ম্যাচেই দলকে জিতিয়েছেন, নেইমারদের ফুটবলেও তিতে ফিরিয়েছেন সাম্বার ছন্দ। ম্যাচের সময় সমর্থকেরা ‘ওলে, ওলে, তিতে, তিতে’ সুরে তাঁর নামে গানও বেঁধেছে। সব মিলিয়ে খুশিটা চেপে রাখেননি ব্রাজিল কোচ, ‘মিথ্যা বিনয় দেখাব না, আমি অনেক খুশি।’
এমন খুশির দিন সামনে হয়তো আরও অনেক দেখবে ব্রাজিল ফুটবল।