অর্থনৈতিক অসাম্য, সামাজিক মেরুকরণ ও ঘনীভূত পরিবেশ ঝুঁকি বিশ্ব অর্থনীতিতে প্রধান তিনটি সমস্যা। যা আগামী এক দশক বৈশ্বিক উন্নয়নে প্রভাব ফেলবে। ওয়ার্ল্ড ইকোনমিক ফোরামের (ডাব্লিউইএফ) ১২তম বৈশ্বিক ঝুঁকি প্রতিবেদনে বিশ্ব অর্থনীতির গুরুত্বপূর্ণ তিনটি দিককে এভাবে তুলে ধরা হয়েছে।
প্রতিবছর এ প্রতিবেদন তৈরিতে বিশেষজ্ঞদের মতামত নিয়ে বিশ্ব অর্থনীতির সম্ভাব্য ঝুঁকিগুলো তুলে ধরা হয়। এবারের জরিপেও বিশ্বের ৭৫০ জন বিশেষজ্ঞ মোট ৩০টি বৈশ্বিক ঝুঁকির কথা বলেছেন। এর মধ্যে এ তিনটি প্রধান সমস্যা হিসেবে চিহ্নিত করা হয়েছে।
প্রতিবেদনে বলা হয়, ২০১৬ সালে ব্রিটেন ও যুক্তরাষ্ট্রে যে রাজনৈতিক ভূমিকম্প দেখা গেছে তাতে মূলত প্রভাব ফেলেছে এ তিনটি সমস্যা। বিশেষ করে ক্রমবর্ধমান আয় বৈষম্য ও সামাজিক মেরুকরণ সাধারণ মানুষের মধ্যে মারাত্মক প্রভাব তৈরি করছে। কার্যকর পদক্ষেপ নেওয়া না গেলে ২০১৭ সালে এসে এ ঝুঁকি আরো মারাত্মক আকার ধারণ করবে।
আজ থেকে ২০ জানুয়ারি পর্যন্ত সুইজারল্যান্ডের দাবসে অনুষ্ঠিত হতে যাওয়া ওয়ার্ল্ড ইকোনমিক ফোরামের বার্ষিক বৈঠক ২০১৭-তে এ বিষয়গুলো আলোচিত হবে। বিশ্বের রাজনৈতিক ও অর্থনৈতিক নেতারা সমাধান বের করার চেষ্টা করবেন।
প্রতিবেদনে বলা হয়, ১০ বছর আগে বিশ্ব অর্থনীতিতে যে সংকট তৈরি হয়েছে তা বিপুল বেকারত্ব রেখে গেছে। এর ফলে সামাজিক অসাম্যও বেড়েছে। যা বিশ্ব অর্থনৈতিক পুনরুদ্ধার কিছুটা মন্থর করে দিয়েছে। এমনকি সামাজিক সমস্যা ব্রেক্সিট ও যুক্তরাষ্ট্রের নির্বাচনে ডোনাল্ড ট্রাম্প বিজয়ী হওয়ার মতো আরো ঘটনার জন্ম দিতে পারে। জনগণের মধ্যে বিদ্যমান রাজনৈতিক নেতৃত্বের বিরুদ্ধে এ ক্ষোভ ও হতাশা কয়েক বছর ধরেই তৈরি হয়েছে, বিশেষ করে অর্থনৈতিক সংকট শুরু হওয়ার পর থেকে।
ডাব্লিউইএফের প্রতিষ্ঠাতা ও নির্বাহী চেয়ারম্যান ক্লস সোয়াব বার্তা সংস্থা এএফপিকে বলেন, এবারের বৈঠকে মূলত মানুষের উদ্বেগের বিষয়টি নিয়েই আলোচনা হবে। বর্তমান সময়ের প্রধান সমস্যা কী এবং কেন বিশ্বজুড়ে মানুষের মধ্যে উদ্বেগ, ক্ষোভ ও অসন্তুষ্টি বাড়ছে বৈঠকে এসব প্রশ্নের উত্তর খোঁজা হবে। এএফপি।