একেবারে ছোটবেলায় স্কুলে যারা বন্ধু ছিলো - তাদের নাম এখনো মনের মধ্যে গাঁথা আছে। এর পর ক্লাস ফাইভে নতুন স্কুলে ভর্তি হলাম। স্কুলে সব নতুন মুখ। এক জন ছাড়া কাওকেই চিনতাম না। নতুন স্কুলে সকালে আমাদের ক্লাস টিচার রোল কল করতেন। আক্ষরিক অর্থেই রোল কল। ১ - ২ - ৩ এইভাবে ৫০। এই শুধু রোল কলের কারনে বেশীর ভাগ ক্লাস মেটের নাম জানতে পারতাম না। আমরাও খেলার সময় এক জন আরেকজনকে রোল নাম্বার ধরে ডাকতাম। আমার রোল নাম্বার ছিলো ১৯। তাই অন্তত এক বছরের জন্য আমার নাম অনেকের কাছেই হয়ে গিয়েছিলো ১৯।
ছোটবেলায় এই একটাই পারসনাল নাম্বার ছিলো। সেটা হল ক্লাসের রোল নাম্বার।
এখন একজন মানুষের ঠিক কত গুলো নাম্বার থাকে?
প্রথমেই আসি মোবাইল নাম্বারে। যত গুলো সিম ততগুলো নাম্বার। এর পর ন্যাশনাল আই ডি নাম্বার। টি আই এন নাম্বার। এমপ্লয়ি আই ডি নাম্বার। পাসপোর্ট নাম্বার।
এর পর ব্যাংক একাউন্ট নাম্বার। পারসনাল একাউন্ট। স্যালারি একাউন্ট। অনেক ক্ষেত্রেই জয়েন্ট একাউন্ট।
এছাড়াও আরো কিছু নাম্বারের মতই পারসনাল পরিচিতি আছে। ই মেইল অ্যাড্রেস। যত গুলো ই মেইল তত গুলো অ্যাড্রেস ও পাস ওয়ার্ড। ফেসবুক আই ডি ও পাসওয়ার্ড। ক্রেডিট কার্ড ও এ টি এম কার্ডের পিন নাম্বার।
আমাদের পরিচয় নাম্বারের মাধ্যমে প্রতিস্থাপিত হয়ে গেছে। আর এতো পাসওয়ার্ড ও পিন নাম্বার মনে রাখতে হয় যে মানুষের স্মৃতি শক্তির চর্চা এমনি এমনি হয়ে যাচ্ছে প্রতি মুহূর্তে।