ভাবতেছিলাম একজন মানুষের নিজেকে চিনতে কত বছর লাগে?
কত দিন পার হয় বুঝতে - সে নিজে অন্যদের থেকে বোকা না চালাক - সৎ না ধূর্ত ?
যারা বোকা বা সরল তারা কি কখনই নিজেদের চেনে না? আর যারা চালাক তারা সব বুঝে বসে থাকে?
আমার মতে মানুষ শিশু কালেই নিজের সম্পর্কে জেনে যায়। শিশুদের পর্যবেক্ষণ শক্তি অনেক শক্তিশালী। শিশুকালেই - মানুষ তার সাথে কি ব্যবহার করে - এই ফিডব্যাক থেকেই নিজের মনের আয়নায় নিজের সম্পর্কে জেনে যায়। হয়ত স্পস্ট ভাবে কখনো খেয়াল করে না। কিন্তু কোন অবস্থায় কি করবে তা তার মনের অজান্তেই ঠিক করে ফেলে। এবং এটা ঠিক করে তার মনের স্ট্রাকচারের শক্তিশালী বৈশিস্ট গুলোকে ফোকাস করেই - যে গুলোর জন্য সে প্রশংসা পেয়েছে।
আরেকটি হলঃ- শিশুদের মনে বেশী ছাপ ফেলে তার বাবা-মা তাকে কি ভাবে ট্রিট করে তার উপর। কেউ চুপচাপ থেকেই বাহবা পায় কত শান্ত বলে আবার কেউ বাহবা পায় বুদ্ধিদিপ্ত কথা বলে। সে সহজেই বুঝে নেয় তার করনীয় কি তা। অনেক পরিবার শিশুর কাছ থেকে বুদ্ধিবৃত্তিক কর্মকাণ্ড বেশী আশা করে। হোক তা ন্যায় বা অন্যায়। তাকে জিততে হবে বাই হুক অর বাই ক্রুক। আবার অনেক পরিবারে চারিত্রিক গুণাবলীর উপর বিশেষ জোর দেওয়া হয়। তাদের কাছে জয় পরাজয় গৌণ ব্যাপার।
আমার আরেকটি পর্যবেক্ষণ হল শিশুর বুদ্ধি বৃত্তিক দুর্বলতা শিশুকে কুটিল চরিত্রের অধিকারী করে তুলে। যে শিশুকালে সহপাঠীদের সাথে মেধায় পেরে উঠে না - কিন্তু সাথে সাথে সে পরাজিত হতে চায় না - সে হয়ে উঠে বাক চতুর। অনেক ক্ষেত্রেই হয়ত কুটিল চরিত্রের অধিকারী।
শিশুর শুধু বুদ্ধি, সাহস ও সততা থাকলেই চলবে না। এই সব গুনাবলিকে উৎসাহ দেওয়ার মত পারিবারিক ও পারিপার্শ্বিক অবস্থাও থাকতে হবে।