ক্লাস ৭ - ৮ এ সাইন্স সাবজেক্টে আমাদের খাদ্য পিরামিড পড়ানো হয়েছিলো। ঘাস ফড়িং - ঘাস খায়। আবার ব্যাঙ ঘাস ফড়িঙকে খায়। ব্যাঙকে খায় পরিশেষে সাপ।
আবার একটি সাপ একাধিক ব্যাঙ খায়। একাধিক ব্যাঙ অনেক গুলো ঘাসফড়িঙ খায়। আর অনেক গুলো ঘাস ফড়িং সংখ্যায় প্রচুর ঘাস খায়। এই ভাবে খাদ্য ও খাদককে তাদের সংখ্যা অনুযায়ী একটি ত্রিভুজাকৃতির পিরামিডে সাজানো হয়।
খাদ্য পিরামিডের নীচের দিকে অবস্থিত জীবেদের খেয়ে পিরামিডের উপরের দিকের জীবেরা বেঁচে থাকে। কি আশ্চর্যজনক ভাবে পিরামিডের নিচের জীবগুলোর বংশ বৃদ্ধির হার উপরের জীব গুলোর তুলোনায় অনেক বেশী।
ঘাসের জন্মানোর হার ঘাস ফড়িং এর থেকে বেশী। ঘাস ফড়িং, ব্যাঙের তুলোনায় অনেক বেশী বংশবৃদ্ধি করে। ব্যাঙের বংশবৃদ্ধি হয় সাপের তুলোনায় অনেক বেশী। অর্থাৎ খাদ্যের বংশবৃদ্ধির হার সবসময় খাদকের তুলোনায় অনেক বেশী।
এইভাবেই খাদ্য ও খাদকের সংখ্যার বালেন্স করা আছে।
কেউ কেউ বলেন যে বিবর্তনের মাধ্যমে জীব এসেছে - তারা কি ভেবে দেখেন না জীবের সাথে সাথে তাদের খাদ্যও কিভাবে ঠিক করা আছে। খেয়ে ফেলার পরে তা হজম করার জন্য নির্দিষ্ট এনজাইম পেটের মধ্যে নির্গত হয়। পরিশেষে কি সুন্দর ভাবে খাদ্য ও খাদকের সংখ্যা ব্যালেন্স করা আছে এক এক জীবের এক এক রকম বংশবৃদ্ধির হারের মাধ্যমে।