ছোটবেলায় স্বাস্থ্য বিষয়ক লেখায় দেখতাম লেখা থাকতো - প্রিভেনশন ইজ বেটার দেন কিউর। এর অর্থ হল - অসুখ সারানোর থেকে অসুখ যাতে না হয় - সেই চেষ্টাই করা উচিৎ।
এই একই কথা প্রযোজ্য যে কোন ক্রাইমের ক্ষেত্রে।
যে কোন ক্রাইমের বিচার করার থেকে ক্রাইমটি না ঘটাই বেশী ভাল।
আমাদের চারিদিকে দেখলে আমরা কি দেখি?
টাকা উপার্জনের জন্য যে শিক্ষা দরকার - আমরা আমাদের কিশোর কিশোরিদের কি শুধু তাই দিচ্ছি না? শুধু এই ব্যপারেই আমাদের কোন মতানৈক্য নাই।
সত্যবাদিতা, কষ্ট সহিষ্ণুতা, দায়িত্বশীলতা, সময়ানুবরতিতা, সহনশীলতা, দানশীলতা এই সব মানবিক গুনাবলি শিক্ষা আমাদের কাছে ততটা জরুরী মনে হয় না। আমরা মনে করি যে - এই গুলো হলে ভাল না হলেও তেমন ক্ষতি নাই। আমাদের সমাজে টিকে থাকতে হলে টাকাই দরকার। অন্যান্য মানবিক গুনাবলি ততটা জরুরী নয়।
শিক্ষার অন্যতম উদ্দেশ্য যে এই সব গুলাবলী অর্জন করা তা আমরা অনেক আগেই ভুলে গেছি। এবং এই কারনেই আমাদের সমাজে দেখা দিচ্ছে নতুন নতুন ক্রাইম।
গাড়ী বাড়ী বা ক্ষমতা বা টাকা ওয়ালা মানেই আমাদের কাছে সফল মানুষ। আর যিনি হিসেব করে চলেন তাকে নিয়ে আমরা অনেক সময়ই পরিহাস করি। এর পিছনের কাহিনী আমাদের কাছে এখন গৌন ব্যাপার।
আমার মতে কেবল মাত্র সঠিক শিক্ষা ও ধর্মীও জ্ঞান ও আচার আচরণ শিক্ষার মাধ্যমে সাম্প্রতিক কালে পেপারে যে সব ক্রাইমের ঘটনা তোলপাড় করতেছে - তা থেকে আমরা মুক্ত থাকতে পারবো।
তবে যে কোন পরিক্ষায় যেমন অল্প কিছু হলেও ফেল করে - তেমন সমাজে কিছু ক্রাইম ঘটে। তাই সঠিক শিক্ষার সাথে সাথে কঠোর শাস্তির ব্যাবস্থা রাখলেই সমাজ থেকে ক্রাইম নির্মূল সম্ভব।
(আমার ফেসবুক স্ট্যাটাস থেকে।)