আমার পর্যবেক্ষণ মতে ১। টিচারের ক্লাস নেওয়া ২। পরীক্ষার প্রশ্ন ৩। পরীক্ষার ইনভিজিলেশন ও ৪। পরীক্ষার খাতা মূল্যায়ন কেমন হয় তার উপর একটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের মান নির্ভর করে।
এরসাথে ইঞ্জিনিয়ারিং সাব্জেক্ট হলে সাথে ল্যাব ফ্যাসিলিটিও এর সাথে যোগ করতে হবে। কেননা এই বিষয় গুলোর তত্ত্বীয় অংশ তারা ল্যাব ক্লাসের মাধ্যমে পুরোপুরি ক্লিয়ার হতে পারে।
১. ক্লাস যত ভাল ভাবে নেওয়া হবে ছাত্র ছাত্রীরা তত ভাল ভাবে শিখতে পারবে। তবে সব সময়ই খেয়াল রাখতে হবে যে স্টুডেন্টরা যেন তাদের ইমাজিনেশন বা কল্পনা শক্তি কাজে লাগাতে পারে। এর জন্য তাদের প্রাত্যহিক জীবনের বা আশেপাশের সহজ উদাহরণ দেওয়া যেতে পারে। সার্থক ভাবে ক্লাস নিলে শিক্ষার্থীরা অনেক ভাল ভাবে শিখতে পারে। এছাড়াও একটি বিষয়ে নিয়মিত ক্লাস করলে শিক্ষার্থীর ওই বিষয়ের প্রায় ৫০% শেখা হয়ে যায়। যা ভাল ভাবে শেখা ও ভাল পরীক্ষা নিশ্চিত করতে পারে। (নিয়মিত ক্লাস এটেন্ড করলে শিক্ষার্থীদের দৈনন্দিন জীবনের ঝামেলাও অনেক কমে যায়।)
২. পরীক্ষার প্রশ্ন অনেক গুরুত্বপূর্ণ। পরীক্ষার প্রশ্ন বুঝে এর সঠিক উত্তর দেওয়াও পরীক্ষার একটি অংশ। তাই পরীক্ষার প্রশ্নে ভুল না থাকলে পরীক্ষার্থীকে প্রশ্ন বুঝিয়ে দেওয়া কখনোই উচিৎ নয়। এই প্রসঙ্গে বলা যায় পরীক্ষার আগে কোন সাজেশন দিলে বা সিলেবাস কমিয়ে দিলে শিক্ষার্থীর শেখার পরিমাণ অনেক কমে যায়। তাই পুরো সিলেবাসে পরীক্ষা নেওয়া হয় কিনা এইটা একটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের অনেক গুরুত্বপূর্ণ ব্যাপার।
৩. পরীক্ষার সময় ইনভিজিলেশনের গুরুত্ব ব্যাখ্যার অপেক্ষা রাখে না। তবে অসুদপায়ের জন্য যথেষ্ট ও উপযুক্ত শাস্তির নিয়ম থাকা পরীক্ষার পরিবেশ ভাল রাখতে সাহায্য করে। আমরা সেই সব প্রতিষ্ঠানেরই সমালোচনা করি যাদের পরীক্ষা পদ্ধতি যথোপযুক্ত নয়।
৪. পরীক্ষার খাতা মূল্যায়ন অনেক গুরুত্বপূর্ণ ব্যাপার। ঢালাও ভাবে নাম্বার দিয়ে গেলে অনেক বড় সমস্যা তৈরি হয়। যে সব ছাত্র ছাত্রী কষ্ট করে অনেক পড়ে পরীক্ষা দেয় ঢালাও গ্রেডের কারণে তারা পরের সেমিস্টারেই পড়া বাদ দিয়ে দেয়। কেননা তাদের মনে তখন কাজ করে যে না পড়লেও তো একই গ্রেড পাওয়া যায়। অপরপক্ষে যারা কম ক্লাস করে ও কম পড়াশুনা করে অযাজিত গ্রেড পায় তারাই পরে ওই শিক্ষা প্রতিষ্ঠান নিয়ে হাস্যরস তৈরি করে যে - ক্লাস না করে ও পড়াশুনা না করেও তারা পরীক্ষায় পাস করে এসেছে। শিক্ষক তথা শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের কাজই হল ভাল কাজের জন্য উৎসাহ দেওয়া ও মন্দ কাজে নিরুৎসাহিত করা। পরীক্ষার খাতা মূল্যায়ন করা এই গুণগত ব্যাপারটিই নিশ্চিত করে।
এর বাইরে যে সব বিষয়ে ব্যাবহারিক বিষয় আছে সে গুলোতে যথোপযুক্ত ল্যাব ফ্যাসিলিটি থাকা অনেক গুরুত্বপূর্ণ।