ইসলামী শরিয়ত মতে হালাল ও হারাম। যা আমাদের দৈনন্দিন জীবনে খুবই গুরুত্বপূর্ণ।
হালাল অর্থ- বৈধ, সিদ্ধ, অাইনানুগ বা অনুমোদিত বিষয়। এছাড়া পবিত্র, গ্রহনযোগ্য ইত্যাদি অর্থেও হালাল শব্দটি ব্যবহৃত হয়। যে সকল বিষয়ের বৈধ হওয়া কুরঅান-হাদিস দ্বারা পরিষ্কার ভাবে প্রমাণিত শরিয়তে তাকে হালাল বলা হয়। হালাল কথা, কাজ বা বস্তু সবই হতে পারে। যেমন বস্তু বা দ্রব্য ব্যবহার করা শরিয়তে বৈধ তা হালাল দ্রব্য হিসাবে পরিচিত। যেমন- গরুর গোশত,চাল-ডাল, ফলমূল আহার করা, শালিন ও রুচিসম্মত পোষাক পরিধান করা ইত্যাদি। এছাড়া সত্য কথা বলা, সুন্নত সম্মত পন্থায় ব্যবসা-বানিজ্য করা, মানুষের উপকার করা ইত্যাদি।
হারাম হলো হালালের বিপরীত। হারাম অর্থ নিষিদ্ধ, মন্দ,অসংগত,অপবিত্র ইত্যাদি। যে সকল কাজ বা বস্তু কুরঅান ও সুন্নাহর স্পষ্ট নির্দেশে অবশ্য পরিত্যাজ্য, বর্জনীয় তাকে হারাম বলা হয়। যেমন সুদ,ঘুষ,জুয়াখেলা, শুকরের গোশত খাওয়া, মদ পান করা, মিথ্যা কথা বলা ইত্যাদি হারাম।
"হালাল বিষয় সুস্পষ্টভাবে বর্ণিত। আর হারামও সুস্পষ্টভাবে বর্ণিত।" (বুখারি ও মুসলিম)
"তোমরা যদি আল্লাহর নিয়ামত গণনা করতে চাও তবে গুনে তা শেষ করতে পারবে না।"(সূরা ইবরাহিম আয়াত ৩৪)
হালালকে হারাম মনে করা ও হারাম বিষয়কে হালাল বলে বিশ্বাস করা কুফর।
হে আল্লাহ্ তুমি আমাদের সকলকে হালালকে গ্রহন ও হারামকে বর্জন করে চলার তৌফিক দান কর। আমিন।।