ইসলামের একটি মৌলিক বিষয় সম্পর্কে বন্ধুদের দৃষ্টি আকর্ষণ করার চেষ্টা করছি। বিষয়টি খুব সহজ মনে হলেও জীবনের কঠিন বাস্তবতায় আমরা খুব কমই মনে রাখতে পারি। অথচ এই মৌলিক বিষয়গুলো ভুলে গেলে জীবনের মানে হারিয়ে যাবে। আজকের বিষয় হলো শিরক।
আল্লাহর সাথে কোন ব্যক্তি বা বস্তুকে শরিক করা কিংবা তার সমতুল্য মনে করাকে শিরক বলা হয়।
যে ব্যক্তি শিরক করে তাকে বলা হয় মুশরিক। শিরক হলো তাওহিদের বিপরীত।
আল্লাহ তায়ালা স্বয়ং আল কোরআনের মাধ্যমে শিরকের ধারনা খন্ডন করেছেন।
"বলুন (হে নবি!) তিনি আল্লাহ, এক ও অদ্বিতীয়।" (সূরা আল-ইখলাস, আয়াত ১)
"কোনো কিছুই তার সদৃশ নয়।" (সূরা আশ্-শূরা, আয়াত ১১)
"যদি সেথায়(আসমান ও জমিনে) আল্লাহ ব্যতিত অন্য কোনো ইলাহ থাকত তবে উভয়ই ধ্বংস হয়ে যত।" (সূরা আল-আম্বিয়া, আয়াত ২২)
আল্লাহ তায়ালার সাথে শিরক চার ধরনের হতে পারে। যথা- আল্লাহ তায়ালার সত্তা ও অস্তিত্বে শিরক করা, আল্লাহ তায়ালার গুনাবলিতে শিরক করা, সৃষ্টি জগতের পরিচালনায় কাউকে আল্লাহর অংশীদার বানানো এবং এবাদতের ক্ষেত্রে আল্লাহ তায়ালার সাথে কাউকে শরিক করা।
অনেক সময় আমরা অজ্ঞতা কিংবা অসতর্কতা বশত শিরকের মত কাজ করে থাকি যেমন: এই রূপ মনে করা যে ঔষধ রোগ সাড়ায়, চাকুরী না থাকলে চলতে পারতাম না, স্মৃতিসৌধ কিংবা শহীদ মিনারে ফুল দেওয়ার মাধ্যমে শহীদদের অন্তর শান্তি পাবে ইত্যাদি।
শিরক অত্যন্ত জগন্য ক্ষমার অযোগ্য অপরাধ।
অাল্লাহ তায়ালা বলেন-
"নিশ্চয়ই শিরক চরম জুলুম।" (সূরা লুকমান,আয়াত ১৩)
"নিশ্চয়ই আল্লাহ তার সাথে শিরক করার অপরাধ ক্ষমা করেন না। এতদ্ব্যতীত যেকোনো পাপ যাকে ইচছা ক্ষমা করেন।" (সূরা আন-নিসা,আয়াত ৪৮)
"যে ব্যক্তি আল্লাহর সাথে শিরক করবে আল্লাহ তার জন্য অবশ্যই জান্নাত হারাম করে দিবেন এবং তার আবাস জাহান্নাম।" (সূরা আল- মায়িদা,অায়াত ৭২)
হে আল্লাহ তুমি আমাদের ক্ষমা কর এবং শিরক থেকে বেচে থাকার তৌফিক দাও। আমিন।।