ব্যালেন্স বা ভারসাম্য শব্দটি নিয়ে ভাবতেছিলাম।
শুধু যে জিমন্যাস্টিকসে বা ভারোত্তলনে আমাদের ভারসাম্য রক্ষা করতে হয় তা নয়। আমরা প্রতিনিয়ত ব্যালেন্স বা ভারসাম্য রক্ষা করে চলি। হাটার সময় বা সাইকেল চালানো এর একটি উৎকৃষ্ট উদাহরন। প্রাকৃতিক ভারসাম্য বা ব্যালেন্স ছাড়া জীব বৈচিত্র্য হুমকির সম্মুখীন হয়। ব্যাঙ পোকা খেয়ে পোকার সংখ্যা ব্যালেন্স করে - এইরকম। একাউন্টিঙেও ডেবিট আর ক্রেডিটের ব্যালেন্স মিলানো ছাড়া গতি নাই। অংকে ডানপক্ষ ও বামপক্ষের ব্যালেন্স ঠিক রাখতে হয়। কেমিস্ট্রিতে পরিশেষে বিক্রিয়ার ব্যালেন্স করতে হয়। ফিজিক্সে তাপ বা বিদ্যুৎ নিয়ে মাথা ঘামাতে হয় এই ব্যালেন্স ঠিক রেখে।
এছাড়াও পারিবারিক বা সামাজিক জীবনেও বহু ভাবে ব্যালেন্স মেইন্টেন হয়। বাবা বকা দিলে মা আদর করে - এইরকম ব্যালেন্স। আবার ধনীরা গরীবদের দান করে সামাজিক ব্যালেন্স ঠিক থাকে। ব্যালেন্স ছাড়া যে কথা বলে - তার পরিণতি আমরা সবাই জানি।
কখনো আমাদের বিবেক কখনো আমাদের পরিবার অথবা কখনো আমাদের সমাজ আমাদের ব্যালেন্সে রাখে। অর্থাৎ কোন কিছুর কারনে বা প্রভাবে ব্যালেন্স ঠিক থাকে।
ভেবে দেখলাম সব থেকে বেশী ব্যালেন্সে রাখে আমাদের বিবেক। যার বিবেক নাই সে সব কিছুই করতে পারে।
অনেক সময় এক পক্ষ অন্যপক্ষকে ব্যালেন্সে রাখে। ব্যাঙ পোকার সংখ্যা ব্যালেন্স করে। ব্যাঙ না থাকলে পোকার সংখ্যা অত্যধিক বেড়ে যায়। যার ফলে পোকারা খাদ্যাভাবে মারা যায়। ব্যালেন্স হারালে আমরা মুখ থুবড়ে পড়ি। ফুটবল খেলায় কেবল এক দল থাকলে দর্শকেরা মাঠ ত্যাগ করে। প্লেনের ব্যালেন্স না থাকলে প্লেন ক্র্যাশ করে।