শিক্ষামন্ত্রী নুরুল ইসলাম নাহিদ বলেছেন, বিশ্ববিদ্যালয়গুলোকে জ্ঞানচর্চা, গবেষণা ও নতুন জ্ঞান অনুসন্ধান করতে হবে। নতুন জ্ঞান সৃষ্টি করতে হবে। এ জন্য বিশ্ববিদ্যালয়গুলোকে সে ধরনের পরিকল্পনা নিয়ে এগিয়ে যেতে হবে।
আজ রোববার দুপুর সাড়ে ১২টায় রাজধানীর বসুন্ধরায় নর্থ সাউথ বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে বিশ্ববিদ্যালয়টির ২০তম সমাবর্তন অনুষ্ঠানে শিক্ষামন্ত্রী নুরুল ইসলাম নাহিদ সভাপতির বক্তব্যে এ কথা বলেন। বিশ্ববিদ্যালয়ের আচার্য ও রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদের প্রতিনিধি হিসেবে তিনি সমাবর্তনে সভাপতিত্ব করেন।
শিক্ষামন্ত্রী নুরুল ইসলাম নাহিদ বলেন, উচ্চশিক্ষা যাতে কেবল সীমাবদ্ধ আনুষ্ঠানিক বিদ্যায় পরিণত না হয়, তা নিশ্চিত করতে হবে। বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর সৃষ্ট জ্ঞান জাতির মৌলিক ও বিশেষ সমস্যার সমাধান দিতে পারে—এ জন্য পরিকল্পনা নিতে হবে। বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষার পরিবেশ এবং গুণগত মান বৃদ্ধির জন্য অব্যাহত উন্নত ও যুগোপযোগী করতে হবে।
দেশের বাস্তবতা ও জনগণের আর্থসামাজিক অবস্থা বিবেচনা করে ভর্তি, টিউশন ফিসহ সব ব্যয় একটি সীমা পর্যন্ত নির্ধারিত রাখতে বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর প্রতি আহ্বান জানান শিক্ষামন্ত্রী।
সমাবর্তনে ২ হাজার ৬৪২ জন স্নাতক ও স্নাতকোত্তর ডিগ্রি নেন। এর মধ্যে স্নাতকে ১ হাজার ৮২৯ জন আর স্নাতকোত্তরে ৮১৩ জন ডিগ্রি নেন। তাঁদের মধ্যে দুজনকে আচার্যের স্বর্ণপদক এবং সাতজনকে উপাচার্যের স্বর্ণপদক দেওয়া হয়।
সমাবর্তনে বিশেষ অতিথির বক্তব্যে বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের চেয়ারম্যান অধ্যাপক আবদুল মান্নান বলেন, ‘বর্তমান প্রজন্মের একটি বিপথগামী অংশ হিরোর খোঁজে সিরিয়া আর ইরাক দৌড়ায়। অথচ এ দেশে অনেক রোল মডেল আছে, যা আমাদের সন্তানদের জানানোর প্রয়োজন মনে করি না। এটা জাতির জন্য দুর্ভাগ্য।’
অধ্যাপক আবদুল মান্নান আরও বলেন, যে মাটি ৩০ লাখ শহীদের রক্তে রঞ্জিত, সেই মাটিতে জঙ্গিবাদের জন্ম আর বিচরণ হতে পারে না। ধর্মান্ধ জঙ্গিবাদের বিরুদ্ধে যে লড়াই শুরু হয়েছে, তাতে জয় অবশ্যম্ভাবী।
অনুষ্ঠানে সমাবর্তন বক্তা ছিলেন বাংলাদেশে নিযুক্ত ডেনমার্কের রাষ্ট্রদূত মিকাইল হেমনিথি উইন্থার। আরও বক্তব্য দেন বিশ্ববিদ্যালয়টির ট্রাস্টি বোর্ডের চেয়ারম্যান আজিম উদ্দিন আহমেদ, উপাচার্য অধ্যাপক আতিকুল ইসলাম প্রমুখ।