থাইরয়েড গ্রন্থি থেকে হরমোন প্রয়োজনের তুলনায় কম বের হলে বা ঘাটতি হলে হাইপোথাইরয়েডিজম হয়। দেহে থাইরয়েড হরমোনের ঘাটতি হলে হঠাৎ ওজন বেড়ে যাওয়া, চামড়া খসখসে হয়ে যাওয়া, মুখ ফুলে যাওয়া, কাজকর্মে ধীরগতি চলে আসা ইত্যাদি সমস্যা হয়। তবে কিছু খাবার রয়েছে, যেগুলো থাইরয়েড হরমোনের ঘাটতি পূরণে কাজ করবে। কিছু খাবার রয়েছে, যেগুলো খেলে এ সমস্যা অনেকটাই কমে।
১. দই:
থাইরয়েড স্বাস্থ্যের জন্য দই অনেক উপকারী। এতে রয়েছে ভালো ব্যাকটেরিয়া, ক্যালসিয়াম, প্রোটিন, আয়োডিন। এতে আছে ভিটামিন-ডি। ভিটামিন-ডি থাইরয়েড হরমোনের ঘাটতি কমাতে সাহায্য করে।
২. বাদামি ভাত বা লাল চালের ভাত:
বাদামি ভাত বা লাল চালের ভাতের মধ্যে রয়েছে কমপ্লেক্স বা জটিল কার্বোহাইড্রেট। বাদামি ভাত সহজে হজম হয়। এটি রক্তের শর্করার মাত্রাকে ঠিকঠাক রাখে; শরীরে শক্তি বাড়ায়। এটি থাইরয়েডের স্বাস্থ্য ভালো রাখে।
তবে লাল চালের ভাতে রয়েছে আঁশ। হাইপোথাইরয়েডিজমের জন্য ওষুধ নেওয়ার এক ঘণ্টা আগে অথবা পরে আঁশজাতীয় খাবার খেতে হবে।
৩. ডিম:
ডিমে আছে প্রোটিন, আয়োডিন, স্যালেনিয়াম। এতে রয়েছে ভিটামিন-এ, ভিটামিন-ডি, জিংক, ক্যালসিয়াম, অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট। থাইরয়েড গ্রন্থি ভালোভাবে কাজ করার জন্য ডিম খুব উৎকৃষ্ট একটি খাবার।
৪. মুরগির মাংস:
যাঁরা হাইপোথাইরয়েডিজমের সমস্যায় ভুগছেন, তাঁদের জন্য মুরগি একটি ভালো খাবার। এর মধ্যে রয়েছে ভালো পরিমাণ এমিনো এসিড, বিশেষ করে থাইরসিন। এটি থাইরয়েড হরমোনের ঘাটতি কমাতে কাজ করে।
৫. নারকেল তেল:
নারকেল তেলের মধ্যে রয়েছে স্বাস্থ্যকর মিডিয়াম চেইন ফ্যাটি এসিড। এটি থাইরয়েড হরমোনের ঘাটতি পূরণে সাহায্য করে। এটি থাইরয়েড হরমোনকে উদ্দীপ্ত করে; গ্রন্থির কার্যক্রমে ভালো করে। নারকেল তেলকে রান্নায় ব্যবহার করতে পারেন। বিভিন্ন চকলেট, স্মুদিতে ব্যবহার করা যেতে পারে। তবে প্রতিদিন তিন টেবিল চামচের বেশি নারকেল তেল খাবেন না।
৬. স্যামন মাছ:
স্যামন মাছ থাইরয়েড স্বাস্থ্যকে সুস্থ রাখতে বেশ ভালো খাবার। এর মধ্যে আছে প্রদাহরোধী উপাদান। আর ওমেগা-৩ ফ্যাটি এসিড থাকার কারণে স্যামন মাছ অনেক উপকারী। সূত্রঃ স্পিকিং ট্রি।