সারাবিশ্বের এইডস রোগীকে সুস্থ করতে চান জামালপুরের মোহন

Author Topic: সারাবিশ্বের এইডস রোগীকে সুস্থ করতে চান জামালপুরের মোহন  (Read 650 times)

Offline shyful

  • Full Member
  • ***
  • Posts: 219
    • View Profile
গত ৩ সেপ্টেম্বর দৈনিক কালের কণ্ঠ পত্রিকার অনলাইনে প্রথম প্রচারিত হওয়ার পর মারণব্যাধি এইচআইভি এইডস রোগ শতভাগ নিরাময় সম্ভব বলে আবারও দাবি করেছেন জামালপুরের মোস্তাফিজুর রহমান মোহন। তার বাড়ি জামালপুর শহরের মধ্য বাগেরহাটা এলাকায়। মোস্তাফিজুর রহমান মোহন তার পূর্বপূরুষদের কবিরাজি চিকিৎসা পদ্ধতির ওপর গবেষণা চালিয়ে দেশীয় গাছ-গাছালি ও লতা-পাতার নির্যাস দিয়ে এইচআইভি এইডস নিরাময়ের ওষুধ আবিষ্কার করার দাবি জানিয়েছেন। জামালপুরের মোস্তাফিজুর রহমান মোহনের আবিস্কৃত মহৌষধ এম এইডস কাট-১ সেবন করে ইতিমধ্যেই তিনজন এইচআইভি এইডস রোগী সম্পূর্ণ সুস্থ হয়ে উঠেছেন এবং চারজন এইচআইভি এইডস আক্রান্ত রোগী ক্রমেই সুস্থ হতে থাকার প্রমাণপত্র পাওয়া গেছে। এছাড়াও এইচআইভি এইডস আক্রান্ত দেশের বিভিন্ন এলাকার আরও পাঁচজন রোগীর চিকিৎসা সম্প্রতি শুরু করা হয়েছে।

এইচআইভি এইডস নিরাময়ের মহৌষধ আবিস্কারের দাবিদার মোস্তাফিজুর রহমান মোহন জানান, তার পিতা এবং পিতামহ দুজনই কবিরাজ ছিলেন। তারা জীবদ্দশায় দেশীয় গাছ-গাছালি ও লতা-পাতার নির্যাস দিয়ে বিভিন্ন রোগের ওষুধ তৈরি করে রোগাক্রান্ত হাজার হাজার মানুষকে চিকিৎসা সেবা দিয়ে সুস্থ করেছেন। মোস্তাফিজুর রহমান মোহন তার পূর্ব পুরুষদের ঔষধি তথ্য সূত্রের ওপর গবেষণা চালিয়ে দেশীয় গাছ গাছালি ও লতা-পাতার নির্যাস দিয়ে তৈরি করেছেন এইচআইভি এইডস নিরাময়ের মহৌষধ। তিনি পরীক্ষামূলকভাবে সেই মহৌষধ সেবন করিয়ে ইতিমধ্যেই চট্টগ্রামের স্বপন, ঢাকার আশরাফ ও কুমিল্লার জেবুন্নাহার নামের তিনজন এইচআইভি এইডস আক্রান্ত রোগীকে শতভাগ এইচআইভি এইডস মুক্ত করেছেন। এ ছাড়াও ঢাকা মিরপুরের জামাল উদ্দিন, চট্টগ্রাম শহরের নাছির উদ্দিন, কুমিল্লা শহরের এম আর মামুন এবং নোয়াখালির মানিক মিয়া নামের চারজন রোগীকে এইডসমুক্ত করতে তিনি গত তিন মাস ধরে নিয়মিত ওষুধ সেবন করাচ্ছেন। এসব চিকিৎসাধীন রোগীদের প্রত্যেকেই দ্রুত সুস্থ্য হয়ে উঠছেন বলেও চিকিৎসাকালীণ পরীক্ষা নিরীক্ষার প্রমাণপত্র হাতে পেয়েছেন।
এইচআইভি এইডস নিরাময়ের মহৌষধ উদ্ভাবক মোস্তাফিজুর রহমান মোহন আরও জানান, তিনি নিজের উদ্ভাবিত ওষুধ দিয়ে বিনামূল্যে এইচআইভি এইডস রোগের চিকিৎসা সেবা দেওয়ার জন্য দেশের বিভিন্ন এলাকায় প্রথমে কিছু প্রচারপত্র বিলি করেছিলেন। ওই প্রচারপত্রের তথ্য সূত্রে পর্যায়ক্রমে সাতজন এইচআইভি এইডস রোগী তার কাছে চিকিৎসা নিতে আসেন। তিনি রোগীগুলোকে চিকিৎসা সেবা দেওয়ার জন্য আগন্তুক রোগীগুলো এইচআইভি এইডস আক্রান্ত রোগী কিনা তা আগে নিশ্চিত হয়েছেন। আর সেজন্য আগন্তুক এইচআইভি এইডস আক্রান্ত রোগীদেরকে প্রথমে ঢাকা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়ে অথবা ঢাকা ধানমন্ডি এলাকার পপুলার ডায়াগনস্টিক সেন্টারে পাঠিয়ে রোগীদের রক্ত পরীক্ষা করিয়ে জেনে নিয়েছেন রোগীটির দেহে কি পরিমাণ এইচআইভি এইডস’র উপস্থিতি বিদ্যমান।
পরে রোগীর শারিরীক অবস্থা এবং রোগের পরিধি জেনে সেই অনুপাতে নিজের উদ্ভাবিত ওষুধ বিনামূল্যে প্রদান করে তাদের চিকিৎসা শুরু করেন। এরপর তিন মাস ওষুধ সেবনের পর দ্বিতীয় দফায় রক্ত পরীক্ষা করান এবং চিকিৎসা শেষে তৃতীয় দফায় রক্ত পরীক্ষা করে রোগীর শরীর থেকে এইচআইভি এইডস রোগ নিরাময়ের বিষয়টি নিশ্চিত হয়েছেন। একইভাবে গত এক বছরে তিনি তিনজন রোগীকে শতভাগ সুস্থ করে মারণব্যাধি এইচআইভি এইডস রোগের কবল থেকে রক্ষা করেছেন।
মারণব্যাধি এইচআইভি এইডস রোগ থেকে মুক্তি পাওয়া চট্টগ্রামের স্বপন, ঢাকার আশরাফ ও কুমিল্লার জেবুন্নাহার এর সাথে মুঠো ফোনে কথা বলে জানা গেছে, তারা প্রত্যেকেই ঢাকা বঙ্গবন্ধু মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়ে রক্ত পরীক্ষা করে এইচআইভি এইডস রোগী হিসাবে শনাক্ত হওয়ার পর মোস্তাফিজুর রহমান মোহন এর কাছে চিকিৎসা নিয়ে সুস্থ হয়েছেন। এরপর দেশের বিভিন্ন এলাকা থেকে আরও চারজন এইচআইভি এইডস আক্রান্ত রোগী মোস্তাফিজুর রহমান মোহন এর কাছে চিকিৎসা নিতে পর্যায়ক্রমে জামালপুরে আসেন। ওই নতুন চারজন রোগীর পরীক্ষা নিরীক্ষার প্রমাণপত্রের ভিত্তিতে তারা এইচআইভি এইডস আক্রান্ত রোগী হিসাবে চিহ্নিত হওয়ার পর মোস্তাফিজুর রহমান মোহন তাদেরকে বিনামূল্যে এইচআইভি এইডস নিরাময়ের মহৌষধ প্রদান করেন। এসব রোগীদের প্রত্যেকেই মোস্তাফিজুর রহমান মোহনের দেওয়া মহৌষধ একাধারে তিনমাস সেবন শেষে অনেকটাই সুস্থ্য হয়ে উঠেছেন। ওই চারজন রোগী মোস্তাফিজুর রহমান মোহনের দেওয়া এইডস নিরাময়ের ওষুধ সেবনের তিনমাস পর ঢাকা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয় অথবা ঢাকা ধানমন্ডি এলাকার পপুলার ডায়াগনস্টিক সেন্টারে পরীক্ষা নিরীক্ষা করে তাদের শরীর থেকে এইচআইভি এইডস’র মাত্রা বহুগুনে কমে আসার নিশ্চিত প্রমাণ পেয়েছেন এবং তারা প্রত্যেকেই শারিরীকভাবে সুস্থ্য হয়ে অকেটাই স্বাভাবিক জীবনে ফিরে এসেছেন বলে জানা গেছে।

জামালপুরের মোস্তাফিজুর রহমান মোহনের দাবি, তার উদ্ভাবিত ওষুধ এম এইডস কাট-১ সেবন করানোর মাধ্যমে এইচআইভি এইডস আক্রান্ত প্রতিটি রোগীকে সুস্থ করে তোলা সম্ভব। তাই তিনি সরকারি বা বেসরকারি পৃষ্ঠপোষকতায় একটি অত্যাধুনিক ল্যাবরেটরি স্থাপনের মাধ্যমে এইচআইভি এইডস রোগী সনাক্তকরণ ও তার উদ্ভাবিত এইচআইভি এইডস রোগ নিরাময়ের ওষুধের মান নিয়ন্ত্রণ ও গুনাগুন যাচাই করে তা বিশ্বমানের ব্যবহার উপযোগী করে গড়ে তুলতে চান। এ ছাড়াও তিনি বাংলাদেশসহ বিশ্বের সকল এইচআইভি এইডস আক্রান্ত রোগীদের বাঁচতে তার উদ্ভাবিত ওষুধ প্রয়োগের জন্য বাংলাদেশ স্বাস্থ্য বিভাগের সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের সার্বিক সহযোগিতা কামনা করেছেন। এইচআইভি এইডস রোগ নিরাময়ের মহৌষধ আবিস্কাররের দাবিদার জামালপুর জেলা শহরের মধ্য বাঘেরহাটা এলাকারব ছেলে।

মোস্তাফিজুর রহমান মোহন আরও জানিয়েছেন, সরকারি বা বেসরকারি পৃষ্ঠপোষকতা পেলে তার উদ্ভাবিত এম এইডস কাট-১ ওষুধ সেবনের মাধ্যমে বাংলাদেশ তথা সারা বিশ্বের সকল এইচআইভি এইডস আক্রান্ত রোগীদের শতভাগ সুস্থ্য করে তোলা সম্ভব। তাই তিনি মরণব্যাধি এইচআইভি এইডস আক্রান্ত দেশ-বিদেশের সকল রোগীদের জীবন রক্ষায় তার উদ্ভাবিত ওষুধ এম এইডস কাট-১ বাংলাদেশ সরকারের স্বাস্থ্য বিভাগের সহায়তায় পার্শ্ববর্তী দেশ ভারতসহ সারা বিশ্বে ছড়িয়ে দিতে চান।

Source:http://www.kalerkantho.com/online/country-news/2017/04/21/489219
With best regards and Thanks in advance,

S.M.Saiful Haque