দেশের বিভিন্ন ক্যাম্পিং স্পটের তালিকা
[১] কাপ্তাই, রাঙামাটি
১.১
-ক্যাম্পিং স্পটের নামঃ Kaptai Kayak Club এর গ্রাউন্ড
-গুগল আর্থ কোঅর্ডিনেটঃ 22°30'30.51"N 92° 8'46.83"E
-কিভাবে যেতে হয়ঃ ঢাকা থেকে সরাসরি কাপ্তাই এর বাসে করে যাওয়া যায়। কাপ্তাই এর আগে জুম রেস্তোরায় নেমেই কাপ্তাই কায়াক ক্লাবের ক্যাম্পিং গ্রাউন্ডে যেতে পারবেন।
-পানির উৎসঃ ক্যাম্পিং গ্রাউন্ডের পাশেই একটি রেস্টুরেন্ট আছে, সেখানের কল থেকে পানি সংগ্রহ করা যাবে। চাইলে পানি কেনাও যাবে।
- কাছের লোকালয়ঃ ক্যাম্পিং গ্রাউন্ডে থেকে ১৫ মিনিটের হাটার দুরুত্বেই বাঁজার আছে। ক্যাম্পিং গ্রাউন্ডের সাম্নের রাস্তা ধরে পশ্চিম দিকে গেলে বড়ইছরি বাঁজার এবং পূর্ব দিকে শিলছরি বাঁজার। নিত্যদিনের প্রয়োজনীয় প্রায় সব কিছুই পাওয়া যায়।
- সুবিধাঃ এই ক্যাম্প সাইটের সবচেয়ে আকর্ষনীয় দিক হচ্ছে যে এটা কর্ণফুলি নদীর পাশেই অবস্থিত। নদীর খুব চমৎকার দৃশ্য দেখা যায় ক্যাম্প সাইট থেকেই।
- অসুবিধাঃ ক্যাম্প গ্রাউন্ডটি অসমতল
- নিরাপত্তাঃ কাপ্তাই কায়াক ক্লাবের নিজস্ব লোক সারা রাত গ্রাউন্ডে থাকেন তাই নিরাপত্তা নিয়ে সমস্যা নেই। এমনকি ব্যাগ রেখে আশে পাশে ঘুরতে গেলেও নিরাপত্তা নিয়ে চিন্তা করতে হবে না
- অনুমতি নেবার জন্য কায়াক ক্লাবের ম্যানেজারের সাথে কথা বলতে হবে।
- সমতল জায়গায় সর্বচ্চ ৪ টি টেন্ট পিচ করা যাবে
[২] মনপুরা দ্বীপ, ভোলা
২.১
-ক্যাম্পিং স্পটের নামঃ মনপুরা দ্বীপ এর ল্যান্ডিং ষ্টেশন
-কিভাবে যেতে হয়ঃ ঢাকার সদরঘাট থেকে ফারহান ৪/৩ প্রতিদিন বিকাল ৫.৩০ মিনিটে হাতিয়ার উদ্দেশ্য ছেড়ে যায় , সকাল ৭টার মধ্যে রামনেওয়াজ ঘাটে নামিয়ে দেয়।
- রামনেওয়াজ ঘাট থেকে মোটর বাইকে করে হাজির হাট যেতে হবে (১০-১১ কি.মি পথ), ভাড়া ১০০ টাকা দুইজন।
-হাজির হাট বাজার থেকে ১ কি.মি সামনেই ল্যান্ডিং ষ্টেশন। চাইলে হেটেই যাওয়া যাবে অথবা ব্যাটারি চালিত রিক্সায় করে যেতে পারেন ভাড়া ১৫-২০ টাকা ।
-আমাদের ক্যাম্প সাইট ছিল ল্যান্ডিং ষ্টেশন থেকে হাতের ডানে ৪০০ গজের মত সামনে খোলা একটা মাঠের মত যায়গায় নদীর পারের কাছাকাছি ।
-খাবার দাবার চাইলে ১ কি.মি সামনেই হাজির হাট বাজার সেখান থেকেই সব কেনা যাবে,
-পানির জন্য ক্যাম্প সাইটের একটু সামনে কয়েকটা বসতি আছে তাদের টিউবওয়েল ব্যাবহার করা যেতে পারে
-গোসল করার জন্য ক্যাম্প সাইটের ঠিক ১০০-১৫০ গজ পিছনে একটা মসজিদ আছে সেখানকার পুকুর ব্যাবহার করা যাবে , পুকুরের পাসে খুবই ভাল পায়খানাও রয়েছে।
-সুবিধাঃ ক্যাম্প সাইটি সমতল ,আর নদীর পাশে হওয়াতে বাতাস পাওয়া যায়। হ্যামক ঝুলানোর জন্য ডাব গাছ আর আম গাছ রয়েছে।ক্যাম্প করার জন্য কারো পারমিশন নিতে হয় নি সেখানে, প্রয়োজনে রান্নার উপকরন থেকে সব কিছুই লোকাল মানুষের সাহায্য পাওয়া যাবে।
-নিরাপত্তাঃ খুবই ভাল নিরাপত্তা ব্যাবস্থা রয়েছে , তার অন্যতম কারন সেখান কার লোক জন অনেক ভাল সাহায্যকারী, যে কোন ব্যাপারে তারা অনেক হেল্পফুল। ক্যাম্প করার জন্য কারো পারমিশন নিতে হয় নি সেখানে, প্রয়োজনে রান্নার
অসুবিধাঃ নদীর পারে ক্যাম্প সাইট হওয়াতে বাতাসের বেগ হুট হাট বেড়ে যায় , তাই তাবু বেঙে যাবার একটা ভয় থাকে। কিন্তু আমরা এমন কোন বিপদে পরি নি
-এখানে চাইলে ২০০ টি তাবুর উপড়ে পিচ করা যেতে পারে।
- পুরো মনপুরা দ্বীপ ঘুরে দেখার জন্য মোটর বাইক ভাড়া নিতে পারেন ৩০০-৪০০ টাকা খরচ হবে, ভাগ্য ভাল থাকলে হরিনের দেখাও পেতে পারেন।