কম খরচে মানালি
এর চেয়ে সুন্দর যায়গা আর কি হতে পারে।
মন খারাপ হয়ে যায় এইসব যায়গায় ট্যুর দিয়ে চলে আসলে।
#রোটাং_পাস
#মানালী
আমি চার জনের ট্যুরের বিস্তারিত বলছি।
বাংলাদেশ থেকে আগে ভিসা করে নিন। সবচেয়ে ভাল সিজন হচ্ছে নভেম্বরের মাঝামাঝি অথবা ফেব্রুয়ারির শেশের দিকে। বেনাপোল বর্ডার দিয়ে কলকাতায় ঢুকে পড়ূন। যদি ডিরেক্ট বাসে যান তাহলে ১৪০০ টাকার মতো পড়বে। ট্রেনের খরচ জানা নেই।কলকাতায় বাস থামবে মারকু স্ট্রীটে। ওখানের সব বাংলাদেশী থাকে। ১০০০ টাকার মধ্যে নন এসি আর ১৫০০ টাকার ভেতরে নন এসি বাস পাবেন।
কলকাতা থেকে দিল্লির উদ্দেশ্যে যাওয়া সবচেয়ে দ্রুতগামী ট্রেন হল রাজধানী এক্সপ্রেস। বিকাল ৫টায় ছাড়ে। যদিও ট্রেনের টিকেট পাওয়া কষ্টকর, আপনই একটু আশে পাশে ট্রেভেল এজেন্সি থেকে ৩০০০ টাকার মধ্যে পেয়ে যাবেন। সবধরনের খাওয়া দাওয়া আপনই ওই টিকিটের সাথেই পাবেন।দিল্লীতে পরের দিন সকাল ১১টায় পৌছাবেন। স্ট্রেশন থেকে মেন গেট দিয়ে বের হয়েই পাহাড়গঞ্জ। ওখানে ১৫০০ টাকার মধ্যে এসি রুম পেয়ে যাবেন। এবার গোসল করেই খোজ করুন কাশ্মীরী বাস স্টেন্ডের অখান থেকে বিকাল ৪/৫ টার দিকে মানালীর উদ্দ্যেশ্যে বাস ছাড়ে।যদি রেস্ট নিতে চান তাইলে ওইদিন এবং পরের দিন বিকাল পর্যন্ত দিল্লী ঘুরতে পারেন। আপনি ট্রেভেল এজেস্নির সাথেও যেতে পারেন, কিন্তু অনের টাকা গুনতে হবে।
আমি যে সময়ের কথা বলছি সেটা হলো মানালির টপ সিজন, বাস ভাড়া যাওয়ার সময় ১৫০০ রুপি হয়ে পারে, আপনই পরের দিন ৮ টার মধ্যে মানালী পৌছে রুম নিয়ে নিন ৩০০০ রুপির মতো পড়বে খরছ, মাথায় রাখবেন রুমে যেনো হিটার থাকে, ওখানে প্রচন্ড ঠান্ডা। রুমে একটু সময় থেকে আপনই রিসিপশনে গাড়ির সাথে কথা বলুন সর্বোচ্চ ৫ হাজার রুপি নেবে "রোটাং পাস" (৫২ কিলো) ঘুরিয়ে আনার জন্য। রোটাং পাসে সারাদিন ঘুরে রাতে এসে এলাকায় লোকাল কোনো দোকানে খাওয়াদাওয়া করুন । তবে দাম জিজ্ঞেস সরতে ভুলবেন না কোনো যায়গায়।
পরের দিন ঘুম থেকে উঠেই লোকাল সাইড হেটে ঘুরতে পারেন, গাড়ী নেওয়ার কোনো প্রয়োজন নেই । অঝতা খরচ। হাডিম্বা টেম্পল, হিমাঞ্চাল মিউজিয়াম, বন বিহার, মল রোড, চিনা মন্দির, ক্লাব হাউজ সবই ঘুরে দেখতে পারেন। অবশেষে হাতে যদি সময় থাকে বিপাশা নদীর পাশে বসে থাকুন, পানির ঝমঝম শব্দে মন ভাল হয়ে যাবে।এখন ফেরার পালা বিকাল ৫ টায় আপনই আবার দিল্লীর উদ্দেশে ছেড়ে আসা বাসে উঠে পড়ুন। খরচ সমান। তাছাড়া থাকতে চাইলে আরেক রাত থাকতে পারেন মানালী। এবার নিজের দেশের টানে যেভাবে গিয়েছিলেন সেভাবে ফিরে আসুন।
#খরচ
ঢাকা টু কলকাতা ১৪০০
কলকাতায় রাতে থাকা ১0০০
ট্রেনের টিকিট ৩০০০ জনপ্রতি
দিল্লীর হোটেল ভাড়া ১৫০০
দিল্লী টু মানালী ১৫০০
মানালী হোটেল ভাড়া সর্বোচ্চ ২০০০
রোটাং পাসের জন্য গাড়ী ভাড়া ৪০০০
আপনই ইন্ডিয়া যাওয়ার পরে প্রতিবেলা ১৫০ রুপি করে লাগবে খেতে। তবে নরমাল রেস্টুরেন্টে। আমি আবারো বলছি যেখানেই খাবেন দাম জিজ্ঞেস করে খাবেন।সব মিলিয়ে জনপ্রতি ১০/১২ হাজার রুপি সাথে নিয়ে গেলে আপনি মহা আনন্দে ঘুরে আসতে পারবেন।