নিয়োগকর্তার কাছে এক ডজন প্রশ্ন
নিয়োগকর্তার কাছে এক ডজন প্রশ্ন
চাকরির সাক্ষাৎকার পর্বে শুধু চাকরিদাতা প্রশ্ন করে যাবেন তা নয়, চাকরিপ্রত্যাশীও সাক্ষাৎকার পর্বে চাকরিদাতাকে প্রশ্ন করতে পারেন, করা উচিত। তবে সে ক্ষেত্রে নিয়োগকর্তার প্রশ্ন করা শেষ হলে প্রশ্ন করাকেই যথাযথ হবে। একটি সফল সাক্ষাৎকার বলতে তেমন সাক্ষাৎকারকেই বোঝানো হয়, যেখানে চাকরিদাতা এবং চাকরিপ্রত্যাশী উভয়ই নিজেদের জানতে চাওয়াগুলো নিয়ে আলোচনা করবেন এবং উভয়ই উভয়ের লক্ষ্য ও উদ্দেশ্য সম্পর্কে বিস্তারিত কথা বলবেন।
চাকরিদাতারা নিজেও প্রত্যাশা করেন যে চাকরিপ্রত্যাশী সাক্ষাৎকার পর্বে আলোচনার মাধ্যমে নিজেকে যেমন তুলে ধরবেন, তেমনি নিজের জানতে চাওয়াগুলো তুলে ধরবেন। আর এই জানতে চাওয়া একজন চাকরিপ্রত্যাশীকে শুধু ভিন্নভাবেই উপস্থাপন করে না, বরং প্রতিষ্ঠানে কাজের ব্যাপারে তাঁর আগ্রহের মাত্রা পরিমাপেও নিয়োগকর্তাকে সহায়তা করে। নিজের যোগ্যতা ও দক্ষতার কথা তুলে ধরার পাশাপাশি প্রশ্ন করার মাধ্যমে জেনে নিতে হবে যে কাজটি সত্যি তাঁর জন্য উপযুক্ত কি না। একজন চাকরিপ্রত্যাশী হিসেবে আপনি যে ধরনের প্রশ্নের মাধ্যমে নিয়োগকর্তার কাছ থেকে জেনে নিতে পারেন, তেমন কয়েকটি বিষয় নিচে তুলে ধরা হলো—
১. কর্মীর কাছে নিয়োগকর্তার প্রত্যাশা কী?
২. কর্মীর ভেতরে কী কী যোগ্যতা, দক্ষতার সমন্বয় প্রত্যাশা করছেন?
৩. কোন কোন বিষয়ে কাজের অভিজ্ঞতা প্রত্যাশা করছেন?
৪. প্রতিষ্ঠানে কর্মীদের জন্য কী ধরনের প্রশিক্ষণের সুবিধা রয়েছে?
৫. যে পদের জন্য নিয়োগকর্তা কর্মী খুঁজছেন, সে পদের দায়িত্ব, কর্তব্য কী কী?
৬. প্রতিষ্ঠানের কালচার সম্পর্কে জেনে নেওয়া ভালো।
৭. যে টিমের সঙ্গে কাজ করতে হবে, সেই টিম সম্পর্কে জানতে চাওয়া।
৮. প্রতিষ্ঠান কী করে আপনার ক্যারিয়ারে ভ্যালু যোগ করবে, সে বিষয়ে স্পষ্ট হওয়া জরুরি
৯. কাজের ক্ষেত্রে প্রতিষ্ঠান থেকে কী ধরনের সহযোগিতা পাওয়া যাবে?
১০. প্রতিষ্ঠানের শক্তিশালী দিকগুলো কী কী?
১১. প্রতিষ্ঠান কীভাবে কর্মীদের কাজকে মূল্যায়ন করে থাকে?
১২. এ ছাড়া কাজের ক্ষেত্রে প্রতিষ্ঠানের অভ্যন্তরে কী ধরনের চ্যালেঞ্জের সম্মুখীন হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে, সে বিষয়ে আগে থেকে জানা থাকলে ভবিষ্যতে পরিকল্পনা