যাবজ্জীবন অর্থ আজীবন কারাবাস

Author Topic: যাবজ্জীবন অর্থ আজীবন কারাবাস  (Read 1603 times)

Offline Md. Alamgir Hossan

  • Hero Member
  • *****
  • Posts: 935
  • Test
    • View Profile
যাবজ্জীবন মানে আমৃত্যু কারাবাস বলে অভিমত দিয়েছেন দেশের সর্বোচ্চ আদালত। সর্বোচ্চ আদালতের দেওয়া সাত দফা মতামতসহ পূর্ণাঙ্গ রায় গতকাল সোমবার সুপ্রিম কোর্টের ওয়েবসাইটে প্রকাশ পেয়েছে। যাবজ্জীবন দণ্ডিত ব্যক্তিদের ক্ষেত্রে পদক্ষেপ নিতে ও জানাতে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় ও আইজি-প্রিজনস বরাবর রায়ের কপি পাঠাতে বলা হয়েছে।

২০০১ সালের ১৬ ডিসেম্বর সাভারে ব্যবসায়ী জামান হত্যা মামলায় মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত দুই আসামির করা আপিল গত ১৪ ফেব্রুয়ারি খারিজ করে রায় দেন প্রধান বিচারপতি সুরেন্দ্র কুমার সিনহার নেতৃত্বাধীন চার বিচারপতির বেঞ্চ। রায়ে মৃত্যুদণ্ড কমিয়ে ওই আসামিদের আজীবন কারাদণ্ড দেওয়া হয়। এরপর গতকাল ৯২ পৃষ্ঠার পূর্ণাঙ্গ রায় প্রকাশ পেল। ওই দুই আসামি হলেন আতাউর মৃধা ও আনোয়ার হোসেন।

ওই রায়ের বিষয়ে গতকাল অ্যাটর্নি জেনারেল মাহবুবে আলম প্রথম আলোকে বলেন, সর্বোচ্চ আদালত রায় দিয়েছেন। নিশ্চয়ই নানা রকম আইন দেখে ব্যাখ্যা দিয়েছেন। সর্বোচ্চ আদালতের রায় সবার ওপর প্রযোজ্য হবে। এটি সবাইকে অনুধাবন করার জন্য রায়ের কপি পাঠাতে বলেছেন আদালত। ওনারা ব্যাখ্যা দিয়েছেন আমৃত্যু। তবে কারাবিধিতে যে রেয়াতের সুবিধা আছে, সেটি আমৃত্যুর ক্ষেত্রে প্রযোজ্য হবে কি না, তা রায় না দেখে বলা যাবে না।

রায়ে বলা হয়, দণ্ডবিধির ৩০২ ধারায় কোনো অপরাধীকে মৃত্যুদণ্ড দেওয়ার বিধান রয়েছে এবং যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দেওয়া একটি ব্যতিক্রম। কমানোর মতো বিশেষ পরিস্থিতি থাকলে আদালত মৃত্যুদণ্ড কমিয়ে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিতে পারেন। সে ক্ষেত্রে অবশ্যই কারণ উল্লেখ থাকতে হবে। অভিমতে বলা হয়, দণ্ডবিধির ৫৩ ধারার সঙ্গে ৪৫ ধারা মিলিয়ে পড়লে যাবজ্জীবন অর্থ দণ্ডিত ব্যক্তির বাকি জীবন কারাবাস। আপিল বিভাগ অথবা হাইকোর্ট বিভাগ যদি কোনো মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত আসামির সাজা কমিয়ে যাবজ্জীবন কারাদণ্ডাদেশ দেন এবং নির্দেশ দেন কয়েদিকে বাকি জীবন (ন্যাচারাল লাইফ) ভোগ করতে হবে, এমন মামলায় রেয়াত (কারাভোগে রেয়াত) সুবিধার আবেদন বাইরে থাকবে। অভিমতে আরও বলা হয়, যদি কোনো অপরাধী বিচারের প্রাথমিক পর্যায়ে দোষ স্বীকার করেন, সে ক্ষেত্রে মৃত্যুদণ্ড বা যাবজ্জীবন কারাদণ্ডের মতো শাস্তিযোগ্য অপরাধে আদালত বা ট্রাইব্যুনাল দণ্ড প্রদানে নমনীয় দৃষ্টি দেখাতে পারেন। তবে এ ধরনের মামলার ক্ষেত্রে আদালতকে নিশ্চিত হতে হবে যে অপরাধী কোন অপরাধে নিজেকে দোষী বলে স্বীকার করছেন, তা যাতে সে বুঝতে পারে। আপিল বিভাগ বা হাইকোর্টের দণ্ড কমানোর পরও সংবিধানের ৪৯ অনুচ্ছেদ অনুসারে রাষ্ট্রপতি কোনো দণ্ড মার্জনা, স্থগিত করতে ও কমাতে পারেন।

Offline drrana

  • Sr. Member
  • ****
  • Posts: 325
  • Test
    • View Profile
good one

Offline Raisa

  • Hero Member
  • *****
  • Posts: 908
  • Sky is the limit
    • View Profile
good post
:)