শিশু তিমি ও তার মা
[/size]
সম্ভাব্য শিকারিকে এড়াতে শিশু হাম্পব্যাক তিমি ও তার মা ফিসফিস করে। আজ বুধবার গবেষকেরা এ প্রজাতির তিমির টিকে থাকার কৌশলের এ তথ্য জানান। ‘ফাংশনাল ইকোলজি’ সাময়িকীতে প্রকাশিত হয়েছে গবেষণাসংক্রান্ত নিবন্ধ।
নিবন্ধের প্রধান লেখক সিমন ভাইডসেন বার্তা সংস্থা এএফপিকে বলেছেন, শিশু ও মা তিমি ফিসফিস করে কথা বলে, যাতে আর কোনো অনাকাঙ্ক্ষিত শ্রোতার কানে তা না যায়।
ভাইডসেন বলেন, ফিসফিস না করলে কিলার হোয়েল বা শিকারি তিমির মতো সম্ভাব্য শিকারি তাদের কথা শুনে শিশুর অবস্থানের খোঁজ জেনে ফেলতে পারে।
তিমিরা সাধারণত উচ্চ স্বরে ডাক দিয়ে পুরো দলকে এক জায়গায় ডাকতে পারে। এ ছাড়া প্রজনন মৌসুমে পুরুষ হাম্পব্যাক তিমি প্রতিধ্বনির মতো শব্দ তৈরি করে সঙ্গীকে আকর্ষণ করে। কিন্তু এবার প্রথমবারের মতো শিশু ও মা তিমির মধ্যে অনন্য ও ঘনিষ্ঠ যোগাযোগের কৌশল দেখতে পেয়েছেন গবেষকেরা। অস্ট্রেলিয়া ও ডেনমার্কের গবেষকেরা অ্যান্টার্কটিকায় দুটি মা ও আটটি শিশু তিমিকে ২৪ ঘণ্টা ধরে পর্যবেক্ষণ করেন। গবেষকেরা দেখেন, পূর্ণবয়স্ক তিমির যেখানে উচ্চ স্বরে শব্দ করে, সেখানে শিশু ও মা তিমির মধ্যে ফিসফিস হয় বেশি।
পুরুষ তিমির কান্না কয়েক কিলোমিটার পর্যন্ত শোনা গেলেও শিশু হাম্পব্যাকের ক্ষেত্রে তা ১০০ মিটারের বেশি হয় না।
তথ্যসূত্র: এএফপি।