ডায়াবেটিক রোগীর ভ্রমণকালীন সতর্কতা

Author Topic: ডায়াবেটিক রোগীর ভ্রমণকালীন সতর্কতা  (Read 553 times)

Offline Md. Alamgir Hossan

  • Hero Member
  • *****
  • Posts: 935
  • Test
    • View Profile
ডায়াবেটিস রোগীরা সাধারণ মানুষের মতোই কাছে বা দূরের কোনো স্থানে ভ্রমণ করতে পারবেন। ডায়াবেটিস বেড়ানোর পক্ষে কোনো প্রতিবন্ধকতা নয়। তবে বেড়াতে যাওয়ার আগে যা করতে হবে তা হল-
 
* চিকিৎসকের পরামর্শ নিতে হবে। চিকিৎসককে ভ্রমণের দূরত্ব, ভ্রমণের দিন সম্পর্কে অবগত করতে হবে।
 
* ভ্রমণের পক্ষে যথেষ্ট ইনসুলিন বা খাবার ওষুধ সঙ্গে নিতে হবে।
 
* সর্বদা কাছে কার্বোহাইড্রেট জাতীয় খাদ্য যেমন বিস্কুট রাখতে হবে।
 
* ডায়াবেটিসের ওষুধ বা ইনসুলিন সর্বদা নিজের কাছে রাখতে হবে।
 
* বিদেশযাত্রায় কাস্টমসে জবাবদিহি করার জন্য চিকিৎসকের চিঠি সঙ্গে রাখতে হবে।
 
যদি কারও গ্লুকোমিটার থাকে তবে তা অবশ্যই সঙ্গে নিতে হবে। বিদেশে বা কোনো অপরিচিত জায়গায় যেখানে ল্যাবরেটরিতে ব্লাডসুগার নির্ণয় করা অসুবিধের, সেখানে গ্লুকোমিটারের ভূমিকা অনস্বীকার্য।
 
ইউরোপ বা আমেরিকা গেলে ডাক্তারের পরামর্শ নিয়ে ইনসুলিনের নিয়ম বদল করতে হবে। কারণ এসব দেশের সঙ্গে আমাদের ঘড়ির টাইম আলাদা।
 
বেড়াতে যাওয়ার সময় ইনসুলিন পেন (নোভোপেন) বা নোভোলেট খুবই সুবিধাজনক। আর সবসময় প্রয়োজনের বেশি ইনসুলিন এবং সুঁচ সঙ্গে নিতে হবে। কারণ ভেঙে গেলে বা কোনোভাবে নষ্ট হলে আপনার ইনসুলিন বা ট্যাবলেট নতুন জায়গায় সঠিকভাবে নাও পেতে পারেন। ইনসুলিন ছোট ফ্লাস্কে বরফ দিয়ে নেবেন।
 
বিয়ে বাড়ি বা নিমন্ত্রণবাড়িতে যাওয়ার আগে সতর্কতা
 
ডায়াবেটিস রোগীরা নিমন্ত্রণবাড়ি যেতে পারেন তবে যেগুলো এড়িয়ে চলতে হবে তা হল-
 
* অতিরিক্ত লোক লৌকিকতা। অনেক সময় নিমন্ত্রণ বাড়িতে বেশি খাবার জন্য নিমন্ত্রিত ব্যক্তিকে পীড়াপীড়ি করা হয়। এসব সংযমের মাধ্যমে এড়িয়ে চলতে হবে।
 
* লক্ষ্য রাখতে হবে যেন খাদ্যের মাধ্যমে গৃহীত ক্যালরি অপরিবর্তিত থাকে। এর জন্য রোগীদের খাদ্যদ্রব্যেও অদলবদল প্রক্রিয়া দেখতে বলা হচ্ছে।
 
* নিমন্ত্রণ বাড়িতে খেতে অনেক সময় দেরি হয়ে যায়, তাই যারা ইনসুলিন নেন বা ডায়াবেটিসের ওষুধ খান তাদের অল্প পরিমাণ খাবার নিমন্ত্রণ বাড়িতে যাওয়ার আগে খেয়ে নিতে হবে যেন খাওয়ার দেরি হলেও রক্তে সুগারের মান অতিরিক্ত না কমে যায়।
 
* কখনও রোগীরা নিমন্ত্রণ বাড়িতে বেশি খেয়ে গৃহীত ইনসুলিন বা ডায়াবেটিসের ওষুধের মাত্রা নিজেরাই বাড়িয়ে নেন। এটা কখনই করা যাবে না।