গরমে খাবার নষ্ট হচ্ছে?
গরমের দিনে রান্না বা কাঁচা খাবার দ্রুত নষ্ট হয়। খাবার অণুজীবের মাধ্যমে আক্রান্ত হয়। সেই খাবার খেয়ে ডায়রিয়া, ফুড পয়জনিং, আমাশয় হওয়ার ঝুঁকি বাড়ে। এই গরমে তাই খাবার সংরক্ষণে সতর্কতা জরুরি।
* বাজার থেকে আনা সবজি, কাঁচা মাছ-মাংস দেরি না করে দ্রুত রেফ্রিজারেটরে ঢুকিয়ে রাখুন। ডিম ধুয়ে ফিজে তুলে রাখুন, বাইরে নয়। ফ্রিজে রান্না করা ও কাঁচা খাবার একসঙ্গে রাখা ঠিক নয়। এতে কাঁচা খাবার থেকে রান্না করা খাবার জীবাণু দ্বারা আক্রান্ত হতে পারে।
* মাছ বা মাংস মেরিনেট করে কিছুক্ষণ রাখতে চান, তবে ভালো হয়। পরে তা ঢেকে ফ্রিজে রেখে দিতে পারেন। রান্নার আগে বের করে নিলেন।
* সবজি কাটার পরই রান্না করে ফেলবেন। ফলমূলও কাটার পর খেয়ে ফেলা ভালো। কাটার পর তা সংরক্ষণ না করাই উত্তম। শাকসবজি, ফলমূল পলিব্যাগের চেয়ে কাগজে মুড়ে রাখলে বাইরেও ভালো থাকে।
* রান্নার পর খেতে অনেক দেরি হলে (এ বেলায় রান্না করে ও বেলায় খেলে) বরং ঠান্ডা করে ফ্রিজে রেখে দেওয়াই ভালো। পরে গরম করে খাবেন। রান্নার পর চুলা বন্ধ করে তার ওপর হাঁড়ি রেখে দিলে তাপে খাবার নষ্ট হতে পারে। বেশি নাড়াচাড়া করলে খাবার নষ্ট হয়। রান্নার পর চুলা থেকে হাঁড়ি নামিয়ে রেখে খোলা রেখে একটু ঠান্ডা করুন, ধোঁয়া বেরিয়ে গেলে ভালোভাবে ঢেকে রাখুন।
* একসঙ্গে কয়েক বেলার রান্না অনেকেই করে থাকেন। তবে প্রতি বেলারটা আলাদা পাত্রে সংরক্ষণ করুন যাতে একবারে ওইটুকুই গরম করা হয়। বারবার পুরো খাবার গরম করলে তা নষ্ট হয়ে যাবে। বেঁচে যাওয়া খাবার আবার খেতে হলে ফ্রিজ থেকে বের করে ৭৪ ডিগ্রি সেন্টিগ্রেড তাপমাত্রায় ভালো করে গরম করতে হবে, যেন খাবারের সব অংশে তাপ ঠিকমতো পৌঁছায়।
* ভাত রান্নার পর খেতে দেরি হলে অ্যালুমিনিয়ামের ছিদ্রযুক্ত পাত্রে তা রেখে দিতে পারেন। এতে অনেকক্ষণ ভালো থাকবে।
* ফ্রিজের তাকে তরল দুধ দুই দিনের বেশি ভালো থাকে না।
* খাবার কেনার সময় অবশ্যই মেয়াদোত্তীর্ণ তারিখ দেখে কিনুন।