প্রবাসী আয় বা রেমিট্যান্স কমে যাওয়ার কারণ খুঁজতে গবেষণা শুরু করেছে বাংলাদেশ ব্যাংক। প্রবাসী আয়ের নিম্নগতি ঠেকাতে গবেষণার ফল অনুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে জানিয়েছেন কেন্দ্রীয় ব্যাংকের ডেপুটি গভর্নর আবু হেনা মো. রাজী হাসান।
আজ বৃহস্পতিবার সকালে রাজধানীর মিরপুরে বাংলাদেশ ইনস্টিটিউট অব ব্যাংক ম্যানেজমেন্ট (বিআইবিএম) আয়োজিত রিসার্চ অ্যালামনাক শীর্ষক এক অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। গত এক বছরে বিআইবিএমের গবেষকদের তৈরি ১০টি গবেষণার সারসংক্ষেপ তুলে ধরতে এই অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়।
অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য দেন বিআইবিএমের পরিচালক অধ্যাপক ড. প্রশান্ত কুমার ব্যানার্জী।
আবু হেনা মো.রাজী হাসান বলেন, রেমিট্যান্স কমে যাওয়ার বিষয়টি নিয়ে বাংলাদেশ ব্যাংক সচেতন আছে। এর কারণ খুঁজতে বাংলাদেশ ব্যাংক একটি শক্তিশালী গবেষণা দল গঠন করেছে। এই গবেষণায় রেমিট্যান্স কমে যাওয়ার বেশ কিছু কারণ ইতিমধ্যে খুঁজে পাওয়া গেছে। এসব কারণ ধরে রেমিট্যান্স বাড়াতে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
চলতি অর্থবছরের প্রথম আট মাসে (জুলাই-ফেব্রুয়ারি) প্রবাসী আয় কমেছে ১৭ শতাংশ। কেন্দ্রীয় ব্যাংকের তথ্য অনুযায়ী, চলতি অর্থবছরের প্রথম আট মাসে দেশে ৮১১ কোটি ২৫ লাখ মার্কিন ডলারের প্রবাসী আয় আসে। আগের অর্থবছরের একই সময়ে এসেছিল ৯৭৭ কোটি ৪০ লাখ ডলার।
কারণ সমুহ :
১। আরব আমিরাতে জনশক্তি রপ্তানি বন্ধ অনেক দিন।
২। সোউদিতে অবৈধরা দেশ ফিরে আসছেন, নতুন করে পুরুষ কমী যাওয়া বন্ধ, নারীরাও মোহ ভংগ হয়ে ফেরত আসছে ..
৩। অন্যান্য আরব দেশে যুদ্ধবিগৃহ লেগে থাকায় বাংলাদেশীরা নিরাপদে দেশে ফিরে আসছেন
৪। দেশে রাজনৈতিক অনিস্চয়তা থাকায় বিএণপি জামাত সমরথক নেতা ও ব্যবসায়ীরা তাদের ব্যবসা এবং তাঁদের পরিবারকে বিদেশে স্থানান্তর করতে গিয়ে হুন্ডির মাধ্যমে বিপূল পরিমান টাকা পাচার হচছে। যে কারনে প্রবাসীদের টাকার বড় অংশ দেশে আসছে না।
৫ । আমদানী পন্যের জন্য আন্ডার ইনভয়েসের টাকা প্রবাসীরা যোগার দিচ্ছেন। দেশে বৈধ চ্যানেলে পাঠাচছেন না।
৬ ।রপ্তানী আয় কমে যাওয়া
৭। প্রবাসীরা দেশে বিনিয়োগ এর চাইতে বিদেশেই নতুন করে বিনিয়োগকে লাভজনক ও নিরাপদ মনে করাতে অতিরিক্ত টাকা দেশে পাঠাচছেন না।