http://www.prothom-alo.com/life_style/article/214834/বাংলাদেশে_লাক্সের_৫০_বছর
"৫০ বছর ধরে বাংলাদেশের নারীদের সৌন্দর্যচর্চার সঙ্গী হয়ে আছে লাক্স।" - কথাটা দিয়ে শুরু হয়েছে ফিচারটি। পড়তে গিয়ে খটকা লাগলো মনে। কতো বছর ধরে লাক্স ব্যবহার করছি ঠিক মনে নাই। কখনো ভাবি নাই যে লাক্স শুধু মেয়েদের ব্র্যান্ড। এতো দিন পরে এসে জানতে পারলাম যে লাক্স "নারীদের সৌন্দর্যচর্চার সঙ্গী।" প্রথমে ভেবেছিলাম যে এটা প্রতিবেদকের অতি উৎসাহের ফল। পুরো প্রতিবেদন পড়ে আমার ভুল ভাঙলো। এটা প্রতিবেদকের কোন ভুল নয়। বরং ফিচারের শেষে এসে দেখা গেলো খোদ কোম্পানির পক্ষ থেকেই ব্যাপারটাকে খোলাসা করা হয়েছে - "ইউনিলিভার বাংলাদেশ লিমিটেডের ব্র্যান্ড বিল্ডিং ডিরেক্টর, পারসোনাল কেয়ার জাভেদ আক্তার বলেন, ‘গত ৫০ বছরে লাক্স বাংলাদেশের নারীদের জন্য শুধু সবচেয়ে প্রিয় সাবানই নয়, হয়ে উঠেছে বিউটি এবং গ্ল্যামারের আরেক নাম।'..."
তাহলে বোঝা গ্যালো যে লাক্স একটা "ফিমেল ব্র্যান্ড"। আর বুঝে হোক বা না বুঝে হোক আমার মতো অনেক ছেলে/পুরুষ লাক্স ব্যবহার করছে এবং এক কথায় প্রতারিত হচ্ছে। এতোটুকুই শুধু নয়। একটু খোঁজ নিয়ে দেখা গ্যালো যে পরিস্থিতি আসলে এর চেয়ে আরও খারাপ। বাংলাদেশের বাজারে পাওয়া যায় এমন প্রায় সব বিউটি সোপই (গায়েমাখা সাবান) এক কথায় "ফিমেল ব্র্যান্ড"। তাহলে ছেলে/পুরুষরা কোন সাবান ব্যবহার করবে? আর 'বিউটি' বা 'গ্ল্যামার' শব্দগুলো কি ফেমিনিন জেন্ডারবাচক?
আসলে লাভের নেশায় মত্ত এসব কোম্পানি যে প্রতারণার মায়াবী জালে আমাদের আচ্ছন্ন করে রেখেছে এক শব্দে তার নাম 'ধোকাবাজি' যার ইংরেজি প্রতিশব্দ 'Branding' বা 'Marketing' বললে কি খুব বেশি ভুল বলা হবে?.