১। এনার্জি ড্রিংক
আজকাল অনেক রোগ এবং পানিশূন্যতার জন্য দায়ী হচ্ছে এই এনার্জি ড্রিংক। এনার্জি ড্রিংকে প্রচুর চিনি থাকে যা আপনার অন্ত্রে অস্রাবন চাপ সৃষ্টি করে এবং পানি কমায়।
২। কম কার্বোহাইড্রেট গ্রহণ
ওজন কমানোর জন্য অনেকেই কম কার্বোহাইড্রেট গ্রহণ করে থাকেন। যদিও অনেকেই জানেন না যে এই স্বাস্থ্যকর ডায়েটের ফলেও হতে পারে ডিহাইড্রেশন। যদি আপনি কম কার্বোহাইড্রেট সমৃদ্ধ খাবার ও সবজি খান তাহলে তা আপনার শরীরের পানি কমিয়ে দিতে পারে। কারণ নিম্ন কার্বোহাইড্রেটের খাবারে পটাশিয়ামের পরিমাণ বেশি থাকে। তাই যদি কার্বোহাইড্রেট খাওয়া কমিয়ে দেন তাহলে আপনার পানি গ্রহণের পরিমাণ বৃদ্ধি করতে হবে এটি স্মরণ রাখবেন।
৩। হাই প্রোটিন ডায়েট
ডিহাইড্রেশনের আরেকটি কারণ হচ্ছে উচ্চমাত্রার প্রোটিনযুক্ত খাবার খাওয়া। তাই মনে রাখবেন ডিহাইড্রেশন এড়াতে আপনার কার্বোহাইড্রেট ও প্রোটিন গ্রহণের অনুপাত ঠিক রাখা উচিৎ। ঘন প্রোটিন ড্রিংক এড়িয়ে যাওয়া উচিৎ।
৪। লেবুর রস
এর স্বাস্থ্য উপকারিতা অনেক হলেও যদি আপনি দৈনিক এই পানীয়টি বেশি পরিমাণে পান করেন তাহলে আপনার প্রস্রাবের পরিমাণ বৃদ্ধি পাবে। ঘন ঘন প্রস্রাবের ফলে ডিহাইড্রেশনের সমস্যা হতে পারে আপনার। তাই পরিমিত পরিমাণে পান করুন।
৫। কফি
আমরা প্রায়ই কফি পান করি এবং এর ও মূত্রবর্ধক প্রভাব আছে। মাত্রাতিরিক্ত কফি পান করলে আপনার তীব্র ডিহাইড্রেশন, মাথাব্যথা ও অন্যান্য উপসর্গ দেখা দিতে পারে। দৈনিক ১১০ মিলিগ্রামের বেশি কফি পান করা উচিৎ নয়।
৬। লবণাক্ত খাবার
উচ্চমাত্রার সোডিয়ামযুক্ত খাবার খেলে শরীরের পানির ভারসাম্য নষ্ট হয়। কারণ লবণ জলগ্রাহী প্রকৃতির শরীর থেকে পানি শোষণ করে নেয় এবং পানি ধরে রাখে ও পেটফাঁপার সমস্যা হয়।
৭। ডিপ ফ্রাইড ফুড
ভাজা পোড়া খাবার খেলে আপনার গলা শুষ্ক হয়ে যায় এবং তৃষ্ণা অনুভব করেন আপনি তাইনা? খুব বেশি ভাজা পোড়া খাবার খাওয়া স্বাস্থ্যের জন্য উপকারী নয়। এছাড়াও মারাত্মক ডিহাইড্রেশনও সৃষ্টি করতে পারে এই অভ্যাসটি।
সূত্রঃ হেলথ সোসাইটি।