একটা সময় ছিল, যখন লেবু বলতেই মনে হতো সালাদের সঙ্গে লেবু। কখনো ভাত বা পোলাও খেতে লেবু, কখনো শরবতে। সময়ের সঙ্গে সঙ্গে লেবুর ব্যাপারে ধারণা বদলে গেছে। আবার গরমের এই সময় ফল যখন খাচ্ছেনই, তখন মাল্টা খেতে পারেন নানাভাবে, নানা কারণে। মাল্টা ফল হিসেবে যেমন সুস্বাদু, তেমনি এর আছে নানা গুণাগুণ।
লেবু
রোজার দিনে লেবুর শরবত খাবার হিসেবে থাকে জনপ্রিয়তার শীর্ষে। নানা ধরনের খাবার বেক করতে লেবু ব্যবহার করে। উষ্ম গরম পানিতে মধু আর লেবু দিয়ে বানানো পানি শরীরের মেদ কমায়। লেবু ডিটক্স হিসেবে হরহামেশাই ব্যবহৃত হচ্ছে। বেকিং সোডা আর লেবু দিয়ে বানানো পানীয় ওজন কমাতে সাহায্য করে। সি ফুডে ব্যবহার করা সয়া সস ওজন বাড়ায়। খাবার সেদ্ধ করতে সমস্যা হলে এক চা-চামচ লেবুর রসের সঙ্গে এক চিমটি চিনি দিয়ে বসিয়ে দিন। দ্রুত সেদ্ধ হবে।
মাল্টা
মাল্টায় অতি সামান্য ক্যালরি থাকে। তাই খেতে পারেন ইচ্ছামতো। চিনি দিয়ে বানানো শরবতের থেকে এটি একদিকে যেমন আপনাকে পুষ্টি দিচ্ছে বেশি, তেমনি ইচ্ছামতো খাবারের স্বাধীনতাও দিচ্ছে। মাল্টা শরীরের ক্ষতিকর কোলেস্টেরলের মাত্রা কমাতে সাহায্য করে। ভিটামিন ‘সি’র সব অভাব পূরণে বেছে নিতে পারেন।
মাল্টা রক্তে গ্লুকোজের মাত্রা নিয়ন্ত্রণ করে। তাই বহুমূত্র রোগ আছে যাঁদের, তাঁরা কিন্তু নির্দ্বিধায় খেতে পারেন। মাল্টার হেসপেরিডিন এবং ম্যাগনেসিয়াম উচ্চ রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে সহায়তা করে। তাই এ ধরনের রোগীর জন্য এটি উপকারী ফল।
এটি ভিটামিন ‘সি’সমৃদ্ধ ফল, যা অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট-সম্পন্ন। ভিটামিন ‘সি’ রক্তে শ্বেতকণিকার সংখ্যা বাড়ায়, যা দেহের রোগ প্রতিরোধক্ষমতা শক্তিশালী করে। তাই মাল্টা রক্তশূন্যতায় ভুগছে এমন মানুষের জন্য বেশ সহায়ক ভূমিকা পালন করে। মাল্টায় পেকটিন নামের একধরনের ফাইবার আছে, যা কোলন ক্যানসার প্রতিরোধে সাহায্য করে।
নিয়মিত মাল্টা খেলে ত্বকে সজীবতা বজায় থাকবে এবং এটি আপনাকে মুক্তি দেবে ত্বকের বলিরেখা থেকে। সে সঙ্গে লাবণ্য ধরে রাখার কাজটিও করবে। মাল্টা সংক্রমণ প্রতিরোধে সহায়তা করে। এটি প্রদাহজনিত রোগ সারিয়ে তোলে।
Collected ...