এই আর্টিকেলটি লিখতে গিয়ে পঞ্চম শ্রেণির কথা মনে পড়ে গেলো, তৎকালীন সময়ে আমি সরল করা এবং সুদকষা অংকে বেশ পারদর্শী ছিলাম। তো শ্রেণির অংক শিক্ষক আমার প্রতি মুগ্ধ হয়ে বলেছিলেন, “তোর মাথাটা না, পুরাই কম্পিউটার!” যদিও সেই সময় “কম্পিউটার” শব্দটি ব্যতিত এর চেয়ে বেশি কিছু আর জানতাম না, শুধু জানতাম, এদিয়ে আশ্চর্য সব কাজ করানো যায়। তবে তখন না জানলেও, এখন জানি—মানুষের ব্রেইনই আসলে সবচাইতে আশ্চর্য জিনিষ। কম্পিউটারের আমাদের মানুষের মতো বুদ্ধিমত্তা নেই, এই যন্ত্র হালের বলদের মতো শুধু নির্দেশ পালন করে।
কিন্তু কম্পিউটারকে যদি মানুষের মতো বুদ্ধিমান এবং চালাক তৈরি করতে চাওয়া হয়, তবে তা কিভাবে সম্ভব হবে? বিজ্ঞানীরা এই প্রশ্নের পেছনে অনেক ছুটেছে, আর আবিষ্কার করেছে আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স, মেশিন লার্নিং, ডীপ লার্নিং প্রযুক্তি। বহু দশকের সাধনার পরেও কম্পিউটারকে মানুষের মতো শিক্ষা দেওয়া অনেক কঠিনতর ব্যাপার ছিল। তবে নিউরাল নেটওয়ার্কের সাহায্যে মানুষের মতো মিলিয়ন আর্টিফিশিয়াল ব্রেইন সেল ব্যবহার করে কম্পিউটার একদম মানুষের ঘিলুর হুবহু কাজ করতে পারে। নিউরাল নেটওয়ার্ক আবার আর্টিফিশিয়াল নিউরাল নেটওয়ার্ক নামেও পরিচিত—যা ডীপ লার্নিং এর একটি অংশ। তো আসলে এটি কি এবং কিভাবে কাজ করে? চলুন বিস্তারিত জেনে নেওয়া যাক…
http://www.techtunes.com.bd/featured/tune-id/473298