ক্লাসরুমে মনোযোগ ও পরীক্ষার রেজাল্টে শিক্ষার্থীদের স্বাস্থ্যের প্রভাব

Author Topic: ক্লাসরুমে মনোযোগ ও পরীক্ষার রেজাল্টে শিক্ষার্থীদের স্বাস্থ্যের প্রভাব  (Read 1501 times)

Offline Syed Billal Hossain

  • Newbie
  • *
  • Posts: 2
  • Test
    • View Profile
ক্লাসরুমে মনোযোগ ও পরীক্ষার রেজাল্টে শিক্ষার্থীদের স্বাস্থ্যের প্রভাব


আমেরিকার “এডুকেশন কমিশন” এর একটি সাম্প্রতিক গবেষণায় দেখা গেছে যে, স্কুল শিক্ষার্থীদের স্বাস্থ্য এবং ক্লাসরুমে মনোযোগের মাঝে একটি স্পষ্ট সংযোগ রয়েছে। আগস্ট ২০১৫ থেকে চলমান “Health barriers to learning and the education opportunity gap,” শীর্ষক একটি গবেষণায় পাওয়া যায় যে, শিক্ষার্থীদের অসুস্থতা ক্লাসে তাঁদের উপস্থিতি থেকে শুরু করে পরীক্ষার ফলাফল তথা শিক্ষা সম্পর্কিত প্রতিটি বিষয় স্বাস্থ্যের অবস্থার উপর নির্ভর করে। দৃষ্টি প্রতিবন্ধকতা, খাবারে অরুচি, আলসেমি, অপুষ্টি ও নিদ্রাহীনতার মত প্রতিটি স্বাস্থ্য সমস্যাই ক্লাসরুমে মনোযোগে ব্যাঘাত ঘটায়। গবেষণাপত্রটির তথ্য অনুযায়ী, হাই স্কুল শিক্ষার্থীদের প্রধান স্বাস্থ্য সমস্যাগুলি নিম্নরূপঃ
•   অনূর্ধ্ব ১৮ বছর বয়সী শিক্ষার্থীদের শতকরা ১৩ জন হাঁপানি বা শ্বাসকষ্টজনিত অসুস্থতা আছে।
•   প্রতি বৎসর স্কুল শিক্ষার্থীদের শতকরা ২০ জন শারীরিক বা মানসিক হয়রানির শিকার হয়।
•   ১২ – ১৭ বছর বয়সী শিক্ষার্থীদের শতকরা ১২ জনের মাঝে অতি চাঞ্চল্য বা অস্থিরমতি আচরণ দেখতে পাওয়া যায়।
•   ১৫ – ১৯ বছর বয়সী শিক্ষার্থীদের শতকরা ৬ জন অনাবশ্যক গর্ভধারণ এর মুখোমুখি হয়
•   নিম্নবিত্ত শিক্ষার্থীদের শতকরা ২০ জনের চোখে দেখায় সমস্যা পাওয়া যায়।
•   প্রতি তিনজনের দুইজন শিক্ষার্থী জানায় যে, তাঁরা যথেষ্ট শরীর চর্চার সূযোগ পায় না।
•   হাইস্কুল শিক্ষার্থীদের শতকরা ১৪ জন জানায় যে, তাঁরা রোজ সকালের নাস্তা এড়িয়ে যায়।

আরও পাওয়া যায় যে, আর্থিক অনটনে থাকা শিক্ষার্থীদের মাঝে এসব সমস্যা বেশী প্রবল। যেমন ০৩ – ১৭ বছর বয়সী নিম্নবিত্ত শিক্ষার্থীদের মাঝে শতকরা ১২ জন যখন অস্থিরমতি, একই বয়সের উচ্চবিত্ত শিক্ষার্থীদের শতকরা ৮.৮ জন একই রকম আচরণ দেখায়।

এসব সমস্যা সমূহ উত্তরনে এডুকেশন কমিশনের পরামর্শসমূহ হচ্ছে,
•   শিক্ষার্থীদের স্বাস্থ্য এবং স্কুলে পরীক্ষাসমূহের ভাল ফলাফলের উন্নয়নের জন্য কোনো স্বল্পমেয়াদী “ক্রাশ প্রোগ্রাম” এর চেয়ে নিয়মিত মনিটরিং এর মাধ্যমে প্রতিরোধমূলক দীর্ঘমেয়াদী কার্যক্রম বেশি উপকারী হতে পারে।
•   স্বাস্থ্য ও শিক্ষা, দুইটি বিষয়ে একইসাথে লক্ষ্য রাখবার জন্য একটি সমন্বিত কেন্দ্রীয় ব্যবস্থা থাকা প্রয়োজন, যে উদ্যোগে সকল যোগাযোগ একটি নির্দিষ্ট স্থান থেকে হবে এবং গৃহীত সকল ব্যবস্থা একটিমাত্র মাধ্যম হতে শিক্ষার্থীদের কাছে সঠিক উপায়ে বণ্টন হবে।
•   সফল হতে হলে শিক্ষার্থীদের মানসিকভাবে সবসময় চাঙা থাকা প্রয়োজন এবং লক্ষ্যের প্রতি স্থির থেকে এগিয়ে যেতে স্বাস্থ্য ঝুঁকিসমূহ যেন বাঁধা না হতে পারে সে ব্যবস্থা গ্রহনে সর্বোচ্চ চেষ্টা রাখতে হবে। যেন সুন্দর একটি স্বাস্থ্য ব্যবস্থা তাঁদেরকে অনুপ্রেরণা দেয় নিজ নিজ আগামীর স্বপ্ন পূরনে।

গবেষকদের মতে শিক্ষার্থীদের স্বাস্থ্য ঝুঁকিসমূহ প্রতিরোধে পরিবারের পাশাপাশি স্কুল বা শিক্ষা প্রতিষ্ঠানেরও ভূমিকা রাখবার সুযোগ রয়েছে। আর তাই বেশ কিছু শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ইতিমধ্যেই এগিয়ে এসেছে এই সমস্যা নিরসনে। স্কুলগুলি যখন দেখছে যে, স্বাস্থ্য সমস্যা সমূহ সরাসরি পরীক্ষার ফলাফলের সাথে যুক্ত, তখন এই সমস্যা উত্তরণের দায়িত্ব তাঁরা নিজেদের কাঁধেও কিছুটা তুলে নিয়েছে। কিছু স্কুল এখন বিনামূল্যে দুপুরের খাবার দিচ্ছে এবং স্কুলের সারাদিনের কার্যক্রমে কিছু অংশগ্রহণমূলক শারীরিরক কর্মকাণ্ড যুক্ত করেছে। পরিবারের পাশাপাশি শিক্ষকরাও এখন শিক্ষার্থীদের স্বাস্থ্য বিষয়ক সকল বিষয়ে খেয়াল রাখছেন নিয়মিত।
« Last Edit: July 13, 2017, 03:03:47 PM by Syed Billal Hossain »

Offline nasima.nfe

  • Full Member
  • ***
  • Posts: 109
  • Test
    • View Profile