উচ্চশিক্ষার সব নিয়ন্ত্রণ যাচ্ছে কাউন্সিলের হাতে

Author Topic: উচ্চশিক্ষার সব নিয়ন্ত্রণ যাচ্ছে কাউন্সিলের হাতে  (Read 804 times)

Offline MD. ABDUR ROUF

  • Jr. Member
  • **
  • Posts: 82
  • Test
    • View Profile
    • Google Scholar
স্টাফ রিপোর্টার | ২ অক্টোবর ২০১৬, রবিবার | সর্বশেষ আপডেট: ১০:২২
অবশেষে উচ্চশিক্ষার গুণগতমান নিশ্চিত করার জন্য ‘অ্যাক্রেডিটেশন কাউন্সিল আইন-১৬’ এর খসড়া চূড়ান্ত করেছে সরকার। এই আইস পাস হলে উচ্চশিক্ষার সব নিয়ন্ত্রণ যাবে কাউন্সিলের কাছে। বিশ্ববিদ্যালয়ের অনুমোদন ও কার্যক্রম সবকিছুই নিয়ন্ত্রণ করবে প্রতিষ্ঠানটি। শুধু তাই নয়, স্বায়ত্তশাসিত এ প্রতিষ্ঠানটি প্রত্যেক বিশ্ববিদ্যালয়কে একটি সনদ দেবে। বিশ্ববিদ্যালয়ের র‌্যাঙ্কিংও প্রকাশ করবে প্রতিষ্ঠানটি। কাউন্সিলের অনুমোদন ছাড়া কোনো প্রকার বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করতে পারবে না বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ। ৯ সদস্য নিয়ে গঠন করা হবে এ কাউন্সিল। ২৫ বছর বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষকতায় অভিজ্ঞ ব্যক্তিকে কমিশনের সদস্য পদ দেয়া হবে। মন্ত্রিপরিষদে পাস করার জন্য আগামী সপ্তাহে পাঠানো হবে বলে শিক্ষামন্ত্রণালয় সূত্রে জানা গেছে। খসড়া আইন অনুযায়ী, উচ্চশিক্ষা প্রতিষ্ঠান তথা বিশ্ববিদ্যালয়ের একাডেমিক কার্যক্রম, কারিকুলাম এবং কারিকুলাম অনুযায়ী শিক্ষাকার্যক্রম পরিচালনা নিয়ন্ত্রণ করবে কাউন্সিল। বিশ্ববিদ্যালয়ের অনুমোদন এবং গুণগতমানও নিশ্চিত করবে কাউন্সিল। নতুন বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠা বা বিভাগ খোলার জন্য কাউন্সিলের কাছে আবেদন করতে হবে। কাউন্সিলের সদস্যরা সরজমিন পরিদর্শন করে প্রতিবেদন দেবে। পরে কাউন্সিল অনুমোদন দেবে। অনুমোদিত প্রতিষ্ঠানকে একটি সনদ দেয়া হবে। সনদের যোগ্যতা নির্ধারণ করবে গঠিত কাউন্সিল। শর্ত ভঙ্গ করলে সনদ বাতিল করা হবে। কাউন্সিলকে সরকারের কাছে প্রত্যেক আর্থিক বছরের ৩০শে জুনের মধ্যে প্রতিবেদন দিতে হবে। অ্যাক্রেডিটেশন সনদ সম্পর্কে আইনে বলা হয়েছে, সনদের আবেদন প্রক্রিয়া, আবেদন মঞ্জুর ও নামঞ্জুর, অ্যাক্রেডিটেশন সনদের বৈধতা, সনদের উপর শর্তারোপ, অডিট ও অ্যাসেসমেন্ট এবং সনদ বাতিল আইন দ্বারা নিয়ন্ত্রিত হবে। সনদপ্রাপ্ত বিশ্ববিদ্যালয়ের তালিকা কাউন্সিলের ওয়েবসাইটে প্রকাশ করা হবে। কোনো প্রতিষ্ঠানের সনদ বাতিল করা হলে তারা রিভিউ আবেদন করতে পারবেন। আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে কাউন্সিল একটি কমিটি গঠন করে বিবেচনা করবে। কাউন্সিল একটি রেজিস্টারে উচ্চশিক্ষা প্রতিষ্ঠানের একাডেমিক প্রোগ্রাম, প্রতিষ্ঠানের অ্যাক্রেডিটেশন সংক্রান্ত তথ্য লিপিবদ্ধ করবে। রেজিস্টার উচ্চশিক্ষা প্রতিষ্ঠানের রেফারেন্স হিসেবে কাজ করবে। রেজিস্টারের তথ্য কাউন্সিলের ওয়েবসাইটে প্রকাশ করতে হবে। কাউন্সিলের আইন বিষয়ে বলা হয়েছে, অ্যাক্রেডিটেশন সনদ ছাড়া কোনো প্রতিষ্ঠান বিজ্ঞপ্তি বা তথ্য নির্দেশিকার প্রকাশ করতে পারবে না। কোনো সনদও দিতে পারবে না। কাউন্সিলের সদস্যরা কোনো প্রতিষ্ঠান পরিদর্শনকালে কোনো তথ্য গোপন করতে পারবে না। ভুল তথ্য দিলে সনদ বাতিল করা হবে। কাউন্সিল গঠন সম্পর্কে আইনে বলা হয়েছে, গুণগত শিক্ষা সম্পর্কে অভিজ্ঞ, বিশ্ববিদ্যালয়ে কমপক্ষে ২৫ বছর শিক্ষকতায় অভিজ্ঞ এবং ১০ বছর অধ্যাপক হিসেবে অভিজ্ঞ ব্যক্তিকে কমিশনের চেয়ারম্যান করা হবে। কমিশনের খণ্ডকালীন ৮ জন সদস্য থাকবেন। এর মধ্যে বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের একজন পূর্ণকালীন সদস্য, অতিরিক্ত সচিব পর্যায়ের সরকারের একজন প্রতিনিধি, এসোসিয়েশন অব প্রাইভেট ইউনিভার্সিটিজ অব বাংলাদেশের প্রেসিডেন্ট অথবা তার প্রতিনিধি, বিদেশি কোনো স্বীকৃত কোয়ালিটি অ্যাসুরেন্স ও অ্যাক্রেডিটেশন সংস্থার একজন বিশেষজ্ঞ, পেশাজীবী সংস্থার একজন প্রতিনিধি, সরকার কর্তৃক ফেডারেশন অব চেম্বার্সের একজন বিশিষ্ট শিল্প উদ্যোক্তা, সরকার কর্তৃক মনোনীত শিক্ষা প্রশাসনে অভিজ্ঞ একজন শিক্ষানুরাগী, সরকার কর্তৃক মনোনীত তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তিতে অভিজ্ঞ একজন। বিশ্ববিদ্যালয়ে কমপক্ষে ২০ বছরের অভিজ্ঞ শিক্ষকরা সদস্য হতে পারবেন। এ ব্যাপারে শিক্ষামন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব (বিশ্ববিদ্যালয়) মো. হেলাল উদ্দিন বলেন, দেশের উচ্চশিক্ষার গুণগতমান নিশ্চিত করতে ‘অ্যাক্রেডিটেশন কাউন্সিল আইন-১৬’ খসড়া চূড়ান্ত করা হয়েছে। মন্ত্রিপরিষদের অনুমোদনের জন্য আগামী মঙ্গলবার পাঠানো হবে। তিনি আরো বলেন, এর আগে মন্ত্রিপরিষদে অনুমোদনের পর আইন পাসের জন্য সংসদে পাঠানো হয়েছিল। সংসদ সদস্যরা আইনের কিছু ধারায় সংশোধনের জন্য ফেরত পাঠান। তাদের সুপারিশ আইনে সংযুক্ত করা হয়েছে। এর পর আইন মন্ত্রণালয়ে ভেটিং শেষে মন্ত্রিপরিষদে পাঠানো হবে।
Dr. Md. Abdur Rouf
Associate Professor of Accounting
Faculty of Business and Economics
Daffodil International University