Two tons of sunfish

Author Topic: Two tons of sunfish  (Read 2505 times)

Offline rumman

  • Hero Member
  • *****
  • Posts: 1020
  • DIU is the best
    • View Profile
Two tons of sunfish
« on: July 25, 2017, 12:47:24 PM »

ওশান সানফিশ—বিশ্বের সবচেয়ে ভারী হাড়ের মাছ (বনি ফিশ) হিসেবে পরিচিত। ১৩০ বছর পর এই মাছের নতুন এক প্রজাতির সন্ধান পেয়েছেন বিজ্ঞানীরা। এর ওজনও হয় অনেক, দুই টনের (প্রায় এক হাজার ৮০০ কেজি) বেশি। লম্বায় তিন মিটারের মতো। দেখতে অনেকটা ডানাযুক্ত স্যুটকেসের মতো।

এই প্রজাতির সানফিশের আরেকটা বিশেষত্ব আছে। সমুদ্রের এমন জায়গায় এদের আনাগোনা, যেখানে মানুষ বা অন্য জলজ প্রাণীদের আনাগোনা তেমন নেই। অর্থাৎ, এই মাছ দিনের পর দিন নিজেকে লুকিয়ে রাখতে সক্ষম। আত্মগোপনের এই স্বভাবের কারণে মাছটিকে খুঁজে পেতে ১৩০ বছর সময় লেগেছে বিজ্ঞানীদের। খুঁজে পাওয়ার পর নামকরণও করা হয়েছে এর ‘ধোঁকাবাজ’ স্বভাবের সঙ্গে মিল রেখে—‘হুডউইংকার সানফিশ’, বৈজ্ঞানিক নাম ‘মোলা টেকটা’। মজার বিষয় হলো, এমন প্রজাতির সানফিশের ডিএনএ পাওয়া যায় আগে। অস্ট্রেলিয়ার ‘মারডক ইউনিভার্সিটি’র গবেষক মেরিয়ানে নাইগার্দে এর পরই উঠেপড়ে লাগেন মাছটির খোঁজে।

বিশাল বপুর এই ‘ধোঁকাবাজ’ মাছের সন্ধান কিভাবে মিলল—সেই গল্প বলতে গিয়ে নাইগার্দে জানান, তাঁরা শুরুতে অন্তত ১৫০ প্রজাতির সানফিশের ডিএনএ নমুনা নিয়ে গবেষণা করেন। তাতে দেখা যায়, অন্তত চার প্রজাতির সানফিশ আছে। এর মধ্যে তিন প্রজাতির সানফিশ বিভিন্ন সময় ধরা পড়েছে। বাকি একটি প্রজাতির খোঁজে অনুসন্ধান শুরু হয়।

নাইগার্দে জানান, তিনি ইন্টারনেটে বিভিন্ন সানফিসের ছবি খুঁজতে থাকেন। এর মধ্যে ২০১৪ সালে খবর আসে নিউজিল্যান্ডের একটি উপকূলে চারটি সানফিশ ভেসে এসেছে। সঙ্গে সঙ্গে বিমানে চড়ে অস্ট্রেলিয়া থেকে নিউজিল্যান্ড যান সদলবলে। রাতের আঁধারেই স্বচক্ষে দেখতে যান মাছগুলো। আলো বলতে ছিল সঙ্গে থাকা একজনের গাড়ির হেডলাইট।

নাইগার্দে জানান, মাছগুলো আকারে খুবই ছোট ছিল। কিন্তু এগুলো কি সেই সানফিশ, যার জন্য তিনি দিনের পর দিন অনুসন্ধান চালিয়ে যাচ্ছেন? নাইগার্দে বলেন, তিনি নিশ্চিত হতে পারেননি। কেবল মনে হচ্ছিল, নতুন কিছুু একটা হবে। এরপর নিশ্চিত হতে বিশ্বের বিভিন্ন দেশের সানফিশের নমুনা সংগ্রহ করে সেগুলোর সঙ্গে মেলাতে থাকেন তিনি। ‘হিসাব না মেলা’ সেই সানফিসের আরো ২৭টি নমুনা সংগ্রহ করেন তিনি। এরপর তিন বছর ধরে পরীক্ষা-নিরীক্ষা চালিয়ে নিশ্চিত হন, এটিই সেই সানফিশ, যা গত ১৩০ বছর ধরে ‘আত্মগোপনে’ ছিল।

এ বিষয়ক একটি প্রতিবেদন সম্প্রতি ছাপা হয়েছে ‘জিওলজিকাল জার্নাল অব দ্য লিনিয়েন সোসাইটি’ সাময়িকীতে। মেরিয়ানে নাইগার্দ বলেন, ‘আমরা কেবল নতুন এ প্রজাতির বিষয়টি নিশ্চিত হতে পেরেছি। তবে আমার মনে হয়, এ মাছ সম্পর্কে অনেক তথ্য আছে, যা এখনো আমরা জানতে পারিনি। ’ ওশান সানফিশ—সাধারণত গ্রীষ্মমণ্ডলীয় কিংবা উষ্ণ পানিতে বেশি থাকে। তবে তিমির মতো বেশ কিছুু সামুদ্রিক প্রাণী আছে, যেগুলোর কারণে অনেক ওশান সানফিশ সংকটের মুখে।

সূত্র : সায়েন্স এলার্ট।
Md. Abdur Rumman Khan
Senior Assistant Registrar