রাউটারের অবস্থান দেখুন
বেশির ভাগ মানুষই রাউটার বসানোর স্থানটিকে গুরুত্ব দিতে চায় না। অথচ এটা জরুরি। আপনার ধীরগতির ওয়াই-ফাই একপলকে গতিশীল করার জন্য হয়তো রাউটারটি কেবল একটু ওপরে তুলতে হতে পারে। কিংবা নিচে কোথাও রাখতে হতে পারে। মোট কথা, এই যন্ত্রটাকে খোলামেলা স্থানে রাখতে হয়। নইলে সিগন্যাল গোলমেলে হয়ে যেতে পারে।
বাধাগ্রস্ত হতে পারে
কংক্রিট ও ধাতব পদার্থ ওয়াই-ফাইয়ের তরঙ্গ আটকে দিতে ওস্তাদ। এমনকি অন্যান্য কিছু বস্তুও দারুণ গতির ওয়্যারলেস সিগন্যালকে দুর্বল করে দিতে পারে। বিশেষ করে ইলেকট্রনিক যন্ত্রপাতিগুলো বাধা হতে পারে। তাই এর আশপাশে অন্য কিছু নেই, এটা নিশ্চিত করুন।
রাউটার থেকে দূরত্ব
এর থেকে যত দূরে যাবেন, ততই দুর্বল সিগন্যাল পাবে আপনার স্মার্টফোন বা কম্পিউটার। তাই যে যন্ত্রে ইন্টারনেট ব্যবহার করবেন, সেটার কাছাকাছি রাখবেন রাউটার। দূরত্ব বাড়লে সিগন্যালও ধীর হতে থাকবে।
পথের বাধা মাইক্রোওয়েভ
বাড়ির খাবার রান্নার ইলেকট্রিক যন্ত্রটিও কিন্তু ওয়াই-ফাই নেটওয়ার্কের শত্রু হয়ে ওঠে। হিসাবটা বৈজ্ঞানিক। মাইক্রোওয়েভ ওভেন ২ দশমিক ৪৫ গিগাহার্টজ ফ্রিকোয়েন্সিতে কাজ করে, যা কিনা ওয়াই-ফাইয়ের ফ্রিকোয়েন্সির খুব কাছাকাছি। ২ দশমিক ৪ গিগাহার্টজের ওয়াই-ফাই ব্যান্ড অনেক সময়ই ২ দশমিক ৪১২ গিগাহার্টজ থেকে ২ দশমিক ৪৭২ গিগাহার্টজ ব্রডকাস্ট করে।
চ্যানেল ইন্টারফেস
এ যুগে তো প্রায় সব বাসায়ই ওয়াই-ফাই থাকে। একটি ভবনের প্রতিটি ফ্ল্যাটেই হয়তো একটি করে রাউটার রয়েছে। এ ক্ষেত্রে চ্যানেল ওভারল্যাপের সমস্যা বিরল কিছু নয়। তাই হয়তো আপনার ওয়াই-ফাই যথেষ্ট শক্তিশালী, কিন্তু চারপাশের চাপে এটাও বিগড়ে যায়।