১. ‘থ্রি স্কয়ার’ মিল
আমরা সাধারণত তিন বেলায়, অর্থাৎ সকাল, দুপুর এবং রাতে খাবার খেয়ে থাকি। এই পদ্ধতিকেই চিকিৎসা বিজ্ঞানের পরিভাষায় থ্রি স্কয়ার মিল বলা হয়ে থাকে। প্রসঙ্গত, এমন নিয়ম মেনে খাবার খাওয়া শরীরের জন্য খুবই উপকারি। একাধিক গবেষণায় দেখা গেছে, এই তিন সময়ে ঠিক মতো খাবার খেলে ওজন বৃদ্ধির আশঙ্কা তো কমেই, সেই সঙ্গে শরীরে পুষ্টির ঘাটতি দেখা দেওয়ার সম্ভাবনাও হ্রাস পায়।
২. সারা দিনের খাবারকে কয়েক ভাগে ভাগ করে নিন
দ্রুত ওজন কমাতে চাইলে প্রথমেই যে কাজটি করতে হবে, তা হল সারা দিনের যে পরিমাণ খাবার খাচ্ছেন তাকে তিন বা আরও বেশি ভাগে ভাগ করে নিয়ে খান। অর্থাৎ একেক বারে অনেক পরিমাণে না খেয়ে অল্প অল্প করে বারে বারে খান। এমনটা করলে শরীরে ক্যালরি বৃদ্ধি পাওয়ার আশঙ্কা কমে। ফলে ওজন নিয়ন্ত্রণে থাকে। তবে খেয়াল রাখতে হবে প্রতিটি মিলের মধ্যে যেন কম করে ২ ঘন্টার ব্যবধান থাকে।
৩. শরীরচর্চার পরে কার্বোহাড্রেট মাস্ট!
মেদ ঝরাতে শরীরচর্চা করতেই হবে। সেই সঙ্গে আরও একটি বিষয় মাথায় রাখা জরুরি। তা হল, এক্সারসাইজের পর পরই দেখবেন খুব ক্ষিদে পাবে। সে সময় কার্বোহাইড্রেট সমৃদ্ধ খাবার, যেমন ভাত অথবা রুটি খেয়ে নেবেন। এমনটা করলে পেশির গঠনে উন্নতি ঘটবে, এনার্জির ঘাটতি দূর হবে, সেই সঙ্গে ভুঁড়ি বাড়ার সম্ভাবনাও কমবে।
৪. মাংসকে ভুলতে হবে
বেশি বেশি করে ফল এবং সবজি খাওয়া শুরু করুন। কমান মাংস খাওয়া। বিশেষত লাল মাংস তো একেবারেই খাওয়া চলবে না। আর একটা জিনিস মনে রাখতে হবে, সন্ধ্যা ৬টার পর রাতের খাবার খাওয়া চলবে না। যদি রাতের দিকে একান্ত ক্ষিদে পেয়ে যায় তাহলে অল্প করে খাবার খেতেই পারেন, তবে বেশি মাত্রায় খাওয়া চলবে না। কারণ রাত যত বাড়তে থাকে, তত আমাদের পরিপাকতন্ত্রের সক্রিয়তা কমে যায়, ফলে ডিনারে হালকা খাবার না খেলে ওজন বাড়ার আশঙ্কা বহুলাংশে বৃদ্ধি পায়।
৫. সপ্তাহে দুবার উপোস করতেই হবে
দ্রুত ওজন কমাতে চান তো সপ্তাহে ৪৮ ঘন্টা না খেয়ে থাকতেই হবে। কোনও উপায় নেই! দুদিন উপোশ করে বাকি দিন ইচ্ছা মতো খেতেই পারেন। তবে অবশ্যই পরিমিত হারে। এই নিয়মটি মানলে দেখবেন হাতে নাতে ফল পাবেন।
৬. রাতের খাবার কেমন হবে?
খেয়াল রাখবেন রাতে যাই খান না কেন, তা যেন প্রোটিন এবং ফাইবার সমৃদ্ধ হয়, তাহলে সারা রাত আর ক্ষিদে পাওয়ার সম্ভাবনা থাকবে না। সেই সঙ্গে ক্যালরি জমার সম্ভাবনাও কমবে।