সপ্তাহ অনুযায়ি গর্ভাবস্থা দ্বিতীয় তিন মাস

Author Topic: সপ্তাহ অনুযায়ি গর্ভাবস্থা দ্বিতীয় তিন মাস  (Read 1236 times)

Offline imran986

  • Sr. Member
  • ****
  • Posts: 375
  • If you don't try, Allah will not help you too
    • View Profile
১৩ সপ্তাহ:
অভিনন্দন!!! আপনার দ্বিতীয় তিন মাসের প্রথম সপ্তাহ।খাবারের রুচি বেড়ে যেতে পারে বা বমি ভাবের কারনে অরুচি দেখা দিতে পারে।টক,মসলাদার বা মিস্টি খাবারের প্রতি আসক্তি দেখা দিতে পারে।বমি ভাব কমে যাবে ও আগের চেয়ে কিছুটা সুস্থ বোধ করবেন।
১৪ সপ্তাহ:
এই সপ্তাহে বাচ্চার নড়াচড়া অনুভব করবেন। এই সময় বাচ্চা ৯-১০ সে. মি. লম্বা হয় ও ওজন ৫০ গ্রামের মত হয়।এই সময় বাচ্চা শ্বাস প্রশ্বাস নেয় ও অ্যামিওনিটিক ফ্লুইড গ্রহন করে।এটি বাচ্চার শ্বসনতন্ত্র ও খাদ্যতন্ত্র গঠনে সাহায্য করে। ঘুমের সমস্যা দেখা দিতে পারে ও পায়ে ব্যথা হতে পারে। হালকা ম্যাসাজ করলে উপকার পাওয়া যাবে।
১৫ সপ্তাহ:
এই সপ্তাহে বাচ্চা ৯-১০ সে. মি. লম্বা হয় ও ওজন ১০০ গ্রামের মত হয়।বাচ্চার ত্বক খুবই পাতলা হয় এবং চুল উঠতে শুরু করে।এই সময় বমি বমি ভাব কমে আসবে ও আগের চেয়ে সুস্থ অনুবভ করবেন।হাত ও পায়ে পানি আসতে পারে। এক্ষেত্রে হালকা ব্যায়াম, সাতাঁর বা হাটাহাটি করতে পারেন এবং অবশ্যই নিয়মিত ৮ গ্লাসের মত পানি পান করবেন।
১৬ সপ্তাহ:
এই সপ্তাহে বাচ্চা ১১-১২ সে. মি. লম্বা হয়। এই সময় বাচ্চার কান ও চোখ সঠিক অবস্থানে আসে । হাত ও পায়ের নখ তৈরী হয়।কোমরে ব্যাথা অনুভব করতে পারেন।এই ক্ষেত্রে বাম দিকে কাত হয়ে ঘুমাবেন। এক জায়গায় অনেকক্ষন দাড়িয়ে থাকবেন না এবং বসার পরে পা ছড়িয়ে দিন ।দাঁতের মাড়ি ফুলে যেতে পারে বা রক্ত পড়তে পারে। দাঁতের সঠিক যত্ন নিন ও ডেন্টিস্টের পরামর্শ নিন।
১৭ সপ্তাহ:
এই সপ্তাহে বাচ্চা ১৩.৫ সে. মি. লম্বা হয় ও ওজন ১৫০ গ্রামের মত হয়।পেটের নিচে অংশে ব্যথা হতে পারে কারন বাচ্চার বৃদ্ধির সাথে সাথে পেশীর উপর চাপ পড়ে।কোমরে ও হাত পায়ে ব্যাথার অনুভূতি থাকতে পারে।আপনার ক্ষুধা বেড়ে যেতে পারে। বুকজ্বালা পোড়া হলে একাসাথে বেশী খাবার খাবেন না ও খাবার পরপর শুয়ে পড়বেন না।
১৮ সপ্তাহ:
এই সপ্তাহে বাচ্চা ১৫ সে. মি. লম্বা হয় ও ওজন ২৫০ গ্রামের মত হয়।এই সময় বাচ্চা শব্দ শুনতে পায় ও নড়াচড়া করার সুযোগ পায়।মাথা ঘুরাতে পারে, সাদা রংয়ের vaginal discharge বের হতে পারে।যদি vaginal discharge এর রং পরিবর্তন হয় এবং চুলকনি ও দুর্গন্ধ থাকে তাহলে ডাক্তারের পরামর্শ নিন।
১৯ সপ্তাহ:
এই সপ্তাহে বাচ্চার ওজন ৩০০ গ্রামের মত হয় ও ১৬ সে. মি. লম্বা হয় । এই সময় বাচ্চার ত্বকে সাদা ক্রিমের মত পদার্থের প্রলেপ দেখা যায়। এটা বাচ্চার ত্বককে অ্যামিওনিটিক ফ্লুইডের এফেক্ট থেকে রক্ষা করে।যথাসম্ভব বিশ্রাম নেয়ার চেষ্টা করুন।
২০ সপ্তাহ:
অভিনন্দন !! আপনি গর্ভকলীন সময়ে অর্ধেক সময় পার করে ফেলেছেন।এই সপ্তাহে বাচ্চা ১৮ সে. মি. লম্বা হয় ও ওজন ৩৫০ গ্রামের মত হয়।ঘুমের ব্যাঘাত ঘটতে পারে ও দু:স্বপ্ন দেখতে পারেন। নিজেকে মানসিকভাবে শান্ত রাখার চেষ্টা করুন।যেহেতু বাচ্চা খুব দ্রুত বাড়তে থাকে তাই এটি ফুসফুসে চাপ সৃষ্টি। এই জন্য শ্বাসকষ্ট দেখা দিতে পারে।
২১ সপ্তাহ:
এই সপ্তাহে বাচ্চার ওজন ৩৫০-৪২৫ গ্রামের মত হয় ও ১৯ সে. মি. লম্বা হয়। বাচ্চার চোখের পাপড়ি ও ভ্রু যুগল তৈরী হতে শুরু করে।বাচ্চার নড়াচড়া আগের চেয়ে বেশী অনুভব করবেন।এই সময়ে বাচ্চা স্বাদগ্রন্থি তৈরী হতে শুরু করে তাই মায়ের বিভিন্ন স্বাদের খাবার খাওয়া্ উচিত।
২২ সপ্তাহ:
আপনার ২য় তিন মাস প্রায় শেষ হওয়ার পথে। এই সময় আপনি নতুন বাচ্চার জন্য প্রস্তুতি নিতে শুরূ করতে পারেন। এই সপ্তাহে বাচ্চা ২০ সে. মি. লম্বা হয় ও ওজন ৪২৫-৫০০ গ্রামের মত হয়।আপনার ওজন এখন থেকে দ্রুত বাড়তে থাকবে। এই সময় বাচ্চার ঠোঁটের গঠন সর্ম্পূণ হয়।ডায়াবেটিস টেস্ট করার জন্য ডাক্তারের পরামর্শ নিন (২৪-২৮ সপ্তাহের মধ্যে করাবেন)
২৩ সপ্তাহ:
এই সপ্তাহে বাচ্চার ওজন ৫০০-৬০০ গ্রামের মত হয় ও ২১ সে. মি. লম্বা হয়।বাচ্চার ফুসফুসের বৃদ্ধি অব্যাহত থাকে।বাচ্চা আপনার কথা ও হৃদস্পন্দন শুনতে পায়।পায়ে পানি আসতে পারে ও কোমরে ব্যথা থাকে।দাঁত থেকে রক্ত পড়তে পারে তাই দাঁতের যত্ন নিন।
২৪ সপ্তাহ:
এই সপ্তাহে বাচ্চার ওজন ৬০০-৭০০ গ্রামের মত হয় ও ২২ সে. মি. লম্বা হয়। বাচ্চার চোখের গঠন সম্পূর্ণ হয়। এই সময় বুক জ্বালাপোড়া,পেশীতে ব্যথা, মাথা ঘুরানো ও অবসাদ অনুবভ করতে পারেন।চোখে শুস্ক ভাব, কচকচে ভাব ও আলোর প্রতি সংবেদনশীলতা আসতে পারে।শরীরে স্ট্রেচ মার্ক দেখা যায় বিশেষ করে পেটে এবং হালকা চুলকানিও হতে পারে।এই সময় লোশন বা ক্রীম মাখতে পারেন এতে করে চুলকানি কমবে।
২৫ সপ্তাহ:
এই সপ্তাহে বাচ্চার ওজন ৭০০-৮০০ গ্রামের মত হয় ও ২৩ সে. মি. লম্বা হয়।এই সময় বাচ্চার বিভিন্ন ইন্দ্রিয় যেমন চোখ, নাক, কান ও জিহ্বা পূর্ণতা পেতে শুরু করে।বারবার প্রসাবের বেগ হওয়া বা প্রসাবে জ্বালাপোড়া মূত্রনালীর সংক্রমণ বা ইউরিনারি ট্রাক্টে ইনফেকশনের লক্ষন। এই লক্ষনগুলোকে পর্যবেক্ষন করুন ও ডাক্তরের পরামর্শ নিন।কোন হাসপাতালে ডেলিভারী করাতে চান তা এখন থেকেই ঠিক করে নিতে পারেন।
২৬ সপ্তাহ:
এই সপ্তাহে বাচ্চার ওজন ৮৫০-১০০০ গ্রামের মত হয় ও ২৪ সে. মি. লম্বা হয়।এই সপ্তাহে বাচ্চা প্রথমবারের চোখ খুলতে পারে। যদিও মায়ের গর্ভে দেখার তেমন কিছুই নেই কিন্তু কোন তীব্র আলো মায়ের গর্ভে পড়ে তাহলে তা সনাক্ত করতে পারে।মায়ের খাবারের প্রতি বেশী যত্নশীল হতে হবে।অল্প অল্প করে বার বার খাবেন এতে করে আপনার ব্লাড সুগার লেভেল ঠিক থাকবে এবং ক্লান্তি অনুভব করবেন না।আগামী সপ্তাহ থেকে আপনার তৃতীয় তিন মাস শুরু হবে।
...........................
Md. Emran Hossain
Coordination Officer
Department of Nutrition and Food Engineering (NFE)
Daffodil International University

Offline deanoffice-fahs

  • Full Member
  • ***
  • Posts: 155
  • Test
    • View Profile
........................................
Al Mozammel
Administrative officer
Office of the Dean
Faculty of Allied Health Sciences
Daffodil International University