Famous > History

History of Muslim'S

<< < (10/11) > >>

Md. Zakaria Khan:
ইনসাফ প্রতিষ্ঠা:
মুমিনদের লক্ষ করে পবিত্র কোরআনে বলা হয়েছে, ‘ইমানদাররা! তোমরা ইনসাফ প্রতিষ্ঠাকারী হয়ে যাও আল্লাহর সাক্ষীরূপে, যদিও তা তোমাদের নিজেদের বিরুদ্ধে কিংবা বাবা-মা ও আত্মীয়স্বজনের বিরুদ্ধে হয়।’ সুরা আন নিসা : ১৩৫
পবিত্র কোরআনের অন্যত্র আরও ইরশাদ হয়েছে, ‘যখন তোমরা কথা বলবে তখন ন্যায্য বলবে যদিও নিকটাত্মীয়ের বিষয়ে হয়।’ সুরা আনআম : ১৫২
‘বলে দাও, আমি তো আল্লাহ যে কিতাব নাজিল করেছেন তার প্রতি ইমান এনেছি আর তোমাদের মধ্যে ইনসাফ প্রতিষ্ঠায় আমি আদিষ্ট।’ সুরা শুরা : ১৫
এসব আয়াতের মধ্যে সুস্পষ্টভাবে বলা হয়েছে, ইনসাফ প্রতিষ্ঠার ক্ষেত্রে আপন এবং পরের মধ্যে যেন কোনো পার্থক্য করা না হয়, যা সত্য তাই যেন প্রতিষ্ঠিত হয়। তাই জীবনের সব ক্ষেত্রে সবার তরে ইনসাফ একান্ত জরুরি

Md. Zakaria Khan:
انك لا تهدي من احببت ولكن الله يهدي من يشاء،
তুমি যাকে ভালোবাসো, ইচ্ছে করলেই তাকে হেদায়েত করতে পারবে না!
তাকে সৎ পথে আনতে পারবে না!
তবে আল্লাহ যাকে ইচ্ছা হেদায়েত দান করেন এবং যাকে ইচ্ছা সৎ পথে আনেন!
এবং কে সৎ পথে আসবে তা তিনিই ভালো জানেন!
[সূরা আল কাসাস,৫৬]
তাহলে শুকরিয়া আদায় করেন সেই রবের! যিনি পৃথিবীতে এতগুলা মানুষ থাকতে আপনাকেই হেদায়েতের জন্য বেছে নিয়েছেন!
আলহামদুলিল্লাহ!"

Md. Zakaria Khan:
মূসা (আ:) তার রবকে জিজ্ঞেস করেছিলেন,
"হে আমার রব আপনি আদম (আ:) কে নিজ হাতে সৃষ্টি করেছেন"
"তার মধ্যে রুহ ফুকে দিয়েছেন"
"ফেরেশতাদের দ্বারা সিজদাহ করিয়েছেন"
"তাকে জান্নাতে প্রবেশ করিয়েছেন"
"তার তওবা কবুল করেছেন"
তিনি কিভাবে আপনার এই নিয়ামতের শুকরিয়া আদায় করবেন?
আল্লাহ তায়ালা জবাবে বললেন,
"হে মূসা (আ:) আদম এর জন্য এটুকুই যথেষ্ট যে সে বলবে আলহামদুলিল্লাহি রব্বিল আল-আমিন (সকল প্রশংসা আল্লাহর জন্য যিনি সৃষ্টিকুলের মালিক)"
মূসা (আঃ) তার রবকে জিজ্ঞেস করলেন,
"যখন কোনো বান্দা আপনার কাছে মাথা নত করে বলে হে আমার রব, তখন আপনি কী বলেন"
তখন আল্লাহ সুবহানাহু ওয়া তায়ালা বলেন,
"লাব্বাইকা ইয়া আব্দি(হে আমার বান্দা আমি এখানে আছি)"
মূসা (আঃ) পুনরায় তার রবকে জিজ্ঞেস করলেন,
"যদি কেউ সিজদারত অবস্থায় এই কথা বলে"
আল্লাহ সুবহানাহু ওয়া তায়ালা বলেন, তখনও আমি বলি,
"লাব্বাইকা ইয়া আব্দি(হে আমার বান্দা আমি এখানে আছি)"
মূসা (আঃ) আবারও জিজ্ঞেস করেন,
"যদি গুনাহগার অবস্থায় কেউ এই কথা বলে"
আল্লাহ সুবহানাহু ওয়া তায়ালা বলেন, তখনও আমি বলি,
"লাব্বাইকা লাব্বাইকা লাব্বাইকা(আমি এখানেই আছি,,আমি এখানেই আছি,,আমি এখানেই আছি)"
আস্তাগফিরুল্লাহ(আর তোমরা আল্লাহ তায়ালার কাছে ক্ষমা চাও)
ইন্নাল্লাহা গফুরুর রহিম(নিশ্চয় আল্লাহ তায়ালা অতীব ক্ষমাশীল, পরম দয়ালু)

Md. Zakaria Khan:
رَبِّ إِنِّي لِمَا أَنزَلْتَ إِلَيَّ مِنْ خَيْرٍ فَقِير
উচ্চারণ : ‘রাব্বি ইন্নি লিমা আনজালতা ইলাইয়্যা মিন খাইরিন ফাকির।
অর্থ : ‘হে আমার প্রভু! তুমি আমার প্রতি যে অনুগ্রহ নাজিল করবে, নিশ্চয় আমি তার মুখাপেক্ষী।’ (সুরা কাসাস : আয়াত ২৪)

এটি ছিলো হজরত মুসা আলাইহিস সালামের একটি আকুতি। আল্লাহর কাছে আশ্রয় লাভ ও কাজ অনুসন্ধানের আহ্বান উঠে এসেছে এ দোয়ায়। কুরআনুল কারিমে ঘটনাটি এভাবে এসেছে-
হজরত মুসা আলাইহিস সালাম যখন ফেরাউনের ঘর থেকে বেরিয়ে আসেন। তখন তার কোথাও যাওয়ার, আশ্রয়ের কিংবা জীবিকার কোনো সংস্থান ছিল না। ফেরাউনের ঘর থেকে বেরিয়ে সে সময় তিনি অনেক দূরে চলে গিয়েছিলেন। আল্লাহ বলেন-
‘যখন সে মাদইয়ানের কূপের কাছে পৌঁছল। সেখানে দেখল একদল লোক তাদের পশুগুলোকে পানি পান করাচ্ছে এবং তাদের পিছনে দু’জন নারী তাদের পশুগুলোকে আগলে আছে। মুসা আলাইহিস সালাম বললেন, তোমাদের কি হলো? (দাঁড়িয়ে আছ কেন?) ওরা (নারী) বলল, রাখালরা ওদের পশুগুলোকে নিয়ে সরে না গেলে আমরা আমাদের পশুগুলোকে পানি পান করাতে পারি না। আর আমাদের বাবা অতি বয়স্ক মানুষ।’ (সুরা কাসাস : আয়াত ২৩)
পরের আয়াতেই মুসা আলাইহিস সালামের কাজ চেয়ে আল্লাহর মুখাপেক্ষী হওয়ার আবেদন এসেছে। আল্লাহ তাআলা মুসা আলাইহিস সালামের সে আহ্বান তথা দোয়া এভাবে তুলে ধরেন-
‘মুসা (আলাইহিস সালাম) তখন ওদের (দুই নারীর) পশুগুলোকে পানি পান করালো। তারপর সে ছায়ার নিচে আশ্রয় গ্রহণ করে বলল- ‘হে আমার প্রভু! তুমি আমার জন্য যে অনুগ্রহ নাজিল করবে, নিশ্চয় আমি তার মুখাপেক্ষী।’ (সুরা কাসাস : আয়াত ২৪)
অর্থাৎ আমার জীবিকা নির্বাহের জন্য কাজ বা চাকরি দরকার। তুমি আমার জন্য যে কাজ বা জীবিকার ব্যবস্থা করবে। আমি তোমার ব্যবস্থা করা সে কাজের বা জীবিকার মুখাপেক্ষী।
পরের আয়াতে মুসা আলাইহিস সালামের প্রতি অনুগ্রহ নাজিলের সুসংবাদ রয়েছে। আল্লাহ তাআলা তা উল্লেখ করেন এভাবে-
‘তখন (ওই) দুই নারীর একজন জড়োসড়ো পায়ে তার কাছে এসে বলল- আপনি যে আমাদের পশুগুলোকে পানি পান করিয়েছেন, তার পারিশ্রমিক দেয়ার জন্য আমার বাবা আপনাকে ডাকছেন। তারপর মুসা আলাইহিস সালাম তার কাছে এসে সব ঘটনা বর্ণনা করলেন। সে বলল, ‘ভয় করো না। তুমি জালিম সম্প্রদায়ের কবল থেকে বেঁচে গেছ। ওদের (দুই নারীর) একজন বলল- হে আব্বা! আপনি একে মজুর হিসেবে নিযুক্ত করুন। কারণ আপনার মজুর হিসেবে নিশ্চয় সে (মুসা) উত্তম হবে, যে শক্তিশালী ও বিশ্বস্ত।’ (সুরা কাসাস : আয়াত ২৫-২৬)
আর এভাবেই হজরত মুসা আলাইহিস সালামের চাকরির অনুগ্রহ প্রার্থনার দোয়া কবুল হয়েছিল। সেখানে তার থাকা-খাওয়ার ব্যবস্থা হয়েছিল।
চাকরি কিংবা কাজ, কোনোটিই মহান আল্লাহর ইশারা ছাড়া হয় না। তাই আল্লাহর অনুগ্রহ লাভে চাকরির জন্য হজরত মুসা আলাইহিস সালামের সে আবেদন মুমিন মুসলমানের জন্য অনুকরণীয় ও অনুসরণীয়।

Md. Zakaria Khan:
ইসলামে পুরুষদের বিয়ে একটাই।

কুরআনে পুরুষের একটি বিয়ের কথাই বলা হয়েছে।

এ কথায় অনেকেই হয়তো চমকে যাবেন। সেটাই স্বাভাবিক। অনেকেই ভাবেন চারটি পর্যন্ত বিয়ে করা জায়েজ। কেউ বলেন ফরজ।

অনেক অমুসলিমেরও ধারণা আল্লাহর নির্দেশেই মুসলিম পুরুষ চারটি বিয়ে করেন।

একথা ঠিক, কুরআনে চারটি পর্যন্ত বিয়ের "অনুমতি" দেওয়া হয়েছে। তবে সে বিয়ে চঞ্চলা চপলা যুবতী নারীর রূপ যৌবনে মুগ্ধ হয়ে বিয়ে নয়,

তিনটি বিশেষ শ্রেণীর নারীকে বিয়ের জন্য ই সে অনুমতি।

১, সমাজের অসহায় যুবতী।

২. অসহায় বা ল বিধবা, বা বিধবা।

৩. স্বামী পরিত্যক্তা মহিলা।

অর্থাৎ এই অনুমতি বঞ্চিত অসহায় নারী জাতিকে রক্ষার জন্য, মোটেই সম্ভোগের জন্য নয়।

তবে এ ক্ষেত্রেও কঠিন শর্ত আরোপ করা হয়েছে। তা হল, সকল স্ত্রীর প্রতি সমান ব্যাবহার।

" - কিন্তু যদি আশঙ্কা করো যে, সকলের প্রতি সমান ব্যবহার করতে পারবে না, তবে একটি মাত্র বিয়ে করো।" (সূরা নিসা: ৪:৩)।

এই অনুমতি কেই হাতিয়ার করে কিছু সম্ভোগ বিলাসী পুরুষ একাধিক বিবাহে উৎসাহী হন। অনেক অমুসলিম সুযোগ সন্ধানী পুরুষও একাধিক অবৈধ স্ত্রীকে আইনি স্বীকৃতি দেওয়ার জন্য সাময়িকভাবে মুসলিম হয়ে যান। আল্লাহর দেওয়া কঠিন শর্তটা উপেক্ষিতই থেকে যায়।

একাধিক স্ত্রীকে সমান চোখে দেখা, বা সমান মর্যাদা দেওয়া রক্ত মাংসের কোনো পুরুষের পক্ষেই সম্ভব নয়। মহান আল্লাহ সেটা ভালই জানেন। তাই তিনি সূরা নিসা'য় ১২৯ আয়াতে বলেই দিয়েছেন;

"যতো ইচ্ছাই করো না কেন, তোমরা স্ত্রীদের প্রতি সমান ব্যবহার করতে পারবে না।" (৪:১২৯)।

তাহলে কুরআনের শেষ কথা দাঁড়ালো, একের বেশি বিয়ে করো না।

কুরআনের এই আয়াতটা সমাজে অপ্রচলিত, উপেক্ষিত।

আলেম সমাজ ও ১২৯ নম্বর আয়াতটির উল্লেখ সেভাবে করেন না, এবং সেটা নিজেদের স্বার্থেই। কারণ নিজেরাই তো সমস্ত শর্ত জলাঞ্জলি দিয়ে তিন চারটি বিয়ে করে বসে আছেন!

কেউ থাকেন গাছ তলায়, কেউ থাকেন হাট খোলায়,
তবুও নাকি সব স্ত্রী আছেন সমান মর্যাদায়!

সংগৃহীত।

Navigation

[0] Message Index

[#] Next page

[*] Previous page

Go to full version