Famous > History

History of Muslim'S

<< < (2/11) > >>

Abdus Sattar:
Thanks for sharing.

Md. Zakaria Khan:
ক্বিয়ামতের মাঠে কাফেদের অবস্থা

কাফেদের জন্য ক্বিয়ামতের মাঠ হবে অতীব কঠিন ও জটিল জায়গা। মহান আল্লাহ তা‘আলা কাফেদের অবস্থা সম্পর্কে ইরশাদ করেন, إِنَّ الَّذِيْنَ كَفَرُوْا لَوْ أَنَّ لَهُمْ مَّا فِي الْأَرْضِ جَمِيْعًا وَمِثْلَهُ مَعَهُ لِيَفْتَدُوْا بِهِ مِنْ عَذَابِ يَوْمِ الْقِيَامَةِ مَا تُقُبِّلَ مِنْهُمْ وَلَهُمْ عَذَابٌ أَلِيْمٌ- ‘নিশ্চয়ই যারা কাফের, যদি তাদের কাছে পৃথিবীর সমুদয় সম্পদ এবং তৎসহ আরও তদনুরূপ সম্পদ থাকে আর এগুলোর বিনিময় দিয়ে ক্বিয়ামতের শাস্তি থেকে পরিত্রাণ পেতে চায়, তবুও তাদের কাছ থেকে তা গ্রহণ করা হবে না। তাদের জন্য রয়েছে যন্ত্রণাদায়ক শাস্তি’ (মায়েদাহ ৩৬)।
মহান আল্লাহ আরও বলেন, تَقُوْمُ السَّاعَةُ يُبْلِسُ الْمُجْرِمُوْنَ- وَلَمْ يَكُنْ لَّهُمْ مِّنْ شُرَكَائِهِمْ شُفَعَاءُ وَكَانُوْا بِشُرَكَائِهِمْ كَافِرِيْنَ- ‘যেদিন ক্বিয়ামত সংঘটিত হবে, সেদিন অপরাধীরা হতাশ হয়ে যাবে। তাদের দেবতাগুলোর মধ্যে কেউ তাদের জন্য সুপারিশ করবে না এবং তারা তাদের দেবতাকে অস্বীকার করবে’ (রূম ১২-১৩)।
ক্বিয়ামতের মাঠে কাফেদের অবস্থা এতই কঠিন হবে যে, তাদেরকে আল্লাহ পায়ের দ্বারা না হাঁটিয়ে মুখের মাধ্যমে হাঁটাবেন। হাদীছে এসেছে,
عَنْ أَنَسِ بْنِ مَالِكٍ رَضِيَ اللهُ عَنْهُ أَنَّ رَجُلًا قَالَ يَا نَبِيَّ اللهِ يُحْشَرُ الْكَافِرُ عَلَى وَجْهِهِ يَوْمَ الْقِيَامَةِ قَالَ أَلَيْسَ الَّذِيْ أَمْشَاهُ عَلَى الرِّجْلَيْنِ فِي الدُّنْيَا قَادِرًا عَلَى أَنْ يُمْشِيَهُ عَلَى وَجْهِهِ يَوْمَ الْقِيَامَةِ قَالَ قَتَادَةُ بَلَى وَعِزَّةِ رَبِّنَا-
আনাস ইবনু মালেক (রাঃ) হ’তে বর্ণিত, একদা জনৈক ব্যক্তি বলল, হে আল্লাহ্র রাসূল (ছাঃ)! ক্বিয়ামতের দিন কাফেরদেরকে কিভাবে মুখের মাধ্যমে হাঁটিয়ে একত্রিত করা হবে? নবী করীম (ছাঃ) বললেন, যিনি দুনিয়াতে মানুষকে পায়ের মাধ্যমে চালাতে সক্ষম, তিনি কি ক্বিয়ামতের দিন তাকে মুখের মাধ্যমে চালাতে সক্ষম হবেন না? ক্বাতাদাহ বলেন, আমাদের রবের কসম! তিনি তা করতে সক্ষম’।(১০. বুখারী, মুসলিম, মিশকাত হা/৫৩০৩।)

ক্বিয়ামতের মাঠে এ এক আশ্চর্য দৃশ্য যে কাফেররা মুখের মাধ্যমে চলাচল করবে।

Md. Zakaria Khan:
1⃣ – বিজ্ঞান আধুনিক যন্ত্রের সাহায্যে জেনেছে চন্দ্র এবং সূর্য কক্ষপথে পরিভ্রমণ করে বা ভেসে চলে, পবিত্র কোরআনে
সূরা আম্বিয়ার ৩৩ নং আয়াতে এবং সূরা ইয়াসিন এর ৪০ নং আয়াতে এই কথা বলা হয়েছে ১৪০০ বছর আগে।
2⃣ – সম্প্রতি মানুষের ভ্রুন বিকাশের বিভিন্ন পর্যায় ও ধাপ সম্পর্কে
বিজ্ঞান আধুনিক যন্ত্রের সাহায্যে জেনেছে, আর কোরআনে এই বিষয়ে যথাযথ ও সঠিক বর্ণনা প্রদান করা হয়েছে ১৪০০ বছর আগে।
( ২৩নং সূরা মুমিনুন এর ১২-১৪ নং আয়াত, ৫৩নং সূরা নাজম এর ৪৫-৪৬ নং আয়াত, ৩৯ নং সূরা জুমার ৬ নং আয়াত ) ও আরও অনেক আয়াতে বলা হয়েছে।
3⃣ – বিজ্ঞান সম্প্রতি জেনেছে খাদ্য সংগ্রহ ও মধু তৈরির সাথে স্ত্রী মৌমাছি জড়িত, সূরা নাহল এর (৬৮-৬৯)নং আয়াতে
কোরআনে এই কথা বলা হয়েছে ১৪০০ বছর আগে। এই আয়াতে কুরআন স্ত্রীবাচক ক্রিয়াপদ ব্যবহার করেছে। তাই এর দ্বারা কুরআন ইস্পস্ত ভাবে বর্ণনা দেয় খাদ্য সংগ্রহ ও মধু তৈরির সাথে স্ত্রী মৌমাছি জড়িত।
️4️⃣ – সম্প্রতি বিগ ব্যাং’ থিওরি আবিষ্কার হয় । আর সূরা আম্বিয়ার ৩০ নং আয়াতে কোরআনে এই কথা বলা হয়েছে ১৪০০ বছর আগে।বিস্তারিত ভাবে দেওয়া নিচে দেওয়া বইয়ে রয়েছে।
5️⃣ – বিজ্ঞান জেনেছে চাঁদের নিজস্ব কোন আলো নেই। কোরআনে সূরা ফুরক্বানের ৬১ নং আয়াতে এই কথা বলা হয়েছে ১৪০০ বছর আগে। বিস্তারিত ভাবে নিচে দেওয়া বইয়ে রয়েছে।
⏹️ এখানে মাত্র ৫ টি মুজিজা দেওয়া হল।
কিন্তু কোরআনে শত শত মুজিজা এবং অনেক ভবিষ্যৎবাণী ও রহস্য রয়েছে।
যা আপনি কোরআন নিয়ে লেখা ইসলামিক বই গুলো পড়লে প্রমান সহ এবং বিস্তারিত ভাবে জানতে পারবেন।

কিছু নাস্তিক ও অন্য ধর্মের মানুষ কোরআন এর মুজিজা ঠিক ভাবে না বুজে ভুল কমেন্ট করে তাই ঠিক ভাবে বা বিস্তারিত ভাবে জানতে হলে বই গুলো অবশ্যই পড়বেন।
বই কিনে বা ডাউনলোড করে পড়তে পারেন।
বই গুলোর মধ্যে একটি বই এর নাম হল আল কোরআনের ১৬০ মুজিজা ও রহস্য,লেখক ড.মাজহার কাজি। এই বইটিতে রয়েছে ১৬০ টি মুজিজা।
আমার কাছে এই বইটির pdf ফাইল রয়েছে যাদের লাগবে মেসেজ করে নিতে পারেন ফ্রি।
🌠 কোরআনের অনেক ভবিষ্যৎ বানীর মধ্যে একটি বিস্তারিত ভাবে দেওয়া হল।
ফ্রান্স এর প্রধান মমি সার্জন ছিলেন ডা.মরিস বুকাইলি তাকে ফেরাউন এর মমি পরীক্ষা করার দায়িত্ব দেওয়া হয়।
তিনি ফেরাউন এর মমি পরীক্ষা করেন। এবং তিনি জানতে পারেন একমাত্র কোরআনে ফেরাউনের লাশ সংরক্ষনের ব্যাপারে ভবিষ্যৎবাণী রয়েছে। (সূরা ১০ আয়াত ৯২)।
তিনি তখন অবাক হয়ে যায় কারন ফেরাউন এর মমি পাওয়া যায় ১৮৮১ সালে আর কোরআন নাজিল হয় ১৪০০ বছর আগে।
এরপর তিনি কোরআন ও বিজ্ঞান নিয়ে অনেক সময় ধরে বহু গবেষণা করেন এবং অনেক কিছু জানতে পারেন।
তারপর তিনি একটি বই লিখেন যার নাম বাইবেল কোরআন ও বিজ্ঞান, আর এই বইটিতে তিনি প্রমান করেন কোরআনে একটি শব্দও নেই যা আধুনিক বিজ্ঞানের সাথে মিলে না, এবং বর্তমান বাইবেল এর মধ্যে এমন অনেক কিছু আছে যা বিজ্ঞানের সাথে কোনোভাবেই মিলে না।
এবং জানা যায় মৃত্যুর আগে তিনি ইসলাম গ্রহন করেন।
এই বইটি অনেক ভাষায় অনূদিত হয়েছে। বইটি বাংলা ভাষায় ও রয়েছে।
🚨 মনে রাখবেন ইসলামের দুশমনরা মানুষদের ভুল বুজিয়ে বিভিন্ন ভাবে ধোঁকা দিচ্ছে এবং তারা মুসলিমদের মধ্যে বিভেদ সৃষ্টি করছে ।
এমনকি ইসলামের দুশমনরা মুসলিম সেজেও কোরআন ও হাদিসের ভুল ব্যাখ্যা করে ধোঁকা দিচ্ছে।
আর কোরআন ও হাদিসের ভুল ব্যাখ্যা ধরা বেশির ভাগ মুসলিমদের পক্ষে সম্ভব নয় কারন এর জন্য ইসলাম সম্পর্কে ভালো ভাবে জানতে হয়।
আর মনে রাখবেন একজন আলেম বহু বছর সময় দিয়ে এত বড় কোরআন বাংলা সহ মুখস্থ করে ও অগনিত সহীহ হাদিস মুখস্ত রাখে,এবং
ইসলাম সম্পর্কে বহু জ্ঞান অর্জন করে।
তাই ইসলাম সম্পর্কে কোনো প্রশ্ন থাকলে ভালো কোনো আলেম থেকে জেনে নিতে হবে।
আর আলেমদের অবশ্যই ইন্টারনেট সহ সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ব্যবহার করে ইসলাম সম্পর্কে জানাতে হবে কারন
এর মাধ্যমে লাখ লাখ মানুষকে ইসলাম সম্পর্কে জানানো সম্ভব।
🌍 পৃথিবীতে ইসলামের দ্রুত প্রসার ঘটছে এবং বেড়ে চলেছে নওমুসলিমদের সংখ্যা।
কিন্তু মুসলিমদের একটি বড় সমস্যা হল তারা ঐক্যবদ্ধ নয় তাই মুসললিমরা এখন নির্যাতিত হচ্ছে।
মনে রাখবেন ইসলামের বিজয় তখনি হবে, যখন ইসলামী শক্তিগুলো ঐক্যবদ্ধ হবে,
আর জনগন তখনি শান্তিতে থাকতে পারবে যখন পবিত্র কুরআন এর আইন দ্বারা দেশ চলবে...
কারণ আল্লাহ্‌ হলেন সবথেকে বড় আইন প্রনেতা।
আজকে আমাদের নিজেদের কারনেই মুসললিমরা ঐক্যবদ্ধ নয়। তাই আমাদের নিজ থেকে ঐক্যবদ্ধ হওয়ার জন্য চেষ্টা চালিয়ে যেতে হবে। আল্লাহ্‌ আমাদের কবুল করুক।(আমিন)
🌠 একবার ভেবে দেখুন মহান আল্লাহ্‌ এত কিছু সৃষ্টি করলো কিন্তু আমাদের গুনাহ করা ও নিজের ইচ্ছা মত চলার ক্ষমতা কেন দিল ? তাহলে এই দুনিয়ার জীবন কি একটি পরীক্ষা নয়?
আর আমি আজ যতো মজা করি আর গুনাহ করি না কেন আমি একদিন মারা যাবো, মৃত্যুর পর আমি কি পারবো জাহান্নাম এর কঠিন আজাব সহ্য করতে?

Md. Zakaria Khan:
আল্লাহ আকাশ থেকে পানি বর্ষণ করেন ,
অতঃপর তার দ্ধারা যমীনকে তার মৃত্যুর পর পুনরায় জীবিত করেন । এতে ঐ সম্প্রদায়ের জন্য বহু নিদর্শন আছে যারা লক্ষ্য করে শুনে । তোমাদের জন্য গবাদি পশুতে ও অবশ্যই শিক্ষা নিহিত আছে । তোমাদেরকে পান করাই ওদের পেটের গোবর আর রক্তের মাঝ থেকে বিশুদ্ধ দুগ্ধ যা পানকারীদের জন্য খুবই সুস্বাদু । আর
খেজুর ও আঙ্গুর ফল থেকে তোমরা   উত্তম খাদ্য প্রস্তুত কর , জ্ঞানী সম্প্রদায়ের জন্য এতে অবশ্যই বহু নিদর্শন রয়েছে ।

______।। সুরা নাহাল : ৬৫ ,৬৬ , ৬৭ ।। ___

Abdus Sattar:
Thanks for sharing.

Navigation

[0] Message Index

[#] Next page

[*] Previous page

Go to full version