The rules of Hajj and Umrah

Author Topic: The rules of Hajj and Umrah  (Read 1182 times)

Offline rumman

  • Hero Member
  • *****
  • Posts: 1020
  • DIU is the best
    • View Profile
The rules of Hajj and Umrah
« on: August 11, 2017, 05:31:56 PM »
হজ ইসলামের রুকন আর ওমরাহ ওয়াজিব। হজ নির্দিষ্ট সময়ে আদায় করতে হয় আর ওমরাহ বছরের যেকোনো সময় করা চলে। হজের মধ্যে ওমরাহ আছে আর ওমরাহের মধ্যে হজ নেই। হজের ব্যাপারে কড়া নির্দেশ রয়েছে আর ওমরাহের ব্যাপারে নেই।
হজ তিন ধরনের হয়ে থাকে। ১. ইফরাদ- মিকাত থেকে ইহরাম বেঁধে শুধু হজের নিয়ত করে হজ আদায় করা। এ হজে কোরবানি নেই। ২. তামাত্তু- হজের মাসগুলোতে একই সফরে প্রথমে ইহরাম বেঁধে ওমরাহ আদায় করে আবার ইহরাম বেঁধে হজ আদায় করা। এ হজ কেবল হারাম বা মিকাতের বাইরের লোকের জন্য। ৩. কিরান- ওমরাহ ও হজ একই ইহরামে আদায় করা। এতে কোরবানি রয়েছে। তামাত্তু হজ করা উত্তম। বিদায় হজে নবীজী তামাত্তু করার নির্দেশ দিয়েছেন (মুসলিম)। বাংলাদেশীদের জন্য এ হজ সহজ।
হজ ও ওমরাহর শর্ত- ১. মুসলিম হওয়া ২. বুদ্ধিমান হওয়া ৩. স্বাধীন হওয়া ৪. প্রাপ্তবয়স্ক হওয়া ৫. শারীরিক ও আর্থিকভাবে সক্ষম হওয়া ৬. মহিলার জন্য মাহরাম থাকা ৭. হজের সময় হওয়া ৮. যাতায়াতের পথ নিরাপদ হওয়া।
হজের রুকন ৪টি- ১. ইহরাম বাঁধা ২. আরাফায় অবস্থান করা ৩. তাওয়াফে ইফাজাহ করা ৪. সাফা-মারওয়ায় ছায়ী করা।
হজের ওয়াজিব ৭টি- ১. মিকাত থেকে ইহরাম বাঁধা ২. আরাফার ময়দানে সূর্যাস্ত পর্যন্ত অবস্থান করা ৩. মুজদালিফায় রাত যাপন করা ৪. আইয়ামে তাশরিকের রাতগুলো মিনায় অতিবাহিত করা ৫. ১০ তারিখে জামারাতুল আকাবায় ও ১১, ১২, ১৩ তারিখে তিন জামারায় কঙ্কর নিক্ষেপ করা ৬. মাথা মুণ্ডন করা বা পুরো মাথার চুল ছোট করা ৭. বিদায়ী তাওয়াফ করা।
ফিদইয়া- রুকন ছাড়লে হজ নষ্ট হয়। আর ওয়াজিব ছেড়ে দিলে ফিদইয়াস্বরূপ একটি ছাগল কোরবানি করতে হয় বা ছয়জন মিসকিনকে খাওয়াতে হয় বা তিনটি সিয়াম পালন করতে হয় (বুখারি)। অন্য দিকে তামাত্তু হজের কোরবানি ছেড়ে দিলে তাকে ১০টি সিয়াম পালন করতে হয়। তিনটি হজের মধ্যে আর সাতটি বাড়ি ফিরে ( সূরা : বাকারাহ, ১৯৬)
ওমরাহর রুকন ৩টি- ১. ইহরাম বাঁধা ২. তাওয়াফ করা ৩. ছায়ী করা।
ওমরাহর ওয়াজিব ২টি- ১. মিকাত থেকে ইহরাম বাঁধা ২. মাথা মুণ্ডন করা বা মাথার সব চুল ছোট করা।
হজ ও ওমরাহর সুন্নাত ১০টি- ১. ইজতেবা ২. রমল ৩. তাওয়াফের সময় হাজরে আসওয়াদ চুমু দেয়া বা হাত দিয়ে স্পর্শ করা বা পাথরের দিক থেকে ইশারা করা এবং তাকবির বলা ৪. রুকনে ইয়ামানি স্পর্শ করা ৫. তাওয়াফ শেষে দুই রাকাত নামাজ আদায় করা ৬. তাওয়াফ শেষে জমজমের পানি পান করা ৭. সাফা-মারওয়ায় উঠে কিবলামুখী হয়ে জিক্র, তাকবির ও দুই হাত তুলে দোয়া করা ৮. সাফা-মারওয়ার মাঝে সবুজ রেখা চিহ্নিত অংশে পুরুষদের দৌড়ান ৯. পাথর নিক্ষেপের সময় তাকবির বলা ১০. ১১, ১২, ১৩ তারিখ প্রথম ও দ্বিতীয় স্থানে পাথর মারার পর কিবলামুখী হয়ে হাত তুলে দোয়া করা।
যেসব কারণে হজ থেকে বিরত থাকতে হবে
ইহরাম বাঁধার পর অসুস্থ হয়ে পড়লে বা শত্রুর ভয় থাকলে বা মহিলার মাহরাম মৃত্যুবরণ করলে বা কোনো কারণে রাস্তায় টাকা শেষ হলে বা বাহন নষ্ট হয়ে গেলে। পরবর্তী বছর ছুটে যাওয়া হজ ও ওমরাহ আদায় করতে হবে। হজ ও ওমরাহর নিয়ম

Source মো: মাসুম বিল্লাহ বিন রেজা, নয়া দিগন্ত অনলাইন



Md. Abdur Rumman Khan
Senior Assistant Registrar