ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানের পরিচালন মুনাফা প্রকাশে আইনী বাধ্যবাধকতা থাকা জরুরি বলে মনে করেন আইডিএলসি ফাইন্যান্সের ব্যবস্থাপনা পরিচালক আরিফ খান।
তিনি বলেন, আর্ন্তজাতিক মান বজায় রেখে পত্র-পত্রিকায় ঢালাওভাবে ব্যাংকের পরিচালন মুনাফা প্রকাশের কারণে ক্ষুদ্র বিনিয়োগকারীরা ক্ষতির সম্মুখীন হচ্ছেন।
আজ সোমবার বাংলাদেশ ব্যাংক কার্যালয়ে ফাইন্যান্সিয়াল স্ট্যাবিলিটি রিপোর্ট-২০১৬ এর মোড়ক উন্মোচন অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন।
আরিফ খান বলেন, আমাদের দেশের পরিচালন মুনাফা প্রকাশের ক্ষেত্রে আর্ন্তজাতিক মান বজায় রাখা হয় না। বাংলাদেশ ব্যাংকের কোনো আইনী বাধ্যবাধকতা না থাকার কারণে পত্র-পত্রিকায় ঢালাওভাবে খবর ছাপানো হয় পরিচালন মুনাফা নিয়ে। অথচ এই পরিচালন মুনাফা দিয়ে একটি ব্যাংক কিংবা আর্থিক প্রতিষ্ঠানের প্রকৃত মুনাফা বোঝা সম্ভব হয় না।
তিনি বলেন, ব্যাংকের পরিচালন মুনাফারর মধ্যে ট্যাক্স ও প্রভিশনসহ অন্যান্য বিষয়ে সরাসরি জড়িত থাকে। যা ব্যাংকটির কর পরবর্তী নিট মুনাফায় অনেক পরিবর্তন দেখা যায়।
এ প্রসঙ্গে অ্যাসোসিয়েশন অব ব্যাংকার্স বাংলাদেশের (এবিবি) সভাপতি আনিস এ খান বলেন, পরিচালন মুনাফা প্রতিবেদন প্রকাশের পর ঝামেলায় পড়তে হয় ব্যাংকগুলোকে। এই প্রতিবেদন নিট মুনাফার সঠিক হিসাব থাকে না বলে বিনিয়োগকারীরা ক্ষতিগ্রস্ত হয়ে থাকে। তাই এই ধরণের প্রতিবেদন প্রকাশে আরও বেশি সতর্ক হওয়া প্রয়োজন বলে মনে করেন তিনি।