ইনফো-সরকার প্রকল্পের তৃতীয় পর্যায়ে অনিয়ম হচ্ছে বলে দাবি করেছেন ইন্টারনেট সার্ভিস প্রোভাইডারস অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের (আইএসপিএবি) নেতারা। গতকাল বুধবার রাজধানীর একটি হোটেলে এক সংবাদ সম্মেলনে তাঁরা এ দাবি করেন।
আইএসপিএবির সভাপতি আমিনুল হাকিম সংবাদ সম্মেলনে বলেন, নিয়মবহির্ভূতভাবে গ্রাহক পর্যায়ে ইন্টারনেট সেবা দেওয়ার কার্যাদেশ ইন্টারনেট সার্ভিস প্রোভাইডারের (আইএসপি) বদলে নেশনওয়াইড টেলিকমিউনিকেশন ট্রান্সমিশন নেটওয়ার্ককে (এনটিটিএন) দেওয়ার প্রস্তাবেই মারাত্মক ঝুঁকিতে পড়তে যাচ্ছে এ খাত।
সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়, এই প্রকল্পের আওতায় দেশের ২ হাজার ৬০০ ইউনিয়নে ইন্টারনেট সংযোগ পৌঁছে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার। কিন্তু গ্রাহকের কাছে ইন্টারনেট সেবা পৌঁছে দেওয়ার কাজটি আইএসপির বদলে এনটিটিএনকে দিয়ে বাংলাদেশ কম্পিউটার কাউন্সিল (বিসিসি) কাজটি করাচ্ছে। এ ক্ষেত্রে নীতিমালা মানা হচ্ছে না বলে উল্লেখ করা হয়।
কারণ হিসেবে বলা হয়, গ্রাহক পর্যায়ে ইন্টারনেট সেবা পৌঁছে দেওয়ার এখতিয়ার নেই এনটিটিএন প্রতিষ্ঠানগুলোর। এ ছাড়া একনেকের সিদ্ধান্ত অমান্য করে আটটি পর্যায়ের দরপত্রকে দুটি ভাগে ভাগ করে দিয়েছে বিসিসি।
আইএসপিএবি নেতারা বলেন, মাত্র দুটি প্রতিষ্ঠানই দরপত্রে অংশে নেয়। এনটিটিএন লাইসেন্সধারী দেশে আরও তিনটি সরকারি প্রতিষ্ঠান থাকলেও তারা এই দরপত্রে অংশ নেয়নি, যা বেশ প্রশ্নবিদ্ধ।
প্রতিষ্ঠান দুটির লাইসেন্সের মেয়াদ শেষ হচ্ছে সাড়ে ছয় বছর থেকে সাড়ে সাত বছরের মধ্যে। কিন্তু প্রতিষ্ঠানগুলোকে বিসিসি কীভাবে ২০ বছরের কার্যাদেশ দেওয়ার সুপারিশ করেছে, তা নিয়েও সংবাদ সম্মেলনে প্রশ্ন তোলেন আইএসপিএবির নেতারা।
সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন আইএসপিএবির সাবেক সভাপতি আক্তারুজ্জামান মঞ্জু, সাধারণ সম্পাদক মো. ইমদাদুল হক, কোষাধ্যক্ষ সুব্রত সরকার, পরিচালক মো. কামাল হোসেন, খন্দকার মুহাম্মদ আরিফসহ অনেকে। অনিয়ম বন্ধ করতে তাঁরা সরকারের হস্তক্ষেপ কামনা করেন।