বয়সের সঙ্গে শরীরের সকল অংশের কার্যক্ষমতা কমতে থাকে, মস্তিষ্কের ক্ষেত্রেও তা ব্যতিক্রম নয়। তবে কিছু খাবার এই ক্ষয় পূরণ করে থাকে। গবেষণায় দেখা গেছে, সঠিক খাবার মস্তিস্ককে আরো শাণিত করতে পারে। আসুন জেনে নেয়া যাক কোন কোন খাবারে মেলে মস্তিস্কের পুষ্টি:
সবুজ শাক
সবুজ শাকে আছে প্রচুর 'ফোলাট' যা রক্তে ‘হোমোসিস্টেইন’ নামক অ্যামিনো অ্যাসিডের মাত্রা কমায়। ‘হোমোসিস্টেইন’ মস্তিষ্কের স্নায়ু ধ্বংস করে। প্রচুর পরিমাণে ব্রকলি, পালংশাক ইত্যাদি সবুজ শাক-সবজি খেলে স্নায়ু ধ্বংস রোধ করে এবং স্নায়ু পুনরায় গঠন করে।
মিষ্টিজাতীয় খাবার
মস্তিষ্ককে সতেজ, চাঙ্গা ও স্থির রাখতে প্রয়োজন কার্বোহাইড্রেট এবং ভিটামিন এ, সি ও ভিটামিন ই-জাতীয় খাবার। কাজের চাপের মধ্যে থাকলে শরীর থেকে একধরনের হরমোন নিঃসৃত হয়। ফলে মিষ্টিজাতীয় খাবারের প্রতি আগ্রহ তৈরি হয়। আর এ সময় চকোলেট বা মিষ্টিজাতীয় খাবার খেলে রক্তে সুগারের পরিমাণ খুব দ্রুত বাড়ে এবং মগজ চাঙ্গা হয়ে ওঠে।
জাম চেরি ও বাদাম জাতীয় ফল
বেশিরভাগ জাম চেরি ও বাদাম জাতীয় ফল, বিশেষ করে কালোজাম, ব্লুবেরি, স্ট্রবেরি শরীরের জন্য বিষাক্ত আমিষ অপসারণ করে। এই বিষাক্ত আমিষ সময়ের সঙ্গে স্মৃতিশক্তি লোপ পাওয়ার জন্য দায়ী। এই ফলগুলো খাবার ফলে উপস্থিত বুদ্ধিও বাড়ে।
ওমেগা থ্রি যুক্ত খাবার
ওমেগা থ্রি ফ্যাটি অ্যাসিড মস্তিষ্কের সুস্বাস্থ্যের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ একটি টনিক। এগুলো নিউরনের কার্যক্ষমতা এবং শারীরিক ক্ষিপ্রতা বাড়াতে উপকারী। ফ্যাটি অ্যাসিডের অন্যতম প্রধান উৎস মাছ। তবে, শাকাহারিরা ফ্যাটি অ্যাসিডের প্রয়োজন মেটাতে বেছে নিতে পারেন ভোজ্য শৈবাল, সামুদ্রিক শৈবাল ও অন্যান্য সামুদ্রিক সবজি।
ভিটামিন ই যুক্ত খাবার
শরীরের বাহ্যিক ও অভ্যন্তরিন সুস্বাস্থ্যের জন্য ভিটামিন-ই একটি অত্যন্ত প্রয়োজনীয় পুষ্টি উপাদান। যেসব খাবারে ভিটামিন-ই থাকে সেগুলোতে আরও থাকে অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট, বাড়ায় দীর্ঘমেয়াদি স্মৃতিশক্তি এবং বয়সের সঙ্গে শরীরের বিভিন্ন অংশের ক্ষয়রোধ করে। অলিভ ওয়েল, অ্যাভোকাডো, সূর্যমুখী, কুমড়ার বীজ এবং সবধরনের বাদাম ভিটামিন-ই’য়ের আদর্শ উৎস।
Source: বোল্ড স্কাই