হৃদরোগে মরতে না চাইলে আজই এই অভ্যাসগুলি ত্যাগ করুন

Author Topic: হৃদরোগে মরতে না চাইলে আজই এই অভ্যাসগুলি ত্যাগ করুন  (Read 1174 times)

Offline faruque

  • Hero Member
  • *****
  • Posts: 655
    • View Profile




চে থাকার জন্য আমরা প্রতিনিয়ত কত কিছুই তো খেয়ে থাকি। আবার কত বিচিত্র অভ্যাস গড়ে তুলি। কিন্তু কখনও কি ভেবে দেখি, যা খাচ্ছি বা যা করছি তা কতটা উপকারে আসে আমাদের? কিছু অভ্যাস আছে যেগুলোর কারণে আমাদের বেঁচে থাকার প্রধান অঙ্গ হৃদপিণ্ড ধ্বংস হয়ে যাচ্ছে।

 

আসুন জেনে নেওয়া যাক, কী সেই অভ্যাসগুলো যেগুলো আপনার হৃৎপিণ্ডের স্বাস্থ্য ধ্বংস করছে।


 

১. নাকডাকা


নাকডাকা হতে পারে অবস্ট্রাকটিভ স্লিপ অ্যাপনিয়ার মতো মারাত্মক কোনো রোগের লক্ষণ। এর লক্ষণ হলো ঘুমের সময় শ্বাসকষ্ট। এর ফলে রক্তচাপ অনেক উচ্চহারে বেড়ে যেতে পারে। আর রক্তচাপ বাড়লে হার্ট অ্যাটাক বা স্ট্রোকের ঝুঁকিও বাড়ে। সুতরাং নাকডাকার আশু সমাধান করুন।

 

২. অতিভোজন


ওজন বাড়াটা হৃৎপিণ্ডের স্বাস্থ্যের জন্য একটি বড় ঝুঁকি। ফলে অতিরিক্ত খাবার খাওয়া যাবে না। আর মিষ্টি পানীয়ের বদলে পানি পান করতে হবে।

 

৩. লাল মাংস খাওয়া


লাল মাংসে সম্পৃক্ত চর্বির পরিমাণ বেশি থাকে। আর প্রক্রিয়াজাতকৃত মাংস হলে হৃদরোগের ঝুঁকি এবং মলাশয় ক্যান্সারের ঝুঁকি আরো বাড়ে।

 

৪. সারাদিন বসে থাকা/টিভি দেখা


ঘণ্টার পর ঘণ্টা টানা বসে থাকলে তা আপনার হার্ট অ্যাটাক এবং স্ট্রোকের ঝুঁকি বাড়ায়। যদিও আপনি ব্যায়াম করছেন। কারণ দীর্ঘক্ষণ নড়াচড়া না করার ফলে রক্তে চর্বি এবং সুগারের মাত্রা বেড়ে যায়। সুতরাং একটানা বেশিক্ষণ বসে থাকবেন না।

 

৫. আতিথ্য ত্যাগ করা এবং অবসাদের চিকিৎসা না করানো


মানসিক চাপ, শত্রুতার অনুভূতি বা অবসাদগ্রস্ততা আপনার হৃৎপিণ্ডের ক্ষতি করছে। মানসিক চাপ অবদমন করলে তা আপনার দেহের জন্য মারত্মক ক্ষতি বয়ে আনতে পারে এবং হৃৎপিণ্ডের স্বাস্থ্য ধ্বংস করতে পরে। এর জন্য সামাজিক মেলামেশা বাড়াতে হবে।

 

৬. দাঁতের মাড়ি পরিষ্কার না করা


গবেষণায় দেখা গেছে, দাঁতের মাড়ির রোগের সঙ্গে হার্টের রোগের একটা শক্তিশালী সম্পর্ক আছে। মাড়ি পরিষ্কার না করলে দাঁতের গোড়ায় ব্যাকটেরিয়ার আস্তরণ জমা হয়ে দেহে প্রদাহ সৃষ্টি করতে পারে। যা আপনার হার্টের জন্য মারাত্মক ক্ষতিকর। সুতরাং নিয়মিত দাঁতের মাড়ি পরিষ্কার করুন।

 

৭. মদপান


বেশি বেশি মদপান করলে উচ্চ রক্তচাপে আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকি বাড়ে। রক্তে চর্বির পরিমাণ বাড়ে। ফলে হার্ট অ্যাটাক বা হার্ট ফেইলিওর এর ঝুঁকিও বাড়ে। এছাড়া মদে থাকা অতিরিক্ত ক্যালরি ওজন বাড়ায়। যার ফলেও হৃৎপিণ্ডের স্বাস্থ্যঝুঁকি তৈরি হয়। ফলে আজই মদপান ত্যাগ করুন।

 

 

 

হার্ট অ্যাটাকের যে ৬টি লক্ষণ আপনার এখনই জানা দরকার!

যখন অক্সিজেনযুক্ত রক্ত সরবরাহের অভাবে হৃৎপিণ্ডের মাংসপেশির একটা অংশ মরে যায় তখনই হার্ট অ্যাটাকের মতো ঘটনা ঘটে। আর রক্তের শিরা-উপশিরায় রক্ত জমাট বাঁধার ফলে বা কোলেস্টেরল প্লাক জমার ফলে হৃৎপিণ্ডে অক্সিজেনযুক্ত রক্ত সরবরাহের অভাব দেখা দেয়।

প্রথমবার হার্ট অ্যাটাকে আক্রান্তদের ৯০ শতাংশই মৃত্যুর হাত থেকে বেঁচে যান। কিন্তু বাকি ১০ শতাংশ বাঁচতে পারেন না হাসপাতালে যেতে দেরি হয়ে যাওয়ার কারণে।

সুতরাং হার্ট অ্যাটাকের এই সাধারণ ৬টি লক্ষণ জেনে রাখুন। আর সেগুলো দেখা দেওয়া মাত্রই হাসপাতালে দৌড়ে যান এবং অকাল মৃত্যুর হাত থেকে জীবন রক্ষা করুন।

১. বুকে তীব্র ব্যথা
হার্ট অ্যাটাকের আগে বুকের মাঝখানে হঠাৎ করেই তীব্র ব্যথা দেখা দেয়। আর এই ব্যথা খুবই তীব্র এবং মোচড়ানোধর্মী ব্যথা। মনে হবে যেন কেউ আপনার বুকে নিষ্পেষণ করে হৃৎপিণ্ড থেকে প্রাণটি বের করে নিয়ে আসছে। অনেক সময় এই ব্যথা কিছুক্ষণ থাকার পর পুনরায় রক্ত চলাচল স্বাভাবিক হয়ে আসলে চলে যায়। কিন্তু যদি রক্ত চলাচল স্বাভাবিক না হয় তাহলে সেই ব্যথা বাহু, পিঠ, ঘাড় এবং মাথায়ও ছড়িয়ে পড়ে।

২. চোয়ালে বা দাঁতে ব্যথা
হার্ট অ্যাটাকের আগে আগে এই লক্ষণটি নারীদের মধ্যেই বেশি দেখা যায়। এর সঙ্গে বুকে ব্যথা থাকতেও পারে নাও থাকতে পারে।

৩. তীব্র শ্বাসকষ্ট
এটি হার্ট অ্যাটাকের আরেকটি সাধারণ লক্ষণ। পানিতে ডুবে গেলে যেমন শ্বাসকষ্ট হয় তেমনই তীব্র শ্বাসকষ্ট হয় হার্ট অ্যাটাকের আগে। বুকে ব্যথা শুরু হওয়ার আগে বা বুকের ব্যথার পাশাপাশি এই লক্ষণটি দেখা দিতে পারে।

৪. অতিরিক্ত ঘাম ঝরা
অজ্ঞান হয়ে যাওয়ার আগে সাধারণত লোকের শরীর থেকে অঝোরে হিম ঘাম ঝরতে থাকে। কিন্তু এর সঙ্গে অন্যান্য লক্ষণগুলোও থাকবে তখন বুঝতে হবে আপনার হার্ট অ্যাটাক হতে যাচ্ছে।

৫. বমিভাব এবং বমি
বুকের ব্যথা অনেক সময় পাকস্থলির ওপরের অংশেও ছড়িয়ে পড়ে এবং গ্যাস্ট্রিক ব্যথার সৃষ্টি হয়। যা থেকে হৃৎপিণ্ডে তীব্র প্রদাহ তৈরি হয়। ফলে বদহজম এবং বমির অনুভূতি হয় এবং হার্ট অ্যাটাকের সময় বমিও হয়।

৬. বাহুতে ব্যথা
হার্ট অ্যাটাকের আগে অনেক সময় বাম বাহু, কাঁধ, পিঠ এবং কখনো কখনো দেহের পুরো বাম পাশে তীব্র ব্যথা অনুভূত হতে পারে। তবে সব সময় বাম পাশেই এমন ব্যথা হবে এমন কোনো কথা নেই। দেহের অন্যদিকেও ছড়িয়ে পড়তে পারে এই ব্যথা।

এই লক্ষণগুলো দেখা দিলেই দেরি না করেই হাসপাতালে বা ডাক্তারের কাছে চলে যাবেন। কারণ যত দেরি করবেন তত আপনার অকাল মৃত্যুর ঝুঁকি বাড়বে।

 

 


সামুদ্রিক মাছের যত গুণ

সামুদ্রিক মাছ অনেকেরই প্রিয় খাবার। তবে স্বাদের চেয়েও বড় বিষয় হলো, উপকারিতার দিক দিয়ে এর গুরুত্ব। নিয়মিত সামুদ্রিক মাছ খেলে বেশ কিছু সমস্যা থেকে মুক্ত থাকা যায়। যেমন-

১. রোগ প্রতিরোধ
মানুষের দেহের প্রয়োজনীয় পুষ্টি চাহিদা মিটিয়ে নানা রোগ থেকে রক্ষা করতে সক্ষম সামুদ্রিক এসব মাছ। এতে জিংক ও আয়োডিন আছে। জিংক রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করে এবং আয়োডিন গলগণ্ড রোগ প্রতিরোধ করে।

২. সহজে হজমযোগ্য আমিষ
সামুদ্রিক মাছের আমিষ সহজে পরিপাকযোগ্য। এ ছাড়া দেহের বৃদ্ধি ও ক্ষয়রোধে সাহায্য করে। এটি ভিটামিন বি-এর উৎকৃষ্ট উৎস।

৩. অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট
এ ছাড়া এসব মাছে প্রচুর সিলেনিয়াম রয়েছে, যা দেহে অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট হিসেবে কাজ করে।
স্যামন, ম্যাকরেল মাছ থেকে ভিটামিন-এ ও ডি পাওয়া যায়।

৪. হৃদযন্ত্রের জন্য উপকারী
সামুদ্রিক মাছের ওমেগা-৩ ফ্যাটি এসিড হৃদযন্ত্রের জন্য উপকারী। এই ফ্যাটি এসিড হৃদরোগ প্রতিরোধে ভূমিকা রাখে।

৫. কোলস্টেরল নিয়ন্ত্রণ
এ ধরনের মাছ রক্তের কোলেস্টেরলের মাত্রা নিয়ন্ত্রণে সহায়তা করে। সামুদ্রিক মাছের আমিষ ও তেল দেহের ওজন নিয়ন্ত্রণ করতে সাহায্য করে।

৬. ডায়াবেটিস রোগীদের উপকার
ডায়াবেটিস রোগীরা খাদ্য তালিকায় সামুদ্রিক মাছ রাখতে পারেন। এতে তাদের এ রোগ নিয়ন্ত্রণে সুবিধা হবে।

৭. গর্ভবতী নারী ও শিশু
যেসব নারী তাদের গর্ভকালীন সপ্তাহে অন্তত ৩৪০ গ্রাম সামুদ্রিক খাবার খান তাদের সন্তান বুদ্ধিদীপ্ত হয়ে জন্মগ্রহণ করে। সামুদ্রিক মাছের নানাবিধ পুষ্টিগুণের কারণেই এমনটা হয়।