ম্যানগাউং ওভালে শুক্রবার শুরু হবে দ্বিতীয় টেস্ট। খেলা শুরু হবে বাংলাদেশ সময় বেলা দুইটায়। সিরিজে হার এড়াতে এই ম্যাচে জয়ের বিকল্প নেই অতিথিদের। আগে থেকেই নেই সাকিব আল হাসান। ঊরুর পেশির চোটের জন্য ছিটকে গেছেন তামিম ইকবাল। বাঁচা-মরার ম্যাচে নেই দলের সেরা দুই ক্রিকেটার। তাই মুশফিকদের সামনে চ্যালেঞ্জটা এখন আরও বড়। তারকা না থাকার পাল্লা যদিও ভারী দক্ষিণ আফ্রিকার দিকে। এবি ডি ভিলিয়ার্স, ডেল স্টেইন, মর্নে মর্কেল, ভার্নন ফিল্যান্ডার, ক্রিস মরিসকে পাচ্ছে না স্বাগতিকরা। পেস বোলিং আক্রমণের নেতৃত্ব থাকবে কাগিসো রাবাদার কাঁধে। চোট কাটিয়ে সৌম্য সরকার ফেরায় বাংলাদেশের ওপেনিংয়ে পরিবর্তন অনিবার্য ছিল। সাম্প্রতিক সময়ের বাজে পারফরম্যান্সে একাদশে জায়গা হারাতে পারতেন ইমরুল কায়েস। তামিমের চোটে টিকে গেলেন বাঁহাতি ব্যাটসম্যান।
২০০৮ সালে এই মাঠেই টেস্ট অভিষেক হয়েছিল ইমরুলের। আবার সেই মাঠে ফেরার সময় তার ওপর টিকে থাকার চাপ। টেস্ট একাদশে জায়গা ধরে রাখতে দারুণ কিছুই করতে হবে তাকে। দলে আসতে পারে আরও পরিবর্তন। প্রথম টেস্টে ৬৭ ওভার বল করে উইকেটশূন্য মেহেদী হাসান মিরাজের জায়গায় ফিলতে পারেন বাঁহাতি স্পিনার তাইজুল ইসলাম। বৃহস্পতিবারের সংবাদ সম্মেলনে অবশ্য ব্যাপারটি পরিষ্কার করেননি মুশফিক। “যখন সাকিব থাকবে না তখন আপনাকে অবশ্যই একটা কিছু স্যাক্রিফাইস করতে হবে। সেদিক থেকে বলব, তাইজুল খেললে সেও হয়তো ভালো নাও করতে পারত। তখন আমরা বলতাম, একটা অফ স্পিনারের অভাব অনুভব করেছি কি না। সব বিবেচনা করে চেষ্টা করবো সেরা কম্বিনেশন যা হয় সেটা করার।”