ফল স্বাস্থ্যকর খাবার, পুষ্টিগুণে ভরপুর। থাকে প্রাকৃতিক চিনি বা শর্করা। শুধু ফল খেয়ে মুটিয়ে যাওয়া হয়ত সম্ভব নয়, তবে কিছু ফল পরিমাণ মতো না খেলে তা মুটিয়ে যাওয়ায় সহায়ক হতে পারে। পুষ্টিবিজ্ঞানের তথ্যানুসারে স্বাস্থ্যবিষয়ক একটি ওয়েবসাইটে প্রকাশিত প্রতিবেদনে জানানো হয়, কিছু ফলে যেমন শর্করার পরিমাণ বেশি থাকে তেমনি কিছু ফলে কম। তাই স্বাস্থ্যসচেতনতার অংশ হিসেবে চিনিজাতীয় খাবার খাওয়া কমিয়ে ফল খাওয়ার পরিমাণ বাড়ানোর আগে জেনে নিন কোন ফলে চিনির পরিমাণ বেশি:
আম: একটি আমে গড়ে ৪৫ গ্রাম শর্করা থাকে। তাই যারা ওজন কমাতে চাইছেন কিংবা ডায়বেটিস নিয়ন্ত্রণে রাখতে চাইছেন তাদের কখনও একটি পুরো আম একবারে খাওয়া উচিত হবে না। ফালি করে কেটে কয়েক টুকরা খেয়ে বাকিটা পরে খেতে পারেন।
আঙুর: এক কাপ আঙুরে প্রায় ২৩ গ্রাম প্রাকৃতিক চিনি থাকে। আর খুব অল্পসময়েই এক কাপ আঙুর খেয়ে ফেলা যায়। চিনির মাত্রা কমাতে ফলটি সময় নিয়ে খেতে হবে। এজন্য আঙুর দুভাগ করে কেটে ফ্রিজে রেখে দিতে পারেন। ঠাণ্ডা অবস্থায় খেতে স্বাভাবিকের চাইতে বেশি সময় লাগবে।
চেরি: এক কাপ চেরিফলে চিনি থাকে প্রায় ১৮ গ্রাম। আর বাটি ভরা চেরিফল নিয়ে টেলিভিশনের সামনে বসলে কতগুলো খাওয়া হল তার কোনো হিসাব থাকে না। তাই ফলটি নাস্তায় হিসেবে খাওয়ার আগে পরিমাণ সম্পর্কে সচেতন হতে হবে।
নাসপাতি: মাঝারি আকারের একটি নাসপাতিতে ১৭ গ্রাম প্রাকৃতিক চিনি ধারণ করে। তাই পুরো ফল একবারে খাওয়া ঠিক হবে না। কয়েক টুকরা নিয়ে সালাদ কিংবা দইয়ে মিশিয়ে খেতে পারেন।
তরমুজ: মাঝারি আকারের এক ফালি তরমুজে প্রায় ১৭ গ্রাম চিনি থাকে। আর পানিতে ভরপুর এই থাকে ‘ইলেক্ট্রোলাইটস’ নামক বিশেষ খনিজ উপাদান যা শরীরকে করে তরতাজা। তাই তরমুজ খাওয়ার পরিমাণটা দুএক ফালির মধ্যে সীমাবদ্ধ থাকাই ভালো।
কলা: ১৪ গ্রাম চিনি থাকে মাঝারি আকারের একটি কলায়। ফলটি পুষ্টিকর হলেও ১৪ গ্রাম চিনি বেশ উচ্চমাত্রার। তাই কলা অর্ধেক করে কেটে সিরিয়ালের মিশিয়ে কিংবা স্যান্ডউইচ বানিয়ে খেতে পারেন।