বেশ কিছুদিন ধানমন্ডিতে অফিস ছিল। সারাদিনই কাটতো ধানমন্ডিতে। দুপুরের লাঞ্চ সেরে ফেলতাম অফিসের বাইরে কোথাও। সেখানে দেখেছিলাম খিচুড়ি, তেহারি, কাচ্চির দোকানের অভাব নাই। ফাস্ট ফুডের দোকানও অগুনিত। এক দুইদিন এই সব খাবার খাওয়া যায়। এছাড়াও স্বাস্থ্যগত কারণে এইগুলো প্রতিদিন খাওয়া ঠিক নয়। অনেক কষ্টে খুঁজে পেয়েছিলাম একটি হোটেল - যেখানে ভাত, মাছ, মুরগি, শাক-সব্জী পাওয়া যায়। তবে সেটা কোন মান সম্মত হোটেল ছিল না।
আমাদের ঢাকার সব হোটেল ও রেস্টুরেন্টের টার্গেট থাকে কিভাবে আরো মুখরোচক খাবার বিক্রি করা যায়। স্বাস্থ্যগত ব্যাপারগুলো এখানে আর খেয়াল করা হয় না।
এখন মানুষ সাস্থ্যগত ব্যাপারে অনেক সচেতন। অনেকেই এইসব ভারী খাবার এভোয়েড করে চলেন। তাই আমার দৃঢ় বিশ্বাস রেস্টুরেন্ট ব্যাবসায়ী কেউ যদি তাদের মেন্যুতে সাস্থ্যসম্মত খাদ্য যোগ করে তাদের ব্যানারে "স্বাস্থ্যসম্মত খাবার" এই শব্দদ্বয় যোগ করেন তা অনেক ভাল উদ্যোগ বলে গণ্য হবে। এছাড়াও কাচ্চি বা ফাস্ট ফুডের বড় বড় দোকানে যদি শাক শব্জি সহ স্বাস্থ্যকর খাবারের কর্নার করা হয় তাহলে তা জনপ্রিয় হবে এইটা নিশ্চিত করে বলে যায়।
এই প্রসঙ্গে বলা যায় বিয়ে বৌভাত এই রকম অনুষ্ঠানে বয়স্ক অনেকেই যান। অনেকেই এর মধ্যে থাকেন যারা অনেক কাছের আত্মীয়। যাদের খাদ্যগত রেস্ট্রিকশন থাকে। তাদের জন্যও এই রকম উদ্যোগ প্রশংসনীয় হবে বলেই মনে হয়।
আমাদের ঢাকা শহরে মানুষের অসুস্থ্য হওয়া এক বিশাল ভোগান্তির ব্যাপার। সুস্থ্য থাকতে হলে স্বাস্থ্যকর খাদ্যের দরকার। এই ব্যাপারে আমাদের আরো সচেতন ও উদ্যোগী হওয়া দরকার।