Accounting Solution

Author Topic: Accounting Solution  (Read 849 times)

Offline fahmidaemran

  • Full Member
  • ***
  • Posts: 121
  • Test
    • View Profile
Accounting Solution
« on: November 07, 2017, 11:20:57 AM »
পুরাতন সম্পদ ক্রয়+মেরামত খরচ=মূলধন জাতীয় ব্যয় হয়, তবে মেরামত খরচ আবার মুনাফা জাতীয় ব্যয় হওয়া কি যুক্তিযুক্ত?
[হিসাববিজ্ঞানের 138 পৃষ্ঠা থেকে]
প্রতিষ্ঠান তার স্থায়ী সম্পদ অর্জনের জন্যে যা ব্যয় করে তা মূলধন জাতীয় ব্যয় বলে গণ্য হবে।
আবার একটা সম্পদ ক্রয় করে তা ব্যবহারের উপযোগী করার জন্যে তার পিছনে যত ধরণের ব্যয় করা হয় তার সবই ঐ স্থায়ী সম্পদটি অর্জনের ব্যয় বলে গণ্য হবে।
যেমন আপনি একটা জমি কিনলেন কিন্তু তা ব্যবহার উপযোগী করার জন্যে যেমন ময়লা আবর্জনা পরিষ্কার, গর্ত ভরাট করা বাবদ মাটি ক্রয়ের খরচ, মজুরি খরচ এ সবই ঐ জমির অর্জনের ব্যয় বলে গণ্য হবে।
তাই স্থায়ী অর্জনের জন্যে এবং অর্জনের পরে তা ব্যবহারে উপযোগী করার পূর্বে যত ধরণের ব্যয় করা হোক না কেন তা স্থায়ী সম্পদ অর্জনের জন্য ব্যয় বলে ধরতে হবে।
আর স্থায়ী সম্পদ অর্জনের ব্যয়গুলো মূলধন জাতীয় ব্যয় বলে গণ্য হবে।
পুরাতন সম্পদ ক্রয় করার পর তা ব্যবহার উপযোগী করার সকল ব্যয় ঐ পুরাতন সম্পদ অর্জনের ব্যয় বলেই ধরতে হবে আর সেই যুক্তিতেই মেরামত ব্যয়, এটার সংস্থাপন ব্যয়, রং খরচ, ইত্যাদি মুনাফা জাতীয় ব্যয়ের মতো মনে হলেও যখন এগুলো স্থায়ী সম্পদ অর্জনের জন্যে করা হয় তখন তা মূলধন জাতীয় ব্যয় বলে গণ্য হবে।
👁 নোট: কোন স্থায়ী সম্পদ অর্জন করার পর ব্যাবহার উপযোগী করার পরে তা রক্ষা করা বা ভালো রাখার জন্যে ব্যয়গুলো করা হয় সেগুলো কিন্তু মুনাফা জাতীয় ব্যয় বলে গণ্য হবে। যেমন আপনার একটি দালান তৈরি করলেন। দালান টি প্রতি বছর আপনি কিছু চুনকাম করেন, মেরামত করেন, আস্তর করেন, পানির ট্যাংক পরিষ্কার করেন ইত্যাদি খরচগুলো মুনাফা জাতীয় খরচ বলে গণ্য হবে। কারণ এগুলো আপনার স্থায়ী সম্পদ অর্জন করা এবং তা ব্যবহারের উপযোগী করার ব্যয় নয়। কিন্তু সদ্য বানানো ভবন ব্যাবহারের উপযোগী করার জন্য যদি তার রং করেন, মেরামত করেন, চুনকাম করেন তা মূলধনজাতীয় ব্যয় বলে গণ্য হবে কারণ এটি ঐ দালান নামে স্থায়ী সম্পদের অর্জনের ব্যয়ের সাথে যোগ হবে।
মোট কথা সম্পদ রক্ষণাবেক্ষণ খরচ মুনাফা জাতীয় ব্যয় কিন্তু সম্পদ অর্জন ও তা ব্যবহার উপযোগী করার পূর্বে তার জন্যে এক কানা করি পরিমাণ যে কোন খরচ মূলধন জাতীয় ব্যয় বলে গণ্য হবে।
আরেকটা জিনিস- কোন সম্পদ সম্প্রসারণ, বৃদ্ধিকরণ জাতীয় ব্যয়গুলো মূলধন জাতীয় ব্যয় বলে গণ্য হবে।
মনে করেন আপনার একটি তিন তালা ভবন আছে, আপনি তাকে চার তালা করলেন। এখানে চার তালা করতে যে সব খরচ হবে মজুরি রং থেকে শুরু করে যা খরচ আছে সব ঐ তালা নির্মাণের খরচ সবই মূলধন জাতীয় খরচ বলে গণ্য হবে। কারণ এ খরচ গুলো আপনার ভবনের মূল্য বৃদ্ধি করেছে এবং এই খরচগুলো আপনি আপনার সম্পদ সম্প্রসারণ করার জন্য ব্যয় করেছেন। যেমন তিন তালা ভবনের মূল্য যদি বিশ লাখ হয় আর নতুন তাল নির্মাণ খরচ যদি পাঁচ লাখ হয় তাহলে এই পাঁচ লাখ উক্ত বিশ লাখের সাথে যোগ হয়ে নতুন ভবন সম্পদ হবে পঁচিশ লাখ টাকা।
আবার কোন ব্যয় যা আপনার স্থায়ী সম্পদের মূল্য বৃদ্ধি করবে তাও মূলধনজাতীয় ব্যয়।
মনে করেন আপনি একটি মটর সাইকেল কিনলেন যার দাম এক লাখ, এটি কিনার পর ১০ টাকার একটা স্টিকার খরচও মূলধন জাতীয় ব্যয় হবে এবং তার নতুন অবস্থায় ব্যাবহারের পূর্বে সার্ভিসিং খরচও মূলধন জাতীয় ব্যয় বলে গণ্য হবে।
কিন্তু কিনার এক মাস পর একটু আচর লাগাল আর সেখানে একটি স্টিকার লাগালেন এই স্টিকার খরচ এবং সার্ভিসিং খরচ মুনাফা জাতীয় ব্যয়। আবার পাঁচ বছর ব্যবহার করার পর অবচয় হতে হতে তার মূল্য হয়ে গেল বিশ হাজার টাকা এবং ইঞ্জিন টা হয়ে গেল অকেজো। আপনি তিরিশ হাজার টাকা দিয়ে নতুন ইঞ্জিন বসালেন এই ইঞ্জিন খরচ টি মূলজাতীয় খরচ বলে গণ্য হবে। কারণ এই খরচটি আপনার সম্পদটির মূল্য বৃদ্ধি করেছে। তাছাড়া অকেজো একটি সম্পদকে ব্যবহার যোগ্য সম্পদে রূপান্তর করেছে।
মোট কথা কোন সম্পদের জন্যে যদি এমন কোন খরচ হয় যা ঐ সম্পদের মূল্য বৃদ্ধি করে বা যৌবন ফিরিয়ে আনে বা ব্যবহারের অযোগ্যকে ব্যবহার যোগ্য করে আয়ুষ্কাল বৃদ্ধি করে সেই খরচ গুলো মূলধন জাতীয় খরচ বলে গণ্য হবে।

source: https://www.facebook.com/AccountingArea/posts/210038909534868
Best Regards,
Fahmida Emran
Lecturer,
Department of Business Administration
Faculty of Business & Economics
Daffodil International University