যোগাযোগের এই চরম উৎকর্ষের যুগে আমরা কেমন আছি?
যোগাযোগের উন্নতি শুরু হয় লেখন পদ্ধতি আবিস্কারের মাধ্যমে। লেখার উদ্দেশ্য হল - সময় ও স্থানকে অতিক্রম করা।
যিনি আমার সামনে আছেন তাকে যা বলার তাতো আমরা মুখেই বলতে পারি। আমরা তখনই লিখি যখন তিনি অনেক দূরে থাকেন। আগেকার কালের চিঠি লেখা এর সুন্দর উদাহরণ। বর্তমানের ইমেইল ও মোবাইল মেসেজও কেবল মাত্র দূরত্বের কারনে লেখা হয়। এক সাথে অনেক জনকে কিছু জানানোর দরকার হলে আমরা লিখিত ভাবে ইমেইল, লিফলেট, বিজ্ঞাপনের সাহায্য নেই। পেপারের উদ্দেশ্য হল সবাইকে খবর জানানো। সব ক্ষেত্রেই স্থানকে অতিক্রম করাই উদ্দেশ্য থাকে।
ভেবে দেখলাম মানুষের যে চেষ্টা ও অধ্যাবসায় তার সবটাই এই সময় ও স্থানকে অতিক্রম করার কাহিনী। আমরা চাই দ্রুত এক জায়গা থেকে আর এক জায়গায় মেসেজ পৌছাতে। টেলিগ্রাম ও টেলিফোনের আবিস্কার এই পথ ধরেই হয়েছে। যেটা অতীতে স্বশরীরে গিয়ে জানাতে হত সেটা ঘরে বসেই জানানো সম্ভব হল। এখন আমরা উকি দিতেছি আমাদের মহাকাশেরও দুরের স্থানে।
কিন্তু তারপরও মানুষ মারা যাচ্ছে যুদ্ধবিগ্রহে। সে মহাকাশের উপগ্রহ থেকে দেখতেছে মানুষের উপর ধ্বংসলীলা। সে ফেসবুকে লাইক বা এংগ্রি বাটন চাপ দিয়ে ঘুমাতে যাচ্ছে। ওই পর্যন্তই।
পরিশেষে আমার মনে হচ্ছে - মানুষ তথ্য আদান প্রদানে যত কিছু আবিস্কারে যত্নশীল - তার সিকি পরিমান যদি নিজেদের মানবিক গুনাবলির উন্নতির দিকে মনোযোগ দিত তাহলে তার উপকার অনেক বেশি হত।
(আমার ফেসবুক পোস্ট ২৬ - ১২ - ২০১৭)